বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
নদী পাড়ের বেশ কিছু গ্রামে বিদ্যুৎ পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। সার্বিকভাবে জেলাজুড়েই বিভিন্ন নদীর তীরবর্তী এলাকায় বিদ্যুতের সমস্যা প্রকট হয়ে উঠেছে। সেসব এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বিদ্যুৎ পরিষেবা একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছে। এলাকার পথবাতিগুলো কাজ করছে না। ফলে বিভিন্ন প্লাবিত এলাকা এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলো অন্ধকারে থাকছে। সাপ ও পোকামাকড়ের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। যদিও বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্তাদের বক্তব্য, প্লাবিত এলাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। নদীপাড়ের বাসিন্দারা বলেন, যেসব এলাকা প্লাবিত নয়, সেই গ্রামগুলির বাসিন্দাদেরও ভুগতে হচ্ছে।
এবিষয়ে জেলা বিদ্যুৎ দপ্তরের রিজিওনাল ম্যানেজার চন্দন মণ্ডল বলেন, যেসব এলাকায় জল ঢুকে গিয়েছে, সেখানে এমনিতেই বিদ্যুৎ পরিষেবা না থাকারই কথা। তবে পার্শ্ববর্তী এলাকায় পরিষেবা ঠিকঠাকই চলছে। কোথাও কোনও সমস্যা হলে দেখে নেওয়া হবে। তবে এবিষয়ে আমার কাছে সুনির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ নেই।
গাজোল ব্লকের সালাইডাঙার বাসিন্দা সিমন হাঁসদা বলেন, এলাকার বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় জল ঢুকেছে। বিদ্যুৎ পরিষেবা বলতে কিছু নেই। যেসব এলাকায় জল ওঠেনি, সেখানেও বিদ্যুৎ থাকছে না। ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকায় আমরা জলও পাচ্ছি না। সালাইডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের সঞ্জয় বেসরাও বিদ্যুৎ নিয়ে সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানাব।
পুরাতন মালদহ শহরের মহানন্দা নদীর তীরবর্তী অসংরক্ষিত এলাকার বাসিন্দা সীমা ঘোষ বলেন, জল বেড়ে যাওয়ার পরেই এলাকার পথবাতিগুলি অকেজো হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ পরিষেবাও খানিক ব্যাহত হচ্ছে। অন্ধকার রাস্তায় যাতায়াত করতে সমস্যা হচ্ছে। এলাকায় সাপ ও পোকামাকড়ের উপদ্রব বেড়ে গিয়েছে। এনিয়ে আমরা আতঙ্কিত।
মালদহের গঙ্গা, মহানন্দা, ফুলহর নদীর পাশাপাশি টাঙন ও বেহুলা নদীর জল বেড়ে গিয়ে বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কোথাও জলের তোড়ে ছোট রাস্তা বা কালভার্ট ভেঙে এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সেসব এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়েছে। পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতেও পরিষেবা ঠিকঠাক মিলছে না। এছাড়াও রতুয়ার সুজাপুর, মানিকচকের ভূতনি এলাকাতেও বিদ্যুৎ পরিষেবা মাঝেমধ্যেই বিঘ্নিত হচ্ছে।