কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
দেশে ৪৩টি গ্রামীণ ব্যাঙ্কে শাখার সংখ্যা ২২ হাজার। ব্যাঙ্কের ডিপোজিট অ্যাকাউন্টের সংখ্যা প্রায় ৩০ কোটি এবং লোন অ্যাকাউন্ট রয়েছে প্রায় ৩ কোটি। এই ব্যাঙ্কের গঠনগত বৈশিষ্ট্য হল, এর ৫০ শতাংশ মালিকানা কেন্দ্রীয় সরকারের, ১৫ শতাংশ রাজ্য সরকারের এবং ৩৫ শতাংশ কোনও বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের।
এক্ষেত্রে ১১টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ও ১টি বেসরকারি ব্যাঙ্কের আওতায় এক বা একাধিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক আছে। যেহেতু মালিকানার অন্যতম অংশীদার তারা, তাই এই বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিই গ্রামীণ ব্যাঙ্কের স্পনসর্ড ব্যাঙ্ক হিসেবে কাজ করে।
কেন গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সঙ্গে স্পনসর্ড ব্যাঙ্কের সংযুক্তির প্রয়োজন? সংগঠনগুলি বলছে, প্রথমত, গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলিতে মূলধনের অভাব আছে। তা এতটাই কম, ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক স্থিতি নিয়েই প্রশ্ন থাকছে। স্পনসর্ড ব্যাঙ্কের সঙ্গে মিলে গেলে তাদের মূলধনের জন্য সরকারের বাজেট বরাদ্দের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। মূলধনী বাজারের নাগাল তারা পাবে। তাতে সরকারেরও আর্থিক দায় কমবে। দ্বিতীয়ত, গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলির পরিচালনা বা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব স্পনসর্ড ব্যাঙ্কের পাশাপাশি নাবার্ডের। এক্ষেত্রে সুষ্ঠু পরিচালনা সম্ভব নয়। তৃতীয়ত, একই এলাকায় গ্রামীণ ব্যাঙ্ক এবং স্পনসর্ড ব্যাঙ্ক একই গ্রাহক বৃত্তের মধ্যে ব্যবসার প্রতিযোগিতা করছে। যদি তারা মিলে যায়, তাহলে গ্রাহক আরও ভালো পরিষেবা পাবেন। চতুর্থত, এই সংযুক্তিতে গ্রামীণ ব্যাঙ্ক প্রযুক্তিগত দিক থেকে আরও ভালো হবে এবং আধুনিকতম আর্থিক পরিষেবা পাবেন গ্রাহক।
অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সর্বভারতীয় সভাপতি রাজেন নাগর বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি, গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলিকে মূল ব্যাঙ্কের সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। এবার আমাদের সঙ্গে একই দাবিতে সরব হয়েছে অফিসার সংগঠনও। আমাদের বক্তব্য, একই এলাকায় যখন স্পনসর্ড ব্যাঙ্ক এবং গ্রামীণ ব্যাঙ্ক একযোগে কাজ করছে, সেখানে দু’টি প্রতিষ্ঠান মিলে গেলে পরিষেবা আরও ভালো হবে। তবে আমরা সবসময়ই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সংযুক্তির বিরুদ্ধে লড়ব। তার কারণ, কেন্দ্রীয় সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সংখ্যা অনেকটা কমিয়ে আনতে চাইছে। এতে বেসরকারি ব্যাঙ্কের রমরমা বাড়বে। তাতে অনেকটাই বেড়ে যাবে গ্রাহকের পরিষেবার খরচ। তাছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে তলানিতে নামানো দেশের অর্থনীতির ক্ষেত্রেও মোটেই সুখকর নয়।