বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
অন্যদিকে, হুগলির আরেক ঐতিহ্যবাহী গুপ্তিপাড়ার রথ দেখার জন্যও সকাল থেকে মানুষ ভিড় জমাতে থাকেন। বিকাল সাড়ে তিনটা নাগাদ গুপ্তিপাড়ার রথের দড়িতে টান দেন ভক্তরা। রথ প্রায় দেড় কিলোমিটার টেনে মাসির বাড়িতে নিয়ে যান। গুপ্তিপাড়ার মতোই চন্দননগরের রথকে কেন্দ্র করে চুঁচুড়া ও চন্দননগর এলাকার মানুষের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। তালডাঙার এই রথ টানার জন্যও দুপুরের পর থেকে ভক্তরা ভিড় করেন। মাহেশ, বৈদ্যবাটি, চন্দননগরের রথের জন্য এদিন সকাল ১০ টার পর থেকেই জি টি রোডে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও বাঁশবেড়িয়া, সিঙ্গুর ও জেজুড়ের রথযাত্রা দেখার জন্য প্রচুর মানুষ ভিড় জমান। জেজুড়ে রথযাত্রা উপলক্ষে মেলাও বসেছে। ৭ দিন ধরে এই মেলা চলবে।
মাহেশের জগন্নাথ ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক সৌমেন অধিকারি বলেন, এই রথযাত্রায় চৈতন্যদেব, সারদা মা, রামকৃষ্ণ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো মহান ব্যক্তিত্ব হাজির হয়েছিলেন। এবারই প্রথম রাজ্যের কোনও মুখ্যমন্ত্রী মাহেশের রথের দড়িতে টান দিলেন। তিনি বলেন, প্রথমে মাহেশের রথ কাঠের ছিল। বর্তমানে যে রথটি রয়েছে সেটি ১৩০ বছরের পুরনো। প্রায় ৫০ ফুট উঁচু নয়টি চূড়ায় সজ্জিত এই রথ তৎকালীন সময়ে বাগবাজারের কৃষ্ণচন্দ্র বসু দান করেন। চারতলা এই রথের প্রথম তলায় শ্রীচৈতন্যলীলা, দ্বিতীয় তলায় কৃষ্ণলীলা, তৃতীয় তলায় রামলীলা ও চতুর্থ তলায় জগন্নাথ দেব সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। তাই শতাব্দী প্রাচীন এই রথযাত্রাকে ঘিরে সাধারণ মানুষের উৎসাহের অন্ত নেই। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাহেশে আসা ভক্তদের সংখ্য হাজার ছাড়িয়ে লাখের কোঠা পার করে। জগন্নাথ মন্দির, স্নান পিঁড়ির মাঠ থেকে মাসির বাড়ি পর্যন্ত যেদিকে চোখ গিয়েছে মানুষের কালো মাথা ছাড়া আর কিছু চোখে পড়েনি। একই চিত্র দেখা গিয়েছে গুপ্তিপাড়াতেও। মন্দির থেকে মাসির বাড়ি পর্যন্ত দুপুর থেকেই তিল ধারণের জায়গা ছিল না।