বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর পুলিস জেলার পক্ষ থেকেও এধরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানকার করোনা আক্রান্ত পুলিস কর্মীদের জন্য পাঞ্জিপাড়ায় আলাদা সেফ হোমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও সেখানে এখনও পর্যন্ত কেউ ভর্তি নেই।
রায়গঞ্জ পুলিস জেলার এসপি সুমিত কুমার বলেন, আমরা পুলিস কর্মীদের জন্য আলাদা সেফ হোমের ব্যবস্থা করেছি। রায়গঞ্জ পুলিস জেলার হোমগার্ড ও সিভিল ডিফেন্সের ট্রেনিং সেন্টারে ওই সেফ হোমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে পুলিসের তরফে সমস্ত পরিষেবা দেওয়া হবে। নিয়মিত চিকিৎসা জন্য সেখানে চিকিৎসকরা আসবেন। সুস্থ থাকার জন্য সেখানে পুলিস কর্মীরা নিয়মিত শরীরচর্চাও করতে পারবেন।
ইসলামপুর পুলিস জেলার এসপি শচীন মক্কর বলেন, পাঞ্জিপাড়ায় যে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারটি ছিল, সেটিকেই বর্তমানে আমাদের কর্মীদের জন্য সেফ হোম হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত আমাদের কোনও লোক সেখানে নেই। পরবর্তীকালে চিকিৎসকদের নির্দেশ মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রায়গঞ্জ পুলিস জেলার বিভিন্ন থানার মোট ৬৪ জন পুলিস কর্মী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ১২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। বাকিরাও চিকিৎসায় যথেষ্ট ভালো সাড়া দিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। শুধু রায়গঞ্জ থানারই ১৮ জন পুলিস কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন আপাতত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেলেও বাকিরা সরকারি সেফ হোম বা কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ইসলামপুর পুলিস জেলার সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং পুলিস কর্মীর মিলিয়ে মোট ৩৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্য থেকে ইতিমধ্যেই ১৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। বাকিদের চিকিৎসা চলছে।
এদিকে রায়গঞ্জের কোভিড হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে একাধিক বার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সেফ হোম নিয়েও। এরপরই জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে রায়গঞ্জ পুলিস জেলার তরফে পৃথক সেফ হোম তৈরি করা হয়। করোনা মোকাবিলায় সামনের সারিতে থেকে প্রথম দিন থেকে লড়াই করে যাচ্ছেন পুলিস কর্মীরা। সবরকম সতর্কতা মেনে চললেও অনেক সময়ই তাঁদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। দুই পুলিস জেলা মিলিয়ে মোট প্রায় ১০০ জন করোনা আক্রান্ত। তাঁদের চিকিৎসার জন্যই আলাদা করে দু’জায়গায় দু’টি সেফ হোম বানানো হয়েছে।