কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার আমতলার মৃত ৬৩ বছর বয়সি বৃদ্ধের পরিবারের এক আত্মীয় বলেন, হঠাৎ করেই জ্বর, সর্দি ও কাশি শুরু হয়। হাসপাতালে ভর্তি করার পরই মারা যান। গ্রামে স্বাস্থ্যদপ্তর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। মৃত অন্যজনের বাড়ি ধুলিয়ান লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের পাকুড়ে। তাঁরও উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। স্বাস্থ্যদপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদে নতুন করে আরও ১৭জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কয়েকদিন ধরেই আক্রান্তর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। মাঝে কিছুদিন আক্রান্তের সংখ্যা কম ছিল। জেলায় মোট করোনা আক্রান্তর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩১৮। ২৫৬জনই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এদিনও ছ’জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। জেলার বাইরে তিনজন করোনা আক্রান্তের চিকিৎসা চলছে। নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে সামশেরগঞ্জের সাতজন রয়েছেন। এই ব্লকে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তারা উদ্বিগ্ন। কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মীও আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে দু’জন বহরমপুরের বাসিন্দা। বাকিরা নবগ্রাম, রঘুনাথগঞ্জ, জলঙ্গির বাসিন্দা। জলঙ্গির বৃদ্ধ বাইরে যাননি। তাঁর পরিবারেরও কেউ আক্রান্ত হননি। তিনি কীভাবে আক্রান্ত হয়েছেন তা নিয়ে স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকরা ধন্দে রয়েছেন। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের দাবি, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলেও এখনও জেলার বাসিন্দাদের হুঁশ ফেরেনি। অধিকাংশ লোকজনই মাস্ক ছাড়া ঘোরাঘুরি করছেন। পুলিস ধরপাকড় শুরু করলেও অনেক ব্যবসায়ী স্বাস্থ্যবিধি মানছে না বলে অভিযোগ।
অন্যদিকে, নদীয়া জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের প্রেস নোট অনুযায়ী, নতুন করে হরিণঘাটা পুরসভা এলাকায় চারজন, করিমপুর-১ ব্লকে দু’জন, তেহট্ট-২, হাঁসখালি, রানাঘাট-১ ব্লক ও রানাঘাট পুরসভা এলাকার একজন করে বাসিন্দা আক্রান্ত হয়েছেন। করিমপুর-১ ব্লকের শিকারপুর এলাকায় দুই যুবকের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। একজন দিল্লি ও অন্যজন কলকাতা থেকে ফিরে স্থানীয় স্কুলে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। শনিবার রাতে তাঁদের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। অন্যদিকে, তেহট্ট-২ ব্লকের পলাশীপাড়ার রুদ্রনগরে এক মহিলার করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তিনি কলকাতায় চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন। সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট আসার আগেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপরে তিনি রুদ্রনগরে বাড়ি আসেন। শনিবার তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তিনি ওই এলাকায় ঘুরে বেড়িয়েছেন বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। রানাঘাট-১ ব্লকের করোনা আক্রান্ত তৃণমূল নেতার স্ত্রীরও পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। আগে থেকেই ওই এলাকা কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা রয়েছে। নতুন করে তাঁদের সংস্পর্শে আসা অনেকের ফের টেস্ট করা হবে বলেই জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, রানাঘাট পুরসভা এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের এক মহিলা কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি রানাঘাট-২ ব্লকের বৈদ্যপুর-২ পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। তিনি কীভাবে আক্রান্ত হয়েছেন সেব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। আপাতত রানাঘাটের ওই বেসরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। জেলার আক্রান্তদের কল্যাণীর কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।