বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন, পেসমেকার বিস্ফোরণের ফলে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দিয়েছে। সেজন্যই আপাতত শব দাহ করা যাচ্ছে না। তবে লোলাবাগ শ্মশানের যান্ত্রিক ক্রটি মেরামতের জন্য তাঁরা উদ্যোগ নিয়েছেন। এবিষয়ে পুরাতন মালদহ পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য চন্দনা হালদার বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। শব দাহ নিয়ে মানুষ যাতে দুর্ভোগ না পড়েন সেজন্য আমরা তৎপর রয়েছি। পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার প্রবীরকুমার রায় বলেন, শ্মশানে সপ্তাহ খানেক ধরে শব দাহ প্রক্রিয়া বন্ধ আছে।
পূর্ত দপ্তরের মালদহ জেলা ইঞ্জিনিয়াররা বলেন, মানব দেহে যে পেসমেকার বসানো থাকে তা ব্যাটারিচালিত। যদি মৃত্যুর পর দেহ থেকে সেই পেসমেকার সরিয়ে না নেওয়া হয়, তাহলে তা থেকে বিষ্ফোরণ ঘটতে পারে। এব্যাপারে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক অজিতকুমার মৌলিকও একমত। তিনিও বলেন, বৈদ্যুতিক চুল্লিতে পেসমেকার সহ দেহ ঢোকালে বিস্ফোরণ হতেই পারে।
এবছরই ১১ মার্চ লোলাবাগ শ্মশানের ওই চুল্লির উদ্বোধন হয়। বৈদ্যুতিক চুল্লির জন্য প্রথমে বরাদ্দ করা হয়েছিল এক কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। পরে নানা কারণে খরচ আরও বেড়ে যায়। আরও এক কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। তা বিকল হয়ে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে। পুরাতন মালদহ, গাজোল, বামনগোলা, রতুয়া সহ একাধিক ব্লকের বাসিন্দারা এখানে শব দাহ করতে পারছেন না।
ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, বৈদ্যুতিক চুল্লিতে সব দাহ করার আগে দেহ থেকে পেসমেকার খুলে নেওয়ার বিষয়টি লক্ষ্যই করেননি দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। তাঁদের গাফিলতির ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের মতে, শব দাহ করার সময় চুল্লিতে যেকোনও ধরনের বিস্ফোরণ হলে চুল্লির ডাক্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তা হলে চুল্লি কাজ করা বন্ধ করে দেয়।