উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় থাকা অন্ত্যোদয়, পিএইচএইচ এবং এসপিএইচএইচ রেশন কার্ডধারীদের পাশাপাশি দুই শ্রেণীর রাজ্য সুরক্ষা প্রকল্পের গ্রাহকরাও ভর্তুকিহীন কার্ড নিতে চাইছেন। দুই নম্বর রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্প ছাড়া অন্য সব শ্রেণীর গ্রাহকরা রেশনে দুই টাকা কেজি দরে চাল ও গম পান। খাদ্যে ভর্তুকি দিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিপুল খরচ হয়। ফলে গ্রাহকরা ভর্তুকির রেশন কার্ড যত বেশি করে ছেড়ে দেবেন, তত সরকারের অর্থ সাশ্রয় হবে।
অনলাইনের পাশাপাশি রেশন কার্ডের জন্য যে বিশেষ শিবিরগুলি চলছে, সেখানেও ১০ নম্বর ফর্ম পূরণ করে ভর্তুকিহীন কার্ডের জন্য আবেদন করা যাচ্ছে। তবে অফলাইনে আবেদন করলে পুরনো রেশন কার্ড, ভোটার সচিত্র পরিচয়পত্র প্রভৃতির কপি জমা দিতে হচ্ছে। কিন্ত অনলাইনে আবেদন করলে তার প্রয়োজন পড়ছে না। অনলাইনে আবেদন করলে শুধু আধার, প্যান কার্ড, ভোটার সচিত্র পরিচয়পত্র ও পুরনো কার্ড থাকলে তার নম্বর উল্লেখ করে দিলেই চলছে। কোনও কপি আপলোড করতে হচ্ছে না। একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে নাম নথিভুক্ত করে পরিবারের সদস্যদের জন্য অনলাইনে আবেদন করা যায়। অনলাইনে ভালো সাড়া মেলায় ভবিষ্যতে সব ধরনের রেশন কার্ডের জন্য এই ব্যবস্থার মাধ্যমে আবেদন চালু করার ভাবনাচিন্তা করছে দপ্তর।
খাদ্য দপ্তর সূত্রে পাওয়া পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, অনলাইনে আবেদন বৃদ্ধির হার খুবই সন্তোষজনক। সোমবার সকাল পর্যন্ত মোট আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৮২ হাজার ৯৭৫ জন। প্রথম দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ৬১৭৩ জনের আবেদন জমা পড়েছিল।
রেশন কার্ডের বিশেষ শিবির আপাতত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলার কথা। তবে অনলাইনে ভর্তুকিহীন কার্ডের জন্য আবেদন করা অব্যাহত থাকবে। ৩০ তারিখের পর বিশেষ শিবির বন্ধ হলে খাদ্য দপ্তরের স্থানীয় অফিসে গিয়ে অফলাইনে আবেদন করার সুযোগ থাকছে। খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকদের আশা, ভর্তুকিতে খাদ্য পাওয়ার কার্ডধারীদের উল্লেখযোগ্য অংশ ওই কার্ড ছেড়ে ভর্তুকিহীন কার্ড নিয়ে নেবেন। এতে জাতীয় প্রকল্পের নির্ধারিত কোটায় নতুন রেশন গ্রাহকের নাম ঢোকানো যাবে। জাতীয় প্রকল্পে রাজ্যের কোটা ৬ কোটি ১ লক্ষ নির্ধারিত আছে।