বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
লালা চৌধুরি নামে ওই ফুচকাওয়ালার সঙ্গে কারও কোনও শত্রুতা ছিল কি না তাঁর পরিবারের লোকজন স্পষ্ট করে পুলিস কিছু জানাতে পারেননি। ২৯ নম্বর রেলগেটের কাছে একটি ঝোপের মধ্যে থেকে মুণ্ডহীন অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, দেহ থেকে মুণ্ডচ্ছেদ করার পর যে পরিমাণ রক্ত বের হয় ঘটনাস্থল থেকে সেই পরিমাণ রক্ত মেলেনি। ফলে, প্রাথমিক তদন্তে নেমে মনে হচ্ছে, ওই ফুচকাওয়ালাকে অন্য কোথাও মেরে ওই এলাকায় দেহ ফেলে দিয়ে গিয়েছে। আর তাঁকে যাতে কেউ চিহ্নিত করতে না পারে তার জন্য লোকাল ট্রেনের ভেন্ডারে কাটা মুণ্ড রেখে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা।
পরিবারের লোকজন পুলিসকে জানিয়েছেন, নিয়মিত তিনি নৈহাটি স্টেশনে ফুচকা বিক্রি করতে যেতেন। কাজ শেষে রাতে বাড়ি ফিরতেন। ঘটনার দিনও তিনি ফুচকা বিক্রি করতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তবে, আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। তবে, পুলিস আধিকারিকদের অনুমান, নৈহাটি থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে খুন করা হয়। তবে, প্রকাশ্যে খুন হয়ে থাকলে রক্তের চিহ্ন মিলত। ওই এলাকায় সেরকম কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে কোথাও নিয়ে গিয়ে খুন করে মুণ্ডহীন দেহ ফেলে রেখে চলে গিয়েছে? পরে, কাঁকিনাড়া ২৯ নম্বর রেলগেটের কাছে থেকে পুলিস দেহ উদ্ধার করে। আর হাসনাবাদ লোকালের ভেন্ডার থেকেই তাঁর কাটা মুণ্ড উদ্ধার হয়। মুণ্ডতে মোড়ানো প্লাস্টিকে ঠিকানা দেখে বারাসত থানার জিআরপি তা উদ্ধার করে। জিআরপি-র কর্মকতারা বিষয়টি নিয়ে বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে, পরিবারের লোকজনকে ডেকে দেহ শনাক্ত করা হয়। সাধারণ একজন ফুচকাওয়ালাকে ওরকম নৃশংসভাবে খুন করা হল তা পুলিসের কাছে এখনও পরিষ্কার নয়।