কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
স্থানীয়রা ক্ষোভের সঙ্গে জানান, মদন রায় প্রায়ই মদ খেয়ে বাড়িতে এসে অশান্তি করতেন। সেই কারণে তাঁর স্ত্রী বছরখানেক আগে অন্যত্র চলে যায়। তারপর থেকে বাবা, ঠাকুরদা-ঠাকুমার সঙ্গে থাকত নাবালিকা। রাতে পাশে কাকার বাড়িতে ঘুমাতো সে।
অভিযোগ, স্ত্রী চলে যাওয়ার পর মদন রায়ের মদ্যপানের মাত্রাও বেড়ে যায়। প্রতিদিনই মদ্যপ অবস্থায় মেয়েকে বকাঝকা করতেন তিনি। এদিনও সকালেও মদ খেয়ে এসে মেয়েকে বকা দেন। তারপরই ঘরে ঢুকে যায় ওই নাবালিকা। অনেকক্ষণ ধরে তাঁর কোনও সাড়া শব্দ না পেয়ে বাড়ির লোকদের সন্দেহ হয়। তাঁরা ঘরের ভিতর নাবালিকাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। ছাত্রীর ঠাকুরদা ও প্রতিবেশীদের অভিযোগ, মদ্যপ বাবার বকুনি খেয়ে অভিমানে আত্মহত্যা করেছে সে। এনজেপি থানার পুলিস এসে নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে। তারা দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ছাত্রীর পরিবারের তরফে পুলিসে অভিযোগ করা হয়নি। তাই এখনও কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শহর, কমবয়সীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। প্রায় দিনই এরকম খবর শিরোনামে উঠে আসছে। কিশোর মনের যন্ত্রণা বোঝার জন্য পরিবারের লোকদেরই এগিয়ে আসার কথা বলছেন চিকিত্সকরা। তবেই তাদের মন হালকা করা সম্ভব। রোখা যেতে পারে এই ধরনের ঘটনাও।