বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
মৃৎশিল্পীদের ঘরে এদিন থেকেই শুরু হয়ে গেল শারদোসবের ব্যস্ততা। দেখা গেল, কয়েকটি বনেদি বাড়ি থেকে পুজো করা কাঠামো নিয়ে আসা হয়েছে। বনমালি সরকার স্ট্রিটে শিল্পী প্রদীপ পালের অধীনে কাজ করেন হুগলির খানাকুলের বাসিন্দা স্বপন পাল ও মুর্শিদাবাদের জীবন ঘোষ। কথা প্রসঙ্গে তাঁরা জানান, সকাল থেকে গড়িয়া, কলকাতার পাথুরিয়াঘাট স্ট্রিট ও হাওড়ার দাশনগর থেকে তিনটি কাঠামো এসেছে। একচালার প্রতিমাতে মূল কাঠামোর সঙ্গে পুজো করা ওই কাঠামো জুড়ে দেওয়া হবে। জলে প্রতিমা দেওয়ার আগে ওই পুজো করা কাঠামো ফের খুলে তা দুর্গা মণ্ডপে রেখে দেওয়া হয়। সারা বছর ধরে তাতে ধূপ প্রদীপ দিয়ে থাকেন সংশ্লিষ্ট বাড়ির লোকজন।
এদিন শিল্পী সুকান্ত পালের ঘরে গিয়ে দেখা গেল, সেখানে বেশ কিছু কাঠামো রেখে চলছে পুজো অর্চনা। তিনি বলেন, বাপ ঠাকুরদার সময় থেকেই চলছে এই রীতি। আমাদের এখানে প্রতি বছরই এই দিনে বেশ কিছু কাঠামো পুজো করা হয়। যাঁরা বায়না করে যান, এই কাঠামো নিয়ে আমরা তাঁদের বাড়িতে গিয়ে প্রতিমা তৈরি করে দিয়ে আসি। ওই শিল্পী বলেন, এবার প্রতিমা তৈরির বেশি বরাত পেয়েছি আড়িয়াদহ, দক্ষিণেশ্বর, টালিগঞ্জ এলাকা থেকে। ওই চত্বরে ঢাকেশ্বরী মন্দিরেও অনেকে কাঠামো পুজোর কাজ সারেন।
এদিন মৃৎশিল্পী সুভাষ পাল ও তারক পালের ঘরে গিয়ে দেখা গেল, সেখানে কাটোয়ার ডাকের সাজের আদলে দুর্গাপ্রতিমা তৈরির বায়না দিতে এসেছেন ঠাকুরপুকুর সত্যেন পার্ক এলাকার কয়েকজন মহিলা। বরুণা দাস, অর্চনা ভট্টাচার্য, সুজাতা মুখোপাধ্যায়, সুস্মিতা চন্দ’রা বলেন, আমাদের মহিলা পরিচালিত এই পুজো এবার ৩৮ তম বর্ষে পড়ল। প্রতি বছর রথযাত্রার এই দিনে আসি প্রতিমার বায়না দিতে। আমরা কিছু টাকা দিয়ে বায়না করে গেলাম। কিছুদিন বাদে ফের খোঁজখবর নেব, কতটা হল। সব মিলিয়ে এই দিনটি জুড়ে রয়েছে আলাদা নস্টালজিয়া। সারা বছর এই দিনটির জন্য আমরা মুখিয়ে থাকি। রবীন্দ্র সরণী, কুমোরটুলি স্ট্রিট, বনমালি সরকার স্ট্রিট সহ পটুয়াপাড়া জুড়ে এদিন বিভিন্ন শিল্পীর ঘরে পুজোর উদ্যোক্তাদের দেখা গেল প্রতিমা বায়না করতে। প্রায় সবাই শিল্পীর ঘরে এসেছেন নতুন পোশাক পরে।