বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বিদেশের বহু চিড়িয়াখানাতেই এমন প্রযুক্তি রয়েছে। চীন, জাপান, দুবাইয়ের মতো জায়গায় দর্শকরা এই ‘ভারচ্যুয়াল রিয়েলিটি’র মধ্য দিয়ে জঙ্গলের অনুভূতি পান। ঘুরে ঘুরে খাঁচায় বন্দি পশুপাখিদের দেখার পাশাপাশি রোমহর্ষক এই অনুভূতি দর্শকদের শিহরিত করে। এমন ব্যবস্থাই এবার আসছে আলিপুরে। দেশের মধ্যে প্রথম কলকাতায় তা হবে বলে দাবি চিড়িয়াখানার কর্তাদের। স্টেট জু অথরিটি সূত্রে খবর, কোন সংস্থাকে এই কাজের বরাত দেওয়া হবে, তা নিয়ে কাজ চলছে। কেন এই উদ্যোগ, সে সম্পর্কে সদস্য সচিব বলেন, আরও বেশি দর্শক টানতে এবং সাধারণ মানুষকে জঙ্গলের পরিবেশের অনুভূতি দিতেই এটা করা হচ্ছে। একটা সচেতনামূলক বার্তাও দেওয়া যাবে।
কীভাবে কাজ করবে এই প্রযুক্তি? ঘরে ঢুকলেই মনে হবে যেন জঙ্গলে বিভিন্ন পশু ঘুরে বেড়াচ্ছে। উড়ে যাচ্ছে পাখির দল। হঠাৎ দেখা যাবে, সামনে দিয়ে গণ্ডার দৌড়ে চলে গেল। দূর থেকে ভেসে আসবে বাঘ-সিংহদের গর্জন। গাছের উপর থেকে ঘাড়ে নেমে আসতে পারে অ্যানাকোন্ডাও। সঙ্গে পাখিদের ডাক। পুরোটাই অ্যানিমেশনের কেরামতি। এরকম পরিবেশ বহু সায়েন্স ফিকশন সিনেমায় দেখা যায়। বিশেষ করে জুরাসিক পার্ক কিংবা স্পাইডার ম্যান ছবিতে এই রকম অ্যানিমেশন ব্যবহার করা হয়েছে। এই নয়া প্রকল্প চালু হলে, দেশের প্রথম ভারচ্যুয়াল অ্যানিম্যাল পার্কের তকমা পেতে পারে আলিপুর চিড়িয়াখানা।
যে ঘরে এই নয়া প্রকল্প চালু করতে চাইছে কর্তৃপক্ষ, সেখানে এর আগে একাধিক কাজ হয়েছে। কিন্তু কোনওটাই সেভাবে জনপ্রিয় হয়নি। এই হলোগ্রাফিক অ্যানিমেশন চালু করলে, তা অনেক দর্শককেই আকৃষ্ট করবে। শীতে তা চালু হবে কি না, তা স্পষ্ট করে স্টেট জু অথরিটি না জানালেও, অন্দরের খবর, যত দ্রুত সম্ভব তা চালু করতে চায় তারা। চিড়িয়াখানার এক কর্তা বলেন, অ্যানাকোন্ডা, সিংহশাবকের পর এই নয়া প্রকল্প— সাধারণ মানুষের কাছে চিড়িয়াখানার আকর্ষণ অনেকটাই বেড়ে যাবে।