কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
এদিকে, এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। বারুইপুর পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার ইন্দ্রজিৎ বসুর নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। পুলিস জানিয়েছে, এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা হাড়োয়ার দিক থেকে এসেছিল। সেদিকেই পালিয়ে গিয়েছে। সেই মতো এদিন হাড়োয়ার বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। সন্দেহভাজন হিসেবে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে পুলিসকর্তারা আশ্বাস দিয়েছেন গ্রামবাসী এবং বাজারের ব্যবসায়ীদের।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই বাজার ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে নিরাপত্তার জন্য সাতজনকে রাত পাহারায় নিয়োগ করা হয়েছিল। যাঁদের মধ্যে বর্তমানে চারজন নিরাপত্তা কর্মী কাজ করছেন। এদেরই একজন হিসেবে রবিবার রাতে দায়িত্ব পালন করছিলেন সইদ আলি মোল্লা।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, ডাকাত দলে প্রায় ১০-১৫ জন ছিল। রাস্তার কাছে চার-পাঁচজন দাঁড়িয়ে ছিল। বাকিরা দোকানের শাটার ভাঙছিল। সেই সময়েই চারজন রক্ষী তাদের বাধা দিতে এগিয়ে আসেন। কিন্তু, দুষ্কৃতীরা অনেক বেশি সংখ্যায় থাকায়, তাঁদের ব্যাপক মারধর করে। যার মধ্যে সইদ ছাড়াও তাঁর ভাইও ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসলে এক দুষ্কৃতী তাঁকে ভিতরে যাওয়ার হুমকি দেয়। এরপরে তিনি ভয়ে ঘরে ঢুকে পড়েন। তারপরেই সইদকে পুকুর পাড়ে তুলে নিয়ে গিয়ে দুষ্কৃতীরা পিটিয়ে মারে বলে অভিযোগ।
ঘটনার সময় অদূরেই এক কনস্টেবল এবং সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন। তাঁরা খবর পেয়ে ছুটে যান। কিন্তু, ততক্ষণে দুষ্কৃতীরা বাইকে করে পালিয়ে গিয়েছে। তবে ঘটনায় আহত বাকি নাইট গার্ডদের দাবি, দুষ্কৃতীরা সশস্ত্র ছিল। তাই তাঁদের পক্ষে ডাকাতদের রোখা সম্ভব হয়নি। থানার অদূরেই এরকম ঢিলেঢালা নিরাপত্তা নিয়ে বাসিন্দারা এদিন দীর্ঘক্ষণ থানার বাইরে বিক্ষোভ দেখান। বিশাল পুলিস বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অন্যদিকে, স্থানীয় সূত্রের আরও খবর, ভাঙড়েরই বাগান আইট এলাকার বাসিন্দা সইদ আলি মোল্লার স্ত্রী এবং পাঁচ মেয়ের সংসার। নাইট গার্ড হিসেবে কাজ করা এবং সকালে অন্য কাজ করে সামান্য উপার্জিত অর্থেই সংসার টানতেন তিনি। তাঁর মৃত্যুরে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।