উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
সোমবার চিৎপুর লকগেটে বাঁক ঘোরার সময় ল্যাম্পপোস্টে ধাক্কা মেরে উল্টে যায় একটি স্কুলবাস। পড়ুয়া ও অভিভাবক মিলিয়ে আহত হন ২০ জন। জানা যায়, ফিটনেস সার্টিফিকেট (সিএফ) ছাড়াই ওই বাসটি রাস্তায় চলছিল। আধিকারিকরা জানতে পারছেন, এই ধরনের পুল বাস শহরে আরও চলছে। যাতে পড়ুয়ারাই যাতায়াত করে। অধিকাংশেরই স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনও চুক্তি এবং অথোরাইজড লেটার নেই। এমনকী স্কুল কর্তপক্ষেরও এই নিয়ে কোনও স্বচ্ছ ধারণা নেই। যে কারণে অনায়াসে অনুমতি ছাড়াই স্কুল বাসের তকমা লাগিয়ে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এসব জানার পরই হুঁশ ফিরেছে লালবাজারের। তড়িঘড়ি এই নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগী হয়েছেন তাঁরা। সেই কারণে প্রথম ধাপে সমস্ত স্কুলের সঙ্গে বৈঠক করবেন কর্তারা। জানা যাচ্ছে, সেখানে তাদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হবে, তাদের স্কুলের নিজস্ব বাস রয়েছে কি না। যদি থাকে, তাহলে নিয়মিত সিএফ, রুট ট্যাক্স দিতে হবে। থাকতে হবে রুট পারমিট। স্কুল বাসটি রাস্তায় চলার যোগ্য কি না, তা পুলিসের টিম গিয়ে পরীক্ষা করবে। সমস্ত কিছু কাগজপত্র আপ-টু-ডেট রাখতে হবে। চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক। এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য পুলিসকে দিতে হবে। নিয়মিতভাবে কাগজপত্র পুনর্নবীকরণ হচ্ছে কি না, তা স্কুল কর্তপক্ষকে দেখতে হবে। চালক মদ্যপ অবস্থায় বা ঘুম চোখে যাতে গাড়ি না চালান, সে জন্য মাঝেমধ্যে চেকিংয়ের উপর জোর দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। নিয়মিত চালক অনুপস্থিত থাকলে বা ছুটিতে গেলে, তাঁর জায়গায় যিনি ডিউটি করছেন, তাঁকে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অথোরাইজড লেটার নিতে হবে। সমস্ত নিময় মানা হচ্ছে কি না, তা দেখতে পুলিস হঠাৎ হঠাৎ তল্লাশি চালাবে।
এছাড়া যে সমস্ত স্কুলের নিজস্ব বাস নেই, বাইরের বাস আসে, তাদের বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। সেক্ষেত্রে এই বাসগুলিকে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতিপত্র নিতে হবে। বাইরের বাসের সিএফ থেকে শুরু করে সমস্ত কাগজপত্র রয়েছে কি না, তা স্কুল কর্তৃপক্ষ যাচাই করে দেখবে এবং এই সংক্রান্ত কাগজ জমা রাখতে হবে। কোন কোন বাস তাদের স্কুলে আসছে, তার তালিকা ও সমস্ত কাগজপত্র পুলিসকে জমা দিতে হবে। নিয়মিত চালক যদি অনুপস্থিত থাকেন, তাহলে তাঁর জায়গায় যিনি চালাচ্ছেন, তাঁর তথ্য বাসের মালিককে স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। স্কুল তাতে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট ইস্যু করবে। পাশাপাশি স্কুলের নিজস্ব বাস ও বাইরের বাসের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট গতি বেঁধে দেওয়া হবে। তা অতিক্রম করলে ব্যবস্থা নেবে পুলিস। এক্ষেত্রে নেওয়া হবে বাসের আরোহী পড়ুয়াদের মতামতও।
লালবাজার সূত্রের খবর, বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই যে সমস্ত স্কুল বাস চলছে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযানে নামা হবে। এক্ষেত্রে কড়া ধারাতেই কেস করা হবে, যাতে নিয়ম ভাঙার প্রবণতা কমে এবং দুর্ঘটনার সংখ্যা হ্রাস পায়।