কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
লাইফসেভিং অ্যাথলেটিক্সের সঙ্গে তেমন পরিচয় নেই রিষড়ার অনেক বাসিন্দারই। কিন্তু ঘরের ছেলে দেশের প্রতিনিধি হয়ে বিদেশের প্রতিযোগিতার আসরে যাচ্ছে, এ খবর পাওয়ার পর একপ্রকার হইহই পড়ে গিয়েছে গঙ্গাপাড়ের শহরে। মনোজিৎও উল্লসিত। মধ্যবিত্ত বাড়ির এই সন্তান আদপে সাঁতারু। বাংলায় অনুষ্ঠিত সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতাতেও অংশ নিয়েছেন। সাফল্যও পেয়েছেন। তবে এর পাশাপাশি সাঁতার জানার সুবাদে পেয়ে বসে মানুষের জীবন বাঁচানোর নেশাও। সেখান থেকেই পরিচয় লাইফসেভিং অ্যাথলেটিক্সের সঙ্গে। সম্প্রতি চেন্নাইয়ের ভাইজাগে ভারতীয় দলের নির্বাচন হয়। সেখানে জলের সঙ্গে লড়াই করে মানুষ বাঁচানোর কৌশল দেখিয়ে বিশ্ব আসরে যাওয়ার টিকিট পাকা করে ফেলেন মনোজিৎ। তারপর ঘরে ফিরেই অনুশীলনের জন্য নিজেকে ডুবিয়ে দিয়েছেন ‘জলে’।
বৃহস্পতিবার সকালে রিষড়ায় পুতুল নিয়ে প্রস্তুতি চালাচ্ছিলেন। জলের পাড়ে দাঁড়িয়ে তা তদারক করছিলেন প্রাক্তন সেনাকর্মী তথা মনোজিতের কোচ সুদীপ্ত নন্দী। মনোজিৎ বলেন, ‘জাতীয় দলে ১৫জন সদস্য। তার মধ্যে আমরা দু’জন বাঙালি। অন্যজন কলকাতায় অনুশীলন করেন। বিশ্ব খেতাবের আসরে সুযোগ পাওয়ার পর আমার আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। একজন বাঙালি হিসেবে আমার চ্যালেঞ্জ শুধু পদক জেতাই নয়, এই খেলাটিকে জনপ্রিয় করারও লক্ষ্য।’ সুদীপ্তবাবু বলেন, ‘বাংলায় অসংখ্য নদী। আছে জলাশয়ও। অথচ এই বাংলাতেই সেভাবে প্রচার পায়নি বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় লাইফসেভিং অ্যাথলেটিক্স। মনোজিৎ গঙ্গার পাড়ে থাকা হুগলি তো বটেই বাংলার জন্যও দিশা দেখানোর কাজ করতে পারেন।’
জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে লড়াই সহজ নয়। অভিজ্ঞরা বলেন, সাঁতার জানলেও জলের বিরুদ্ধে লড়াই কঠিন। তাই জলের মধ্য থেকে ডুবন্ত মানুষকে বাঁচানো বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় একটি প্রতিযোগিতা হয়ে উঠেছে। প্রায় ৫০ দেশের প্রতিযোগী আগস্টে হাজির হবেন অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্রতটে। বিশ্বচ্যাম্পিয়ানদের সেই আসরে এবার এক বঙ্গসন্তানের লড়াই। বিশ্বআঙিনায় নিজের ও বাংলার ছাপ রেখে আসার চ্যালেঞ্জও রয়েছে। সে স্বপ্ন নিয়েই এখন দিনরাত এক করে জলকে পরাজিত করার কৌশল রপ্ত করে চলেছেন এক অকুতোভয় যুবক।