বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ইতিমধ্যে আমাদের জেলায় এক হাজারেরও বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ফলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে তা বলা যাবে না। তবে সম্প্রতি করোনায় পরপর বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। সেই বিষয়টি আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। বর্তমানে মৃত্যু হার কমানোটাই আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জের বিষয়।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের এক কর্তা বলেন, সোয়াবের নমুনা পরীক্ষা বৃদ্ধি পেলেই পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়বে। কারণ বর্তমানে জেলার অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন। উপসর্গহীন অনেক রোগী নিজেদের অজান্তেই আক্রান্ত হওয়ার পর আবার সুস্থও হয়ে উঠছেন। ফলে এনিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চললে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দ্রুত সেরে ওঠা সম্ভব।
রায়গঞ্জের কোভিড হাসপাতালের সুপারই করোনায় আক্রান্ত হলেন। এদিন তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তাঁকে কোভিড হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে সম্প্রতি কোনও রোগীর সংস্পর্শে চলে এসেছিলেন সুপার। তার ফলেই সংক্রমণ হয়েছে।
এদিকে উত্তর দিনাজপুর জেলায় এদিন ৩২ জনের দেহে পাওয়া গেল করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব। তাঁরা রায়গঞ্জ, ইসলামপুর শহর সহ জেলার বিভিন্ন ব্লকের বাসিন্দা। আক্রান্তদের চিকিৎসা শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এই নিয়ে জেলায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাড়ালো ১০৮৩ জন। যদিও স্বাস্থ্য দপ্তরের দাবি, আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। বাকিরাও চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। ইসলামপুর শহরে ১৪ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, করোনা উপসর্গ নিয়ে রায়গঞ্জ মেডিক্যালে ভর্তি হওয়া এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি মেডিক্যালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। বুধবার শ্বাসকষ্টের সমস্যা হওয়ায় পরিবারের লোকেরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট অবশ্য মেলেনি। তবে এই মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এদিকে মৃত ব্যক্তির পরিবারের তরফে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় নতুন করে ৫৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে মালদহ মেডিক্যাল থেকে ৫১ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। বাকি ছয় জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বালুরঘাট হাসপাতালের ট্রুন্যাট মেশিনে পরীক্ষার পর। এই নিয়ে জেলায় মোট ১১৩১ জন আক্রান্ত হলেন। জেলা সদর বালুরঘাট শহরেই সংক্রামিত হয়েছেন ১২ জন। এছাড়াও বালুরঘাট গ্রামীণ এলাকায় ১০ জন, বংশীহারিতে দুই জন, গঙ্গারামপুর শহরে এক জন ও গ্রামীণ এলাকায় ১১ জন, কুশমণ্ডিতে নয় জন, হিলিতে ছয় জন ও হরিরামপুরে তিনজন, তপন তিন জন সংক্রামিত হয়েছেন। বালুরঘাট শহরের পাওয়ার হাউস, পতিরাম, চকভৃগু, পুলিস লাইন এলাকা, পরানপুর ও পাগলিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
গৌড়বঙ্গে আক্রান্ত
মালদহ: ৯৭
উত্তর দিনাজপুর: ৩২
দক্ষিণ দিনাজপুর: ৫৭