কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
জানা যায়, স্থানীয়দের কাজের দাবি নিয়ে বেশ কয়েকদিন থেকেই এলাকার বাসিন্দাদের মনে অসন্তোষ তৈরি হচ্ছিল। শনিবার কারখানার গেটে বিক্ষোভ করতে এসে স্থানীয় বাসিন্দা জয়গুরু লোহার বলেন, আমরা স্থানীয় হওয়া সত্ত্বেও কাজ পাচ্ছি না। অথচ টাকার বিনিময়ে বাইরে থেকে লোক নেওয়া হচ্ছে। কারখানার জন্য জমিটুকুও গিয়েছে। এখন কাজও পাচ্ছি না। অপর বিক্ষোভরত সঞ্জয় বন্দোপাধ্যায় বলেন, জমিদাতারা ভেবেছিলেন কারখানা চালু হলে এখানেই কাজ পাওয়া যাবে। কিন্তু আজ এমন অবস্থা, কাজের জন্য রাজমিস্ত্রির হেল্পার হয়ে যেতে হচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, স্থানীয়রা এসে কাজ পাচ্ছেন না। অথচ পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এমনকী ভিন রাজ্য থেকেও এসে কাজ পাচ্ছেন। এর পিছনে প্রভাবশালীর মদত রয়েছে।
এদিন বিজয় দলুই, পিন্টু লোহাররা বলেন, কারখানার পাশেই আমাদের ঘর। কিন্তু কাজ পাচ্ছি না। কারখানা কর্তৃপক্ষকে স্থানীয়দের কাজের কথা বললে সান্ত্বনা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু পরে দেখছি বাইরের লোকও নিচ্ছে। কারখানার তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিদেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, জমিদাতাদের কাজের অগ্রাধিকার থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও এখন দেখা যাচ্ছে বাইরে থেকে লোক এসে কাজ করছেন। কাজের জন্য এলে পুলিসের ভয় দেখিয়ে স্থানীয়দের কারখানার গেট থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বেতন পরিকাঠামোও ঠিক নেই। কারখানা কর্তৃপক্ষকে সেকথা বলতে গেলে দলীয় নেতৃত্বকে নিগ্রহ করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, মোটা টাকার বিনিময়ে বাইরে থেকে এসে লোক কাজ করছে।
সিটু নেতা কোহিনূর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, জমি অধিগ্রহণের সময় বর্গাদার, খেতমজুর, জমিহারারা চাকরিতে কী সুযোগ সুবিধা পাবেন, সব লেখা আছে। এতদিন পর তৃণমূলের বোধোদয় হয়েছে। আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি স্থানীয়দের কাজ দিতে হবে। অনেকবার ডেপুটেশন দিয়েছি। তাঁর অভিযোগ, এখনও কয়েক কোটি টাকা সার কারখানা পরিশোধ করেনি।