কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, অনির্বাণের আকস্মিক ও অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। বহরমপুরের একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের দেওয়া মৃত্যুর শংসাপত্র দেখিয়ে তাঁকে দাহ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে মৃত্যু শংসাপত্র দেওয়ার নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে। ৩৭ বছর বয়সি একজন যুবকের অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর ক্ষেত্রে ময়নাতদন্ত আবশ্যিক। ময়নাতদন্ত না করার জন্য মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করার উপায়গুলি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ইস্যু করা ডেথ সার্টিফিকেটে কোনও পরীক্ষা ছাড়াই ‘কার্ডিয়াক ফেলিওর’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যা ক্লিনিক্যালি অস্বীকারযোগ্য এবং সন্দেহজনক। তাঁর রোগ নির্ণয়ের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত।
উল্লেখ্য, পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছিল, গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে কিছুটা শারীরিক অসুস্থতা বোধ করছিলেন অনির্বাণবাবু। পেটের গন্ডগোল চলছিল তাঁর। রাতে প্রচণ্ড অ্যাসিডিটি হওয়ায় স্ত্রীর কাছ থেকে গ্যাসের ওষুধ নিয়ে খেয়ে শুয়ে পড়েন। প্রচণ্ড গরম লাগায় তিনি মেঝেতে বিছানা করে শুয়েছিলেন। সকালে সেখানেই তাঁর নিথর দেহ দেখতে পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। তারপর সেখান থেকে একটি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসককে দেখিয়ে তাঁর ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে দেহ সৎকার করেন তাঁর বর্তমান স্ত্রী ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। তড়িঘড়ি দেহ দাহ করা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে।
অনির্বাণবাবুর শ্বশুর শান্তব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমার মেয়ের চার মাস ১৩ দিন বিয়ে হয়েছে। ওকে আমরা সামলাতে পারছি না। সেই সময় আমাদের যেটা সঠিক মনে হয়েছে, সেটাই করেছি।
এদিকে অনির্বাণবাবুর প্রথমপক্ষের স্ত্রী তথা চিকিৎসক শর্মি চট্টোপাধ্যায় বহরমপুর থানায় বুধবার একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। শর্মিদেবী বলেন, মৃত্যুর আগের দিন সন্ধ্যায় একটি অজানা নম্বর থেকে আমার মাকে ফোন করে ছেলের সঙ্গে খুব অল্প সময়ের জন্য কথা বলে অনির্বাণ। ছেলে থাকা সত্ত্বেও কেন তাকে দাহ করার সুযোগ দেওয়া হল না, সেটা জানতেই অভিযোগ করেছি।