বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার শিক্ষা আধিকারিক বিমলকৃষ্ণ গায়েন বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের পাঠদানের জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে অনলাইনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে জেলার ১২৫০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা অংশগ্রহণ করবেন। প্রশিক্ষণ থেকে কীভাবে পড়ুয়াদের পাঠদান দেওয়া হবে তা রাজ্যের পরবর্তী নির্দেশিকার পরেই জানা যাবে। মাধ্যমিক তৃণমূল শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি উজ্জ্বল বসাক বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের নিয়ে একসঙ্গে প্রশিক্ষণ দেওয়া যাচ্ছে না। কীভাবে পড়ুয়াদের পঠনপাঠন দেওয়া হবে তা নিয়ে অনলাইনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এবিষয়ে সারা বাংলা শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক কল্যাণ দাস বলেন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে ছাত্রদের কতটা কাছে পৌঁছনো যাবে তা বলা মুশকিল। এখন অনলাইনে ক্লাস হবে নাকি সেপ্টেম্বরে স্কুল চালু হবে তা নিয়ে এখনই স্পষ্ট কিছু বলা সম্ভব নয়।
এদিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের উদ্যোগে ৩ আগস্ট টেলি ক্লাসের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মূলত জেলার প্রত্যন্ত এলাকার পড়ুয়াদের পড়াতেই এই উদ্যোগ। জেলার স্কুলগুলি থেকে নয় জন শিক্ষক ওই টেলিক্লাসের কমিটিতে রয়েছেন। এবিষয়ে মাধ্যমিক স্তরের জেলা স্কুল পরিদর্শক মৃন্ময় ঘোষ বলেন, করোনা সংক্রমণের এই পরিস্থিতিতে অনেক স্কুলই অনলাইন ক্লাস চালু করেছে। কিন্তু সমস্যায় পড়েছে প্রান্তিক গ্রামের পড়ুয়ারা। তাই তাদের জন্য টেলি ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কমিটিতে জেলার ন’জন শিক্ষক রয়েছেন। তাঁরা পড়ুয়াদের টেলিফোনের মাধ্যমে পাঠদান করবেন।
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতিতে চার মাস ধরে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সেক্ষেত্রে অনেক পড়ুয়া স্কুল ও গৃহশিক্ষকদের উদ্যোগে অনলাইনে ক্লাস করছে। কিন্তু যাদের স্মার্ট ফোন বা ইন্টারনেট সংযোগ নেই তারা সমস্যায় পড়েছে। তাদের জন্য এবার টেলি ক্লাসের মাধ্যমে পঠনপাঠন শুরু হবে। বিনামূল্যে ওই ক্লাসে একসঙ্গে অনেক পড়ুয়া অংশ্রগ্রহণ করতে পারবে। প্রত্যেকটি বিষয়ের জন্য আলাদা শিক্ষক থাকবে এবং টেলিফোনের মাধ্যমেই শিক্ষকরা পড়া বুঝিয়ে দেবেন। অন্যদিকে, কীভাবে পড়ুয়াদের পাঠদান দেওয়া হবে সেনিয়ে সমগ্র শিক্ষা মিশনের তরফে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনলাইনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হোয়াটস অ্যাপে জেলার আলাদা আলাদা বিষয়ভিত্তিক গ্রুপ খোলা হচ্ছে। নবম ও দশম শ্রেণীর বাংলা, ইংরেজি, অঙ্ক, ভৌত বিজ্ঞান, জীবন বিজ্ঞান, ইতিহাস ও ভূগোল নিয়ে আলোচনা করা হবে।