বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
ওই তিনটি বিলের উপর আলোচনায় অংশ নেন কংগ্রেসের সুদীপ মুখোপাধ্যায়, সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্য এবং তৃণমূলের জীতেন্দ্রকুমার তেওয়ারি ও জটু লাহিড়ি। সুদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ভোটে এত ভয় কীসের? সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্য বলেন, আপনাকে মেয়র করতেই কলকাতা পুরসভায় এই আইন পাশ হয়েছিল। এখন সব পুরসভায় তা করছেন? এটা কেন, লোকের অভাব? কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ভোট না করে প্রশাসক বসানো হচ্ছে কেন? তার আবার মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। ১৯৯৮ সালে সিপিএমের খারাপ ফল হওয়ার পরে জ্যোতি বসুকে অনেকে বলেছিলেন, পঞ্চায়েত ভোট পিছিয়ে দিন, তিনি কিন্তু রাজি হননি। আপনারা মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া পুরসভাগুলিতে ভোট করছেন না, প্রশাসকের মেয়াদ বাড়িয়ে যাচ্ছেন।
তৃণমূলের জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, যদি প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী মনোনীত হওয়ার পর ছ’মাসের মধ্যে জিতে আসতে পারেন, তাহলে মেয়র বা চেয়ারম্যানরা হতে পারবেন না কেন? তাঁদের এই সম্মান দেওয়ায় আমরা খুশি। প্রশাসক বসানোর আইন তো অশোক ভট্টাচার্যরাই করে গিয়েছিলেন। বর্তমান পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম তার মেয়াদ বাড়াচ্ছেন মাত্র। উল্লেখ্য, এর আগে ছ’মাসের জন্য প্রশাসক বসানোর মেয়াদ ছিল। তা বাড়িয়ে দেড় বছর করা হল।
বিল নিয়ে আলোচনা শেষে জবাবি ভাষণ দিতে গিয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, আমরা নির্বাচনকে ভয় পাই না। মানুষের ভোটে জিতেই আমরা সরকারে এসেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে বিশ্বাসী। দলবদলও করব না। প্রশাসক বসানোর আইন বাম আমলে হয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর মতো ছ’মাসের মধ্যে মেয়র ও চেয়ারম্যানকে জিতে আসতে হবে। যোগ্য লোককে পুরসভায় সুযোগ দিতেই এই আইন। এছাড়া ঠিক হয়েছে, বনসৃজন ও জলাশয় রক্ষার জন্য সম্পত্তি করে ছাড় দেওয়া হবে। যদি কারও বাড়িতে পুকুর বা বাগান থাকে, তাহলে সেই অংশের সম্পত্তি কর দিতে হবে মাত্র ১০ শতাংশ। সেই অংশে ৯০ শতাংশ ছাড় পাবেন বাড়ির মালিকরা।
সম্পত্তি করের সাধারণ পুনর্মূল্যায়ন ছ’বছর অন্তর হয়ে থাকে। কোনও বাড়ির সাধারণ পুনর্মূল্যায়ন বা জেনারেল রিভ্যালুয়েশন (জিআর) যদি বাকি থাকে, তাহলে পুরনো হারেই কর নিতে হবে, নতুন হারে কর নেওয়া যাবে না, করের বোঝা চাপানো যাবে না বলে পুরমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, তবে দেখা যায় যে, অনেক ক্ষেত্রে অনেকের সম্পত্তির ১৫, ২০ এমনকী ২৫ বছর জিআর করা হয়নি। তাঁদের ক্ষেত্রে পুরনো জের হিসেবে মাত্র দুটি টার্মের জিআর করা হবে।
তিনি বলেন, আমি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর দেখতে পাচ্ছি, অনেক বাড়ির সম্পত্তি করের মূল্যায়ন বাকি রয়ে গিয়েছে। বেহালা-যাদবপুরের মতো এলাকায় দেড়-দু’ দশক ধরে জিআর বাকি। পরে তাঁদের নোটিস দেওয়া হয়। অনেকগুলি পর্যায়ে বার্ষিক মূল্যায়ন একসঙ্গে করার ফলে সাধারণ নাগরিকদের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ছ’বছর অন্তর যদি মূল্যায়ন বা অ্যাসেসমেন্ট না হয়, তাহলে ফের অ্যাসেসমেন্টের নোটিস করা যাবে না। সেই বাড়ির মালিককে পুরনো হারে কর দিতে হবে। নতুন হারে কর নেওয়া যাবে না। পাশাপাশি, জিএসটি চালু হওয়ার পর বিজ্ঞাপন কর নেওয়া যেত না, এবার বিজ্ঞাপন ফি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যত্রতত্র যাতে হোর্ডিং লাগানো না হয়, তারজন্য এই ফি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে পুরমন্ত্রী জানান।