বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
সপ্তাহ খানেক আগে দলের জেলা সভাপতির পদ থেকে অর্পিতাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পদে নিয়ে আসা হয় গৌতম দাসকে। কিন্তু তার পরেও অর্পিতা প্রতিদিন নিজের অফিসে বসতেন। এদিকে বুধবার সন্ধ্যা থেকে খবর ছড়িয়ে যায় যে বিপ্লব মিত্র বিজেপি ছেড়ে আবার তৃণমূলে ফিরে আসছেন। সেদিনই রাতে জেলা ছাড়েন অর্পিতা। বিপ্লব ও অর্পিতার রাজনৈতিক সম্পর্ক কারও অজানা নয়। তাই এই দু’টি ঘটনাকে একসঙ্গে নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সভাপতির পদ চলে যাওয়া ও বিপ্লবের দলে ফেরার কারণেই কি তিনি জেলা ছাড়লেন তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। যদিও অর্পিতা এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলতে চাননি। তাঁর হাতে থাকা বিভিন্ন পদগুলির ভবিষ্যৎ নিয়ে নেত্রীর জবাব, রাজ্য নেতৃত্ব যা সিদ্ধান্ত নেবে, তা তিনি মেনে নেবেন।
রাজ্যসভার সদস্য অর্পিতা ঘোষ বলেন, বিপ্লব মিত্র তৃণমূলে ফিরছেন রাজ্য নেতৃত্বের কাছে এরকম খবর শুনেছি। দল কাকে নেবে, সেটি পুরো তাদের ব্যাপার। আমার এখানে মতামত দেওয়ার কোনও বিষয় নেই। আমি এখন রাজ্যের দায়িত্বে রয়েছি। শুক্রবারে আমাদের বৈঠক আছে। সেই বৈঠকে যোগ দিতে কলকাতায় এসেছি। বর্তমানে আমাদের কি ভূমিকা হবে, তা বৈঠকে জানতে পারব। রাজ্য যদি চায়, জেলার সংগঠন দেখার জন্য সেখানে গিয়ে থাকতে হবে, অবশ্যই তাই করব। যদি অন্য কিছু হয় তো হবে। রাজ্য যা সিদ্ধান্ত নেবে সেই মতো কাজ করব।
অর্পিতা-বিপ্লবের বিরোধের বিষয়টি সামনে আসে গত লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ের সময় থেকে। সেসময় বিপ্লববাবুর বদলে অর্পিতাকে প্রার্থী করা হতেই ক্ষুব্ধ হন ওই বর্ষীয়ান নেতা । অর্পিতা গোষ্ঠীর অভিযোগ, দলের মধ্যে থেকেই বিপ্লবগোষ্ঠী কলকাঠি নাড়ায় লোকসভা ভোটে হারেন অর্পিতা। তবে তিনি হারার পরেও বিপ্লববাবুকে সরিয়ে অর্পিতাকেই কিন্তু দলের জেলা সভাপতির পদ দেওয়া হয়। তারপর থেকেই বিপ্লব-অর্পিতার দূরত্ব আরও বাড়তে থাকে। শেষমেষ বিজেপিতে যোগ দেন বিপ্লব।
প্রার্থী হিসেবে লোকসভা ভোটে পরাজয়ের পরেও অর্পিতা বলেছিলেন এই জেলার মাটি কামড়ে পড়ে থাকবেন। জেলা থেকে অন্য কোথাও যাবেন না কোনওদিন। ভোটের আগে তাঁর নামের সঙ্গে পরিযায়ী তকমা জুড়ে দিয়ে প্রচার করেছিল বিরোধীরা। সেই তকমা ঘোচানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন তিনি। জেলা সদরে ফ্ল্যাট কেনেন। বালুরঘাটের ভোটার লিস্টে নামও তোলেন। সেসময় দলের তরফেও তাঁর উপর সম্পূর্ণ আস্থা দেখানো হয়েছিল। সংগঠন সাজানোর দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল তাঁর উপরেই। তিনি বালুবঘাট ও গঙ্গারামপুর পুরসভার প্রশাসক বোর্ডে রয়েছেন। বালুরঘাট হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান, উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যানের মতো গুরত্বপূর্ণ পদগুলিতেও রয়েছেন।
কিন্তু তারপরে অবস্থা বদলেছে। এই অবস্থায় বিপ্লব মিত্রের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আগেই তাঁর জেলা ছেড়ে কলকাতায় চলে যাওয়া নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। তবে কি জেলার রাজনীতি থেকে সরেই যাচ্ছেন তিনি? এই প্রশ্নই উঠছে।