আড়াই মাসের টানটান উত্তেজনা শেষে আজ, শনিবার ভোটযুদ্ধের মেগা ফাইনাল। অন্তিম পর্বেও মহা তারকাদের জমজমাট লড়াই দেখতে চলেছে দেশবাসী। আর তারপরই অপেক্ষা সেই প্রতীক্ষিত উত্তরের। দিল্লি কার? মোদি নাকি মহাজোট ইন্ডিয়ার?
ধর্মীয় বিভাজন ইস্যু হয়নি। সামনে এসেছে বেকারত্ব। ইস্যু হয়নি ৪০০ পারের স্লোগান। মানুষ ভেবেছে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে। তাই আজ, শনিবার শেষ দফার ভোটের আগে আত্মবিশ্বাসী মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’। আত্মবিশ্বাসী কংগ্রেস।
দুই শিবিরের হাতেই ছিল দু’টি করে ইস্যু। ‘ইন্ডিয়া’র অস্ত্র বেকারত্ব এবং মূল্যবৃদ্ধি। নরেন্দ্র মোদির হাতিয়ার, বিরোধীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এবং উগ্র ধর্মীয় বিভাজন। ৯৮ কোটি ভোটারের সিংহভাগ কোন ইস্যুকে বেছে নিয়েছে?
গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাফল্য। আর্থিক ও বিদ্যাবিষয়ে দিনটি শুভ। শুত্রুভাবাপন্নদের এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
হায়দরাবাদ ও নয়াদিল্লি: তিন দফা ভোট হয়ে গিয়েছে। হঠাৎই বেসুরো নরেন্দ্র মোদি। এবার দুই শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে যোগসাজশ নিয়ে পাল্টা কংগ্রেসকে নিশানা করলেন তিনি। এতদিন ওই শিল্পগোষ্ঠীগুলিকে অবৈধভাবে ‘বিশেষ সুবিধা’ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়েছেন মোদি। কিন্তু বুধবার তেলেঙ্গানার একটি জনসভায় আক্রমণের তির বিরোধী, বিশেষ করে কংগ্রেসের দিকে ঘুরিয়ে দিলেন তিনি। নাম না করলেও রাহুল গান্ধীকে বিঁধে তাঁর প্রশ্ন , এতদিন ধরে এত অভিযোগ তুলে ভোটের সময় আচমকা চুপ করে গেল কেন কংগ্রেস? তাহলে কি ওই শিল্পগোষ্ঠীগুলির কাছ থেকে টাকা পেয়েছে তারা? মোদির এই সুরবদল নিয়ে ব্যাপক জল্পনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ নস্যাৎ করে কংগ্রেসের দাবি, ভোটে হারের ভয় থেকেই এমন কথা বলছেন মোদি। প্রধানমন্ত্রীর আক্রমণের জবাব দিতে গিয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী জানিয়েছেন, রাহুল তাঁর অবস্থানে অনড়। তিনি ধারাবাহিকভাবে মোদি-ঘনিষ্ঠ শিল্পপতিদের বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে সরব। তাই মুখবন্ধ রাখার কোনও প্রশ্নই নেই। মোদির মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন রাহুল গান্ধীও। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন। টাকা দেওয়ার কথা জানলে মোদি ইডি, সিবিআই কেন পাঠাচ্ছেন না?
এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন হাত শিবিরের আরও বেশ কয়েকজন নেতা। হিন্দি গানের কলি ব্যবহার করে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের কটাক্ষ, ‘দোস্ত দোস্ত না রহা।’ তাঁর দাবি, তিন দফার ভোটের পর মোদির চেয়ার নড়ে গিয়েছে। এখন তিনি তাঁর ‘মিত্র’দেরই আক্রমণ করতে শুরু করেছেন। এর থেকেই ভোটের ফল কী হতে পারে তার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশের খোঁচা, ‘হার নিশ্চিত বুঝে এখন নিজের ছায়াকেও ভয় পাচ্ছেন মোদি।’
এদিন মোদি বলেছেন, রাফাল ইস্যুতে কোনও কাজ না হওয়ায় গত পাঁচ বছর ধরে ওই শিল্পপতিদের নিয়ে গলা ফাটাচ্ছিলেন ‘শাহজাদা’। কিন্তু ভোট ঘোষণার পর থেকেই ওই দু’জন শিল্পপতিকে নিয়ে আজেবাজে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছেন। নাম না করে রাহুল গান্ধীর উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, ভোটের জন্য ওই শিল্পপতিদের কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছেন? কত কালো টাকা ভর্তি বস্তা পেয়েছেন? টেম্পোতে চাপিয়ে কত নোট কংগ্রেসের অফিসে পৌঁছেছে? মোদি বলেছেন, পাঁচ বছর ধরে চিৎকার চেঁচামেচি করে এখন যখন রাতারাতি চুপ করে গিয়েছেন, তখন নিশ্চয়ই কিছু একটা ঘটেছে। এব্যাপারে দেশের মানুষের কাছে জবাব দিতে হবে তাঁকে।
উল্লেখ্য, ওই দুই শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে মোদির ঘনিষ্ঠতা নিয়ে বরাবরই অভিযোগ করে এসেছে কংগ্রেস। কিন্তু মোদি সেই অভিযোগ নিয়ে বরাবরই নিরুত্তর থেকেছেন। তৃতীয় দফার ভোট শেষ হওয়ার পর তিনি এই ইস্যুতে পাল্টা কংগ্রেসকে চাপে ফেলার চেষ্টা করলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন হাত শিবিরের আরও বেশ কয়েকজন নেতা। হিন্দি গানের কলি ব্যবহার করে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের কটাক্ষ, ‘দোস্ত দোস্ত না রহা।’ তাঁর দাবি, তিন দফার ভোটের পর মোদির চেয়ার নড়ে গিয়েছে। এখন তিনি তাঁর ‘মিত্র’দেরই আক্রমণ করতে শুরু করেছেন। এর থেকেই ভোটের ফল কী হতে পারে তার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশের খোঁচা, ‘হার নিশ্চিত বুঝে এখন নিজের ছায়াকেও ভয় পাচ্ছেন মোদি।’
এদিন মোদি বলেছেন, রাফাল ইস্যুতে কোনও কাজ না হওয়ায় গত পাঁচ বছর ধরে ওই শিল্পপতিদের নিয়ে গলা ফাটাচ্ছিলেন ‘শাহজাদা’। কিন্তু ভোট ঘোষণার পর থেকেই ওই দু’জন শিল্পপতিকে নিয়ে আজেবাজে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছেন। নাম না করে রাহুল গান্ধীর উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, ভোটের জন্য ওই শিল্পপতিদের কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছেন? কত কালো টাকা ভর্তি বস্তা পেয়েছেন? টেম্পোতে চাপিয়ে কত নোট কংগ্রেসের অফিসে পৌঁছেছে? মোদি বলেছেন, পাঁচ বছর ধরে চিৎকার চেঁচামেচি করে এখন যখন রাতারাতি চুপ করে গিয়েছেন, তখন নিশ্চয়ই কিছু একটা ঘটেছে। এব্যাপারে দেশের মানুষের কাছে জবাব দিতে হবে তাঁকে।
উল্লেখ্য, ওই দুই শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে মোদির ঘনিষ্ঠতা নিয়ে বরাবরই অভিযোগ করে এসেছে কংগ্রেস। কিন্তু মোদি সেই অভিযোগ নিয়ে বরাবরই নিরুত্তর থেকেছেন। তৃতীয় দফার ভোট শেষ হওয়ার পর তিনি এই ইস্যুতে পাল্টা কংগ্রেসকে চাপে ফেলার চেষ্টা করলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
