কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
শুক্রবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য পুলিসের এই সফল অভিযান সম্পর্কে যখন তথ্য দিচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) মনোজ ভার্মা, তার মাত্র ঘণ্টা তিনেক আগে বজবজের এক গ্রামীণ এলাকায় আরও একটি অলঙ্কার বিপণিতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে যায়। মূলত রুপোর কারবারি হলেও, সংশ্লিষ্ট বিপণির মালিক স্বর্ণ বন্ধকী কারবারও করেন। ডাকাতদল সেই খবর নিয়েই দুপুরে জুম্মার নামাজের সময় ফাঁকা এলাকায় হানা দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে সোনার গয়না ও টাকা লুট করে নিয়ে যায় বাইক আরোহী তিন দুষ্কৃতী। সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সুবোধ সিং গ্যাং যে কায়দায় ডাকাতি করেছিল, তার সঙ্গে বজবজের ঘটনার যথেষ্ট মিল থাকায় গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন তদন্তকারীরা। সুবোধ গ্যাংয়ের কোনও সদস্য এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মুখ আর মাথা হেলমেটে ঢেকে পালানোর সময় সিসি ক্যামেরায় যাদের ছবি ধরা পড়েছে, তার মধ্যে একজন সম্ভবত বিহারের বাসিন্দা বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এই আবর্তে বেউর জেলে বন্দি গ্যাংস্টার সুবোধ সিংকে রাজ্যে এনে জেরা করার তোড়জোড় শুরু করেছে সিআইডি এবং বারাকপুর পুলিস কমিশনারেট। ইতিমধ্যেই বারাকপুর আদালত থেকে সুবোধের বিরুদ্ধে ‘প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট’ জারি করা হয়েছে। আগামী ৭ জুলাই সুবোধকে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার আগে সিআইডি’র একটি টিম বেউর জেলে যাচ্ছে। কীভাবে সুবোধ সিংকে রাজ্যে নিয়ে আসা যায়, তা নিয়ে বারাকপুরের পুলিস কমিশনার এদিন একটি জরুরি বৈঠকও করেছেন। নবান্নে এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) বলেছেন, ওই দুষ্কৃতী সম্পর্কিত প্রচুর তথ্য আমাদের কাছে এসেছে। তাকে রাজ্যে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিহার পুলিসের সহযোগিতা মিলছে। তবে এখনই সে সংক্রান্ত কিছু বলা যাবে না। এই পর্বেই বারাকপুরের বিভিন্ন সম্পন্ন ব্যবসায়ীকে হুমকি ফোন করে ‘তোলা’ চাওয়ার অভিযোগে বিহারের সমস্তিপুর থেকে সলিল পাসোয়ান ও অঙ্কিত নামে দুই দুষ্কতীকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা সুবোধ সিং গ্যাংয়ের সদস্য বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) জানিয়েছেন, পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরের স্বর্ণ বিপণিতে ডাকাতির ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেখানে আরও তিনটি ডাকাতির ঘটনায় এরা যুক্ত ছিল। ধৃতদের কাছ থেকে ছ’টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। জামুড়িয়ার ডাকাতির ঘটনায় দু’জনকে এ রাজ্য থেকে এবং বাকি দু’জনকে ঝাড়খণ্ড পুলিসের সহযোগিতায় সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাঁকুড়ার ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার এবং ডাকাতিতে ব্যবহৃত গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে। ডোমজুড়ের ডাকাতির ঘটনায় সিসি ক্যামেরায় চিহ্নিত একজনকে সমস্তিপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।