বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন করোনা থেকে সেরে ওঠা এই ধরনের রোগীদের মনোবলের। তিনি বলেন, সন্তোষ মণ্ডল সহ চারজন করোনামুক্ত মালদহের প্রথম কোভিড হাসপাতালে রোগীদের দেখাশোনা করছেন। রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, তাঁদের একটি নির্দিষ্ট অর্থ ভাতা হিসেবে দেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও যতটা সম্ভব ওঁদের সাহায্য করা হচ্ছে। মেডিক্যালে আরও একটি কোভিড হাসপাতাল হয়েছে। সেখানেও করোনা থেকে সেরে ওঠা কয়েকজনকে আমরা কাজে যুক্ত করতে চাইছি।
সন্তোষ মণ্ডল বলেন, আমার মূল দায়িত্ব রোগীদের আনন্দে রাখা। তাঁরা যেন কখনও বিমর্ষ না হয়ে পড়েন, সেদিকে খেয়াল রাখা। তাঁদের হাতের কাছে পথ্য, ওষুধ ইত্যাদি এগিয়ে দেওয়া। চিকিৎসকদের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁদের দেখাশোনা করা। এককথায় অনেকটা নার্সের মতো।
মালদহের প্রথম করোনাজয়ীর বক্তব্য, এই কাজ করে আমি পারিশ্রমিক পাই ঠিকই। তবে আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে যখন রোগীরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান। তাঁদের সঙ্গে আমার একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অনেকে খুশি হয়ে আমাকে উপহার দিতে চান। কিন্তু আমি তাঁদের বলি, সুস্থ হয়ে ওঠার পরে আপনাদের মুখের হাসিই আমার সবচেয়ে বড় উপহার।
উল্লেখ্য, এপ্রিল মাসের শেষের দিকে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে জেলায় ফিরে করোনা পজিটিভ বলে চিহ্নিত হন মানিকচকের নারিদিয়ারা এলাকার এই বাসিন্দা। চিকিৎসা হয়েছিল শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখান থেকে ফিরে কিছুদিন বিশ্রাম নিয়ে এই দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ভিন জেলায় কাজ করতে যাওয়া এই শ্রমিকের একটিই প্রার্থনা, যত দ্রুত সম্ভব করোনামুক্ত হোক পৃথিবী।