কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
টালা ব্রিজ বন্ধের জেরে উত্তর শহরতলি থেকে মূল কলকাতায় যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত। একাধিক বাস রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। ঘুরপথে বাস চলাচল করছে। যাত্রীদের সমস্যা মেটাতে নোয়াপাড়া মেট্রো থেকে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। কলকাতা থেকে শহরতলির যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে ফেরি পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন ফেরি পরিষেবা চলবে বারাকপুর থেকে কলকাতা পর্যন্ত। বারাকপুর, টিটাগড়, খড়দহ, পানিহাটি, আগরপাড়া, বরানগর হয়ে কলকাতার বিভিন্ন ঘাটে পৌঁছবে লঞ্চ। ওই দিক থেকেও লঞ্চ আসবে বারাকপুরে। প্রতিটি লঞ্চ থাকবে বড় আকারের। যাতে বেশি সংখ্যক যাত্রী যাতায়াত করতে পারেন। ফেরি পরিষেবার জন্য প্রতিটি ঘাটে জেটিগুলি সংস্কার করা হবে।
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে বরানগরে একটি নতুন ফেরিঘাটের উদ্বোধন করেছেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। ওই ফেরিঘাট দিয়ে এখন প্রতিদিন যাত্রীরা যাতায়াত করছেন। খুব সহজেই বাবুঘাট সহ কলকাতার বিভিন্ন ঘাটে পৌঁছে যেতে পারছেন যাত্রীরা।
এদিকে, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে ও বি টি রোডে প্রতিদিন চাপ বাড়ছে। গাড়ির সংখ্যা বাড়ার কারণে বাড়ছে যানজট। সড়কপথ, রেলপথ বাদ দিয়ে কলকাতা শহরতলির বাসিন্দাদের আর কোনও যোগাযোগের পথ নেই। গঙ্গার ঘাটগুলিতে এখন কেবল হুগলির সঙ্গে যোগসূত্র। কলকাতার সঙ্গে উত্তর শহরতলির জলপথে যোগাযোগের দাবি অনেকদিন ধরেই ছিল। সেই দাবিই এবার পূরণ হতে চলেছে।
বারাকপুর থেকে শিয়ালদহ যাতায়াতে নিত্যযাত্রীদের কাছে ভোগান্তির অন্ত নেই। যাত্রী সংখ্যা বাড়লেও নতুন ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে না। অফিসটাইমে বাদুড়ঝোলা হয়ে যাতায়াত করতে হয়। বিকেলের পর থেকে উল্টোডাঙা ও দমদম স্টেশন থেকে ট্রেনে অনেক যাত্রীই উঠতে পারেন না। প্রতিটি ট্রেন শিয়ালদহ থেকে ভর্তি হয়ে আসে। সোদপুর, খড়দহ, আগরপাড়া, বারাকপুরের যাত্রীদের নিত্য দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ট্রেনের নিত্যযাত্রীরা জানান, একমাত্র বারাকপুর লোকাল হলে ট্রেনে ওঠা যায়। অন্য ট্রেনে উঠলেও পা রাখার জায়গা থাকে না। পরিবারের বাচ্চা, মহিলাদের নিয়ে ট্রেন জার্নি করা যায় না, এতই ভিড় থাকে। জলপথে ফেরি পরিষেবা চালু হলে ট্রেনের উপর চাপ কমবে।
সামনেই পুরভোট। নতুন এই ফেরি পরিষেবা নিয়ে পুরভোটে শাসক দল পানিহাটি পুরসভা এলাকায় প্রচারে নেমেছে। পানিহাটির বিধায়ক তথা বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ বলেন, বারাকপুর কলকাতা ফেরি পরিষেবা বিধানসভায় ঘোষিত হয়ে গিয়েছে। বেশি সংখ্যক যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে, এমন লঞ্চ দেওয়া হবে। এই ফেরি পরিষেবা চালু হলে কলকাতার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে।