কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
পশ্চিমবঙ্গ জীববৈচিত্র্য পর্ষদের বাঁকুড়া জেলা কো-অর্ডিনেটর শৈলেন মাদান বলেন, রাজ্য পরিবেশ দপ্তরের পক্ষ থেকে বায়ো ডাইভারসিটি পার্ক গড়ার জন্য প্রস্তাব চেয়ে নির্দেশিকা এসেছে। সেইমতো আমরা জেলার ২২টি ব্লক প্রশাসনকে ওই সংক্রান্ত প্রস্তাব পাঠাতে বলেছি। তা পাওয়ার পর রাজ্যে পাঠানো হবে।
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জীববৈচিত্র্য রক্ষার্থে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের পরামর্শে রাজ্য পরিবেশ দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রতি ব্লকে একটি করে বায়ো ডাইভারসিটি পার্ক গড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেইমতো সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিশেষ সচিব সম্প্রতি জেলায় জেলায় এই মর্মে নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, সাধারণভাবে আমরা মনোরঞ্জনের জন্য যে পার্ক দেখতে অভ্যস্ত তার চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন উদ্দেশ্যে তৈরি হবে বায়ো ডাইভারসিটি পার্ক। স্থানীয় জীববৈচিত্র্য রক্ষাই হল ওই পার্কের মূল লক্ষ্য। তবে পার্কে শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্যও নানা উপকরণ থাকবে। স্বাস্থ্য সচেতন নাগরিকদের জন্য ওই পার্ক আদর্শ জায়গা হয়ে উঠবে। শুধু তাই নয়, ওই পার্ককে কেন্দ্র করে বেশ কিছু মানুষের বিকল্প জীবন জীবিকার সংস্থানও হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বায়ো ডাইভারসিটি পার্ক গড়ার জন্য সরকারি অথবা অধীনস্থ সংস্থার আওতায় থাকা এক একর অর্থাৎ তিন বিঘা জমি প্রয়োজন। প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৯ লক্ষ ৪৮ হাজার ৮০০ টাকা। তার মধ্যে জমি সমতল করার জন্য ২ লক্ষ ৪ হাজার টাকা, বৃক্ষরোপণের জন্য ২ লক্ষ টাকা, নার্সারি ও পলিহাউসের জন্য ৫০ হাজার, বাটারফ্লাই গার্ডেনের জন্য ১ লক্ষ, হাঁসের খামার ও অ্যাকোয়া কালচারের জন্য ৫০ হাজার, বেড়ার জন্য দেড় লক্ষ এবং পরিচর্যার জন্য ২ লক্ষ ৪৪ হাজার ৮০০ টাকা প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে। পার্কের মাঝখানে থাকবে পাঁচকাঠা আয়তনের ছোট একটি পুকুর। একদিকে থাকবে ফলের বাগান, নার্সারি ও ভেষজ উদ্যান। অপরদিকে, বাটারফ্লাই পার্ক, হাঁসের খামার, দেশীয় উদ্ভিদ সহ একাধিক উদ্যান থাকবে। পার্ক তৈরিতে ইকো ফ্রেন্ডলি উপকরণ ব্যবহার করা হবে। যে সমস্ত গাছের পাতায় প্রজাপতি ডিম পাড়ে সেই সব গাছ বাটারফ্লাই উদ্যানে লাগানো হবে। যাতে সেখানে প্রজাপতিরা আসে। এছাড়াও পুকুরে পদ্ম, পার্কের চারপাশে সারি দিয়ে তাল, সুপারি ও নারকেল গাছ লাগানো হবে। গাছের পরিচর্যায় জৈব সার ব্যবহার করা হবে। গোটা পার্ক ‘নন প্লাস্টিক জোন’ করা হবে।
বিষ্ণুপুরের বিডিও স্নেহাশিস দত্ত বলেন, বিডিও অফিস লাগোয়া চৌকান মৌজায় বনদপ্তরের প্রায় ৮০ একর জায়গা রয়েছে। সেখানেই আমাদের ব্লকে বায়ো ডাইভারসিটি পার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যে বনদপ্তরের সঙ্গে এনিয়ে কথাবার্তা এগিয়েছে। খুব শীঘ্রই রাজ্যে প্রস্তাব পাঠানো হবে।