কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সাজাপ্রাপ্ত অমিতের বাবার নাম অরুণ নস্কর (৬০) ও মা পূর্ণিমা নস্কর (৫২)। তার স্ত্রীর নাম মীনা নস্কর (২৪)। অরুণ প্রেম করে মীনাকে বিয়ে করেছিল। কিন্তু, সে কোনও কাজ করত না। প্রত্যেক দিন সে হাতখরচের জন্য বাবার কাছে টাকা চাইত। তিতিবিরক্ত অরুণবাবু টাকা দিতে রাজি না হলে সে মারধর করত বলে অভিযোগ। তার অত্যাচারের হাত থেকে মাও রক্ষা পেতেন না। স্ত্রী মীনাও মাঝেমধ্যে প্রতিবাদ করতেন। সে কারণেও স্ত্রীকেও সে মারধর করত বলে অভিযোগ। ২০১৬ সালে এক প্রোমোটারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিজেদের জমি তুলে দেওয়ার জন্য সে বাবাকে চাপ দিতে শুরু করে। কিন্তু, পরিবারের কেউ ওই জমি প্রোমোটিংয়ে দিতে চায়নি। এই নিয়ে অমিত চরম ক্ষিপ্ত ছিল। ওই বছরেই ৫ ডিসেম্বর, রাত ১০টা নাগাদ টাকা নিয়ে ফের বাবা ও মায়ের সঙ্গে সে ঝামেলা শুরু করে। ওইসময় সে বাইকের ট্যাঙ্কি থেকে পেট্রল বের করে বাবা, মা ও স্ত্রীর গায়ে তা ছিটিয়ে দেয়। এরপর দেশালাই দিয়ে তিন জনের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় ৭ ডিসেম্বর পূর্ণিমাদেবী ও মীনা মারা যান। পরের দিন অরুণবাবু মারা যান। তিনজনই জবানবন্দিতে অমিতের বিরুদ্ধে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার কথা বলে যান।
বারাসত জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী সন্দীপকুমার ভট্টাচার্য বলেন, টাকার জন্য বাবা, মা ও স্ত্রীর উপর চরম অত্যাচার করত অমিত। শেষ পর্যন্ত টাকার জন্য সে বাবা, মা ও স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারে। তার শ্যালক চন্দ্রনাথ পাত্র থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। বারাসত জেলা আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক ফার্স্ট কোর্টের বিচারক শ্রীময়ী কুণ্ডু মোট ১৫ জন সাক্ষীর বয়ান ও অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। সোমবার দুপুরে দোষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১৫ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন, অনাদায়ে আরও ২বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।