ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, আজ উদ্ধব থ্যাকারে যে কথা বলেছেন, সেই যুক্তিগুলিই এতদিন ধরে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী ও বিবৃতি। প্রথমে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, এনপিআর এবং এনআরসি কিছুই মহারাষ্ট্রের চালু করা হবে না বলে অবস্থান নিয়েছিল মহারাষ্ট্র সরকার তথা শিবসেনা। মহারাষ্ট্রের শিবসেনা সরকারের মধ্যেই রয়েছে দুই প্রধান জোটসঙ্গী কংগ্রেস এবং শারদ পাওয়ারের দল। কিন্তু গত কিছুদিন ধরেই এনপিআর চালু করার বিষয়ে সদর্থক মনোভাব প্রকাশ করেছেন উদ্ধব থ্যাকারে। এই নিয়ে সরকার ও জোটের অন্দরে টেনশন তুঙ্গে উঠেছে। এই টানাপোড়েনের মধ্যেই শারদ পাওয়ার দলের বৈঠক ডেকেছেন। এবং বৈঠকের পর গতকালই তিনি বলেছেন, উদ্ধব থ্যাকারের সঙ্গে এই এনপিআর নিয়ে তিনি কথা বলবেন। শারদ পাওয়ার বলেন, এটা জোটেরই সিদ্ধান্ত যে কোনওভাবেই সরকার এনআরসি, সি এ এ এবং এনপিআর চালু করবে না। শারদ পাওয়ারের এই ঘোষণার পরই গতকাল উদ্ধব থ্যাকারে জানান, তিনি দিল্লি যাচ্ছেন এবং সেইমতোই আজ দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেন। এরপর তাঁর সাক্ষাৎ হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। তবে রাজনৈতিক বিতর্ক যাতে না ছড়ায় তাই তিনি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও দেখা করেন বেশি রাতে। মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর উদ্ধব থ্যাকারে বলেছেন, মহারাষ্ট্রের জোট সরকার পাঁচ বছর চলবে। কোনও সমস্যাই নেই জোটের মধ্যে। মতান্তরও নেই। তিনি বলেন, এনপিআর নিয়ে সন্দেহ করার মতো আর কিছুই নেই। কারণ এনপিআর প্রক্রিয়ায় কোনও নথিপত্রই দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। এই দাবিই ছিল আমাদেরও। তবে উদ্ধবের এই এনপিআর এবং সি এ এ নিয়ে সুর নরম করার মধ্যে জোট শরিকদের বার্তা প্রদান কিনা সেই চর্চাই আপাতত তুঙ্গে।