কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরের এক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বালি-পাথর-জমি মাফিয়ারা ওই সাদা পাথর বিক্রি করছে। সেসব তাড়াতাড়ি গুঁড়ো হয়ে যায়। ফলে রাস্তা তাড়াতাড়ি ভেঙে যাচ্ছে। তাদের জন্য আমরা কেন বদনামের ভাগীদার হব? ওই মাফিয়ারা এভাবে টাকা রোজগার করে তার ভাগ বিজেপিকেও দিচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন। তাঁর পরিষ্কার বক্তব্য, আমরা পার্টি ফান্ডে এরকম টাকা চাই না। সরকারি প্রকল্পের টাকা পার্টি ফান্ডে ঢুকতে দেব না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শুনেছি, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে তাদের আধিকারিকরা ৩ শতাংশ হারে টাকা নেয়! এটা এখানে চলবে না।
প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী রাস্তার প্রসঙ্গে জানান, সম্প্রতি তিনি উত্তরবঙ্গে গিয়ে রাস্তায় বড় বড় গর্ত দেখেছেন। ওই রাস্তা অবশ্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের। বিষয়টি নিয়ে পূর্তসচিবকে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পূর্তসচিব অন্তরা আচার্য বলেন, এখন রাস্তা নির্মাণকারীদের সংশ্লিষ্ট রাস্তা পাঁচবছরের জন্য রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিতে হয়। তখনই মুখ্যমন্ত্রী রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের সাদা পাথর ব্যবহারের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন।
এদিনের বৈঠকে সরকারি বাড়ির ছাদে লাল-গেরুয়া রং ব্যবহার করা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরবঙ্গে গিয়ে তিনি এটা দেখে এসেছেন। যেখানে রাজ্য সরকার অনুমোদিত আকাশি নীল রং আছে, সেখানে এটা কেন করা হবে? এই প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর নির্দেশ, নবান্নে যে আকাশি নীল রং ব্যবহার করা হয়েছে, সেটাই হবে মডেল। সাফ সাফ নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। কারণ অনেক জায়গায় ঠিকঠাক আকাশি নীল রং ব্যবহার করা হচ্ছে না। বিষয়টি সম্পর্কে সব দপ্তরকেই অবহিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মুখ্যসচিবকে। রং ইস্যুতে কেন্দ্রের সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মেট্রো রেল গেরুয়া করে দেওয়া হচ্ছে। তাঁর প্রশ্ন, সরকারি জায়গায় কেন এভাবে একটা পার্টির রং দেওয়া হবে? আমরা তো রাজ্য সরকারের সম্পত্তিতে পার্টির রং ব্যবহার করি না। সেখানে ওরা কেন তা করবে?
আসানসোলে পুকুর ভরাট করে বাড়ি করেছে আরএসএস। মুখ্যমন্ত্রীকে এমনই অভিযোগ করেছেন মন্ত্রী মলয় ঘটক। এতে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস এরকম করলে তো বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়, গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে পুলিসকে জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আরএসএস এটা কীভাবে করল? রং বিচার করছে পুলিস! অভিযোগপত্রটি পুলিসকর্তা মনোজ ভার্মার কাছে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।