বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
এব্যাপারে মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, সুষ্ঠু পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যে আমরা করোনার চিকিৎসা পরিষেবার জায়গা এলাকাভিত্তিক রোগীদের জন্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছি। বৃহস্পতিবার থেকেই এই নিয়ম চালু হয়ে গিয়েছে। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এলাকাগুলি থেকে সহজেই বাইপাসস্থিত নারায়ণপুরের কোভিড হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাওয়া সম্ভব। সেই কারণে তাঁদের জন্য আমরা ওই হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। বাকিদের জন্য মালদহ মেডিক্যালের বিশেষ আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। মেডিক্যালে ১২০টি এবং নারায়ণপুরের কোভিড হাসপাতালে ৭০টি বেড রয়েছে। যা আপাতত পর্যাপ্ত বলেই আমরা মনে করছি।
উল্লেখ্য, প্রথম দিকে মালদহে করোনা চিকিৎসার কোনও পরিকাঠামো ছিল না। প্রথম দিকে আক্রান্ত কয়েকজনকে চিকিৎসার জন্য শিলিগুড়ি নিয়ে যেতে হয়। পরবর্তীকালে নারায়ণপুরের ওই কোভিড হাসপাতাল চালু করা হয়। প্রথমে কিছুদিন অবশ্য সেখানে শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগীদের রাখা হতো। পরে করোনা পজিটিভদের সেখানে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া ওই হাসপাতালটি দীর্ঘদিন ধরে জেলার করোনা রোগীদের ভরসার জায়গা ছিল। এদিকে, জেলায় করোনা রোগীর চাপ বাড়তে থাকায় অতিরিক্ত হাসপাতাল চালুর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। মাস দুয়েক আগে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নবনির্মিত ভবনে আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করা হয়। প্রাথমিকভাবে সেখানে জ্বর এবং শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে রোগীরা ভর্তি হচ্ছিলেন। পরবর্তীকালে স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে মেডিক্যালে করোনা চিকিৎসার অনুমতি মেলে। সম্প্রতি সেখানে আইসিইউ সুবিধাযুক্ত সহ উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বেড সংখ্যা বাড়িয়ে ১৫০টি করার ব্যাপারেও ইতিমধ্যে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ উপর মহলে দরাবার করেছে।
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি ডাঃ অমিত দাঁ বলেন, করোনা রোগীদের চিকিৎসায় কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না। করোনা রোগীদের সুস্থ করতে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা নিরলস পরিশ্রম করছেন।