কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
গতবছর আগস্টে সঞ্জীব শহরে এসেছিল বলে পুলিস সূত্রের খবর। তবে শুধুমাত্র বিহারের পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করাতেই এসেছিল, নাকি তার আসার সঙ্গে নিট প্রশ্ন ফাঁসেরও যোগ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে দুই রাজ্যের পুলিস।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে বিহার পুলিস ২১,৩৯১ জন কনস্টেবল নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। অভিযোগ ওঠে, ওই চারজনের মদতেই কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছাপা হয়েছিল মধ্যমগ্রামের এক ছাপাখানায়। বৃহস্পতিবার বিহার পুলিস ছাপাখানার মালিক কৌশিক কর সহ ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, মুখিয়া গ্যাংয়ের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে কৌশিকের। বিহার পুলিসের অর্থনৈতিক অপরাধ ইউনিট তাকে ছাড়াও কলকাতার বাসিন্দা সুমন বিশ্বাস ও উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা সঞ্জয় দাসকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃত চতুর্থ ব্যক্তি সৌরভ বন্দোপাধ্যায়ের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে। ২০১৯ সালে উত্তরপ্রদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন ও ২০২২ সালে অরুণাচল প্রদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন দ্বারা পরিচালিত নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস কাণ্ডেও নাম জড়িয়েছিল কৌশকের।
মধ্যমগ্রাম পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের গঙ্গানগর এলাকার বাসিন্দা সে। দোলতলা মোড়েই রয়েছে তার ছাপাখানা। সেখানে সর্বদাই থাকে ২৪ ঘণ্টার নিরাপত্তারক্ষী। মূল গেটের ভিতরে ওই ছাপাখানা ছাড়াও আরও কয়েকটি অফিস রয়েছে। দোলতলায় পরিবার নিয়ে থাকে কৌশিক। ২৪ ঘণ্টাই ছাপাখানার মূল গেট বন্ধ থাকে। কর্মীরা এবং ছাপাখানার কাজে অন্য কেউ গেলেই শুধুমাত্র গেট খুলে দেওয়া হয়। ছাপাখানার কাজে কোনও গাড়ি গেলেও একই নিয়মে গেট খোলেন রক্ষী। সব মিলিয়ে নিরাপত্তায় মোড়া থাকে ওই ছাপাখানা। সেখানে অন্যান্য জিনিস ছাপার সঙ্গে সরকারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও ছাপা হয়।
কলকাতাতেও কৌশিক করের আরও একটি ছাপাখানা রয়েছে। আর গঙ্গানগরের ছাপাখানাটি কৌশিকের স্ত্রীর নামে। সূত্রের খবর, কৌশিকের কলকাতাভিত্তিক সংস্থা ক্যালটেক্স মাল্টিভেঞ্চার প্রাইভেট লিমিটেড বিহার পুলিসের কনেস্টবল নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছাপা ও সরবরাহের টেন্ডার পেয়েছিল। কিন্তু তদন্ত করতে নেমে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় বিহার পুলিসের। তারা জানতে পারে, প্রশ্নপত্র ছাপার পরিকাঠামোই নেই কৌশিকের ছাপাখানায়। সেটা আসলে একটা ভুয়ো কোম্পানি। এক কামরার ঘরে চলে। ছাপার কাজের দায়িত্ব তারা দিয়েছিল ব্লেসিং সিকিওর্ড প্রাইভেট লিমিটেড নামের অন্য এক সংস্থাকে। সেটা রয়েছে কৌশিকের স্ত্রীর নামে।
কৌশিকের গ্রেপ্তারির পর শুক্রবার গঙ্গানগরের ছাপাখানার নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। কাউকেই গেটের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। দুপুরে মধ্যমগ্রাম থানার দুই পুলিসকর্মী গিয়েছিলেন। তাঁদেরও ঢুকতে দেওয়া হয়নি।