সংবাদদাতা, ইসলামপুর: ‘অপহৃত’ হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবসায়ীকে  উদ্ধার করল ইসলামপুর থানার পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, ইসলামপুর থানার রামগঞ্জ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বরহনগছ এলাকার ব্যবসায়ী মহম্মদ মুসা শুক্রবার দুপুরে ইসলামপুর শহরের চৌরঙ্গী মোড় থেকে ‘অপহৃত’ হন। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযাগ জানাতেই তদন্তে নামে পুলিস।  শনিবার সকালে ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা হয় শিলিগুড়ির কাছে বাগডোগরা থেকে। তবে, ব্যবসায়ীর অসংলগ্ন কথাবার্তায় বিভ্রান্ত পুলিস, প্রশাসন। অপহরণকারীরা মুক্তিপণ দাবি করেনি বা তাঁর ফোনও ছিনিয়ে নেয়নি। ব্ল্যাঙ্ক চেকে সই করিয়ে নিয়েছে তারা। ফলে সত্যিই অপহরণ নাকি অন্য কোনও রহস্য রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
পরিবারের অপহরণের অভিযোগের পর ব্যবসায়ীর মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ধরে খোঁজ শুরু করে পুলিস। দেখা যায় বাগডোগরা এলাকায় রয়েছেন ব্যবসায়ী। কিন্তু তাঁকে ফোন করা হলে পুলিসকে জানিয়েছিলেন কাটিহারে রয়েছেন। গোলমাল রয়েছে বুঝতে পেরে ছবি সহ অন্যান্য তথ্য বাগডোগরা পুলিসের সঙ্গে শেয়ার করে ইসলামপুর পুলিস। বাগডোগরা পুলিস ওই ব্যবসায়ীকে একটি রাস্তার মোড় থেকে উদ্ধার করে। বাগডোগরা থানা থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যবসায়ীকে নিয়ে আসে ইসলামপুর পুলিস। উচ্চ রক্তচাপ থাকায় মুসাকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মহম্মদ মুসা বলেন, শুক্রবার দুপুরে ইসলামপুরে একটি ব্যাঙ্কে কিছু কাজ ছিল। টার্মিনাস সংলগ্ন এলাকায় গাড়ি রেখে চৌরঙ্গী মোড়ের দিকে গিয়েছিলাম। সেই সময় চার দুষ্কৃতী আমাকে অপহরণ করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। অপহরণকারীরা মুক্তিপণ চেয়েছিল কিনা, অপহরণ করে কোথায় রেখেছিল, এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান ব্যবসায়ী।
ইসলামপুর থানার এক পুলিস আধিকারিক বলেন, উদ্ধার হওয়া ব্যবসায়ীর অসংলগ্ন কথাবার্তায় প্রশ্ন রয়েছে। অপহরণকারীরা মুক্তিপণ চায়নি বা মোবাইল ছিনিয়ে নেয়নি। অথচ পুলিসকে তিনি জানিয়েছেন ব্ল্যাঙ্ক চেকে সই করিয়ে নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। চেকের মাধ্যমে কখনও  দুষ্কৃতীরা টাকা নেয় না। ফলে ব্যবসায়ীর বক্তব্যে প্রশ্ন উঠছে। রক্তচাপ স্বাভাবিক হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।