যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের জেলা কনভেনার প্রলয় নায়েক বলেন, জেলার তিনটি শহর সিউড়ি, রামপুরহাট ও বোলপুরে ক্যাম্প করে মার্কশিট বিতরণ করা হবে। সেই ক্যাম্প অফিসগুলি থেকে প্রধান শিক্ষক ও টিচার ইনচার্জরা তা সংগ্রহ করতে পারবেন। সকাল ১০টা থেকে মার্কশিট ও সার্টিফিকেট বিতরণ শুরু হবে। তাই প্রতিটি স্কুলেই সঠিক সময়ে তা পৌঁছে যাবে বলে আশা করছি।
ভোটের উত্তাপের মাঝেই আজ মাধ্যমিকের ফলাফল নিয়ে শিক্ষামহলে উৎকণ্ঠার সঞ্চার হয়েছে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্মভূমি, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মভূমি এই জেলা এখন রাজনৈতিক উত্তাপের কারণেও পরিচিত। বিভিন্ন এলাকায় ভোট পরবর্তী অশান্তির মধ্যেই আজ মাধ্যমিকের ফলাফলের দিকে জেলাবাসীর নজর থাকবে। কারণ বিগত কয়েক বছরে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় উল্লেখযোগ্যভাবে সাফল্য পাচ্ছে জেলার ছাত্রছাত্রীরা। তাই এবারও আশায় বুক বাঁধছে শিক্ষক মহল। বিশেষ করে যারা একটু রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে চান তারা রেজাল্ট জানতে যথেষ্ট আগ্রহী। অন্যদিকে নিজের ছেলেমেয়ের ফলাফল নিয়ে উদ্বেগের অন্ত নেই অভিভাবকদেরও। কেউ মেয়ের পরীক্ষার ভালো রেজাল্টের আশায় সোমবার শিবের মাথায় জল ঢেলেছেন। কেউ মঙ্গল কামনায় মন্দিরে পুজো দিয়েছেন। বক্রেশ্বর শিব মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন রীতা চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, মেয়ে এবার মাধ্যমিক দিয়েছে। মঙ্গলবার ফল ঘোষণা হবে। তাই ভালো ফলের প্রার্থনা জানিয়ে বাবার মাথায় জল ঢেলেছি। কেউ আবার মা কালীর কাছে পুজো দিয়েছেন। এদিন সিউড়ির মৌমাছি মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর তনয়া দে নামে এক অভিভাবক বলেন, ছেলে পড়াশোনায় ভালো। আশা করছি ভালো ফল করবে। ওর মঙ্গলকামনায় এদিন পুজো দিয়েছি।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৪হাজার ১৪৮জন। ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা অনেকটাই বেশি। ১৯হাজার ৪৩৬ জন ছাত্র ও ২৪হাজার ৭১২জন ছাত্রী রয়েছে। বোলপুর মহকুমার ক্ষেত্রে বোলপুর হাইস্কুল, সিউড়ি সদর মহকুমার জন্য বীরভূম জেলা স্কুল এবং রামপুরহাট মহকুমার জন্য জিতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবনে ক্যাম্প অফিস করা হয়েছে। প্রতিটি ভালো স্কুলেরই আশা, তাদের স্কুল এবার মেধা তালিকায় স্থান করে নেবে।
রামপুরহাট জিতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবনের টিচার ইনচার্জ মেঘদূত রায় বলেন, ২০০৮সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক অথবা উচ্চ মাধ্যমিক প্রতিবারই আমাদের স্কুল থেকে মেধা তালিকায় ছাত্রাছাত্রীরা ঠাঁই পেয়েছে। আশা করছি এবার মাধ্যমিকেও আমাদের ছাত্রছাত্রীরা ভালো ফল করবে। একই আশা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক কল্যাণ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, এই জেলা শিক্ষাক্ষেত্রে যথেষ্ট সমৃদ্ধশালী। প্রতিবছরই ছাত্রছাত্রীরা ভালো ফল করে মেধা তালিকায় স্থান পায়। এবারও আশা কারছি তারা জেলার মুখ উজ্জ্বল করবে।
তবে, জেলার তিনটি জায়গা থেকে মার্কশিট বিতরণ হলেও অনেক স্কুলেই দূরত্বের কারণে মার্কশিট দেরিতে পৌঁছয়। তাই এবার ক্যাম্প থেকে দূরবর্তী স্কুলেও যাতে ছাত্রছাত্রীরা দ্রুত মার্কশিট হাতে পেয়ে যায় তারজন্য উদ্যোগ নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। বাবুইজোড় ধরণীধর উচ্চ বিদ্যালয়ের দূরত্ব সিউড়ি থেকে প্রায় ৬০ কিমি। ওই স্কুলের টিআইসি সুজিত মণ্ডল বলেন, সিউড়িতে আমাদের একজন শিক্ষক থাকেন। তিনি মার্কশিট ও সার্টিফিকেট তুলে আমাকে দুবরাজপুরে দেবেন। আমি তা স্কুলে নিয়ে আসব। যত দ্রুত সম্ভব সেগুলি ছাত্রছাত্রীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করব।