কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
কয়েক বছর ধরে কালনার রাখী শিল্পের সুনাম দেশের গণ্ডি টপকে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবছর কালনার রাখী রাজের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি মুম্বই, রাজস্থান, হায়দরাবাদ, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি সহ বাইরের রাজ্যে পাড়ি দেয়। এবার করোনা আবহে লকডাউন শুরু হতেই অধিকাংশ কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। বেকার হয়ে পড়েন মহকুমার হাজার হাজার রাখী শিল্পী। শহরে সরকারিভাবে ক্লাস্টারের মাধ্যমে উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে রাখী শিল্পীদের কাজের ব্যবস্থা করে কালনা উইভার্স আর্টিজেন ওয়েল ফেয়ার সোসাইটি। এবার সেই সংস্থার কর্মীদের অবস্থাও খুবই খারাপ। গত বছর এই সংস্থা প্রায় সাড়ে ছ’লক্ষ পিস সরকারি ‘জয় হিন্দ, জয় বাংলা’ রাখী সরবরাহ করেছিল।
এবার ৩ আগস্ট রাখী উৎসব। মহকুমাজুড়ে রয়েছে ১০-১২টি ছোট বড় রাখী তৈরির কারখানা। ব্যবসায়ীরা সারা বছর ধরে রাখী তৈরি করান। রাখী উৎসবে বিক্রির জন্য তা মজুত করা হয়। রাখী উৎসবের দেড়-দু’মাস আগে থেকেই রাখী বিক্রির বরাত পেতে থাকে কারখানাগুলি। এবার করোনার আবহে কোনও বরাত মেলেনি বলে দাবি কারখানার মালিকদের। বছর চারেক ধরে রাজ্য সরকারের বরাত দেওয়া রাখীও কালনার শিল্পীরাই তৈরি করছেন। তবে এবার রাখী উৎসব না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তাই সরকারিভাবে বরাত পাওয়ারও সম্ভাবনা দেখছেন না ব্যবসায়ীরা।
কালনার সরকারি রাখী তৈরি ক্লাস্টার উইভার্স আর্টিজেন ওয়েল ফেয়ার সোসাইটির সম্পাদক তপন কুমার মোদক বলেন, এবার কোনও বরাত পাওয়া যায়নি। করোনা আবহে সবকিছুই বদলে গিয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে সরকারি রাখী সরবরাহ করেছি। এবার তেমন কোনও সম্ভাবনা দেখছি না। লক্ষ লক্ষ টাকার রাখী ঘরেই পড়ে রয়েছে। সেগুলির কী হবে, জানি না। রাখীশিল্প চরম সঙ্কটে পড়েছে। জানি না আগামীদিনে কী হবে!