শীর্ষেন্দু দেবনাথ, কৃষ্ণনগর: নদীয়ার বিভিন্ন ব্লকের চাষিদের মধ্যে ক্রমেই বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষ জনপ্রিয় হচ্ছে। মূলত দুর্গাপুজোর সময়ে বা তার ঠিক পরেই বাজারে পেঁয়াজের জোগান কমে যাওয়ায় এই ফসল বাজারজাত করা যায়। সেইসময় ভালো দাম মেলায় ক্রমশ এর দিকে ঝুঁকছেন চাষিরা।
ব্রতীন দাস: করোনা সমগ্র মানব জাতিকে ঘরবন্দি করে ফেলেছে। নিজের ইচ্ছামতো ঘোরাফেরা বা বাজার-হাট করা এখন বিপজ্জনক। এই সময় যাঁদের বাড়ি সংলগ্ন কিছুটা জায়গা বা খোলা ছাদ, বারান্দা রয়েছে, তাঁরা সেই জায়গায় টবে শাক-সব্জি ফলাতে পারেন।
জমি তৈরি ও ভালো বীজ নির্বাচনের পর সঠিকভাবে ভালো মানের চারা তৈরি করতে হবে। তাহলেই আমন ধান চাষে ভালো ফলন পাওয়া যাবে। এমনটাই জানাচ্ছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। এক বিঘা ধান চাষের জন্য সাধারণভাবে ১০ কেজি পর্যন্ত বীজধান লাগে।
অনিমেষ মণ্ডল, কাটোয়া: ছাদজুড়ে সবুজ ধানের ‘খেত’। তিল থেকে সব্জি সবই ফলেছে। লকডাউনের মধ্যে বাড়ির ছাদের মিনিকিট প্রজাতির ধান, তিল চাষ করে তাক লাগালেন কাটোয়ার যুবক। দিনরাত ছাদের মধ্যে চলছে ফসলের পরিচর্যা।
নবজ্যোতি সরকার: উম-পুনে এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বারুইপুরের পেয়ারা চাষ। তার উপর এখন পেয়ারা বাগানে মাছির আক্রমণে মাথায় হাত চাষিদের। ঝাঁকে ঝাঁকে ফলের মাছি আক্রমণ করছে পেয়ারায়। ফল ছিদ্র করে তার ভিতরেই ডিম পাড়ছে।
মোহন গঙ্গোপাধ্যায়: সুনিশ্চিত পদ্ধতিতে ধান চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। তাঁদের মতে, এই পদ্ধতি সহজ ও সরল। এমনকী খরচও কম। প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে এতে ফলন বেশি পাওয়া যায়। আর সেকারণেই চিরাচরিত পথ ছেড়ে ‘সুধা’ পদ্ধতিতে ধান চাষের প্রসারে রাজ্য সরকারও কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
অলোক বন্দ্যোপাধ্যায়: আমন ধান চাষে সঠিক নিয়ম মেনে মাটি প্রস্তুত করার পর ভালো মানের চারা তৈরির দিকে নজর দিতে হবে। পাশাপাশি উঁচু, মাঝারি এবং নিচু জমিতে কী ধরনের ধানের বীজ থেকে চারা তৈরি করলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে, সে ব্যাপারে জেনে নিতে হবে কৃষি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে।
শীর্ষেন্দু দেবনাথ, কৃষ্ণনগর: উম-পুন পরবর্তী সময়ে মাত্র ১৮দিনে নদীয়া জেলায় কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদনের সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়িয়ে গেল। জুন মাসের শেষে লক্ষমাত্রা পেরিয়ে গিয়েছে। সবকিছু খতিয়ে দেখে দ্রুত আবেদনকারীরা যাতে কেসিসি পান তা নিশ্চিত করতে ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
ব্রতীন দাস: বৈচিত্র্যে জোর। মাছে-ভাতে বাঙালির স্বাদ বদলে চাহিদা বাড়ছে পেংবা মাছের। এটি পুঁটি গোত্রীয় মাছ। চাষ হয় মিষ্টি জলে। পেংবা মণিপুরের স্টেট ফিশ। চাষেও ঝামেলা নেই। কারণ, এই মাছ রাক্ষুসে নয়। রুই, কাতলা, মৃগেলের সঙ্গে নিশ্চিন্তে এক পুকুরে চাষ করা যায়।
সংবাদদাতা, দিনহাটা: এ বছর কোচবিহার জেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। গতবছর থেকে প্রায় ২০০০ হেক্টর অধিক জমিতে চাষিরা বোরো ধান লাগিয়েছেন। পাশাপাশি এবারে ধান রোপণ যন্ত্রের সাহায্যে ৫০০ হেক্টর জমিতে ধান লাগানোর ক্ষেত্রেও রেকর্ড তৈরি হয়েছে।
উমার ফারুক, হরিশ্চন্দ্রপুর, সংবাদদাতা: মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ও ২ ব্লকে বোরো ও আমন ধানের চাষ, দুটোই জনপ্রিয়। বর্তমানে জোরকদমে শুরু হয়েছে আমন ধান চাষ। চাষিরা বীজতলা প্রস্তুত করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
রামকুমার আচার্য সিউড়ি: বীরভূমে অ্যালোভেরা চাষ করে তৈরি হচ্ছে স্যানিটাইজার। নতুন আয়ের দিশা দেখাচ্ছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। রাজনগরের চন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের অধীন হরিপুরে অ্যালোভেরা বাগান তৈরি করেছে জেলা প্রশাসন। বর্তমানে অ্যালোভেরার পাতা দিয়ে স্যানিটাইজার তৈরি হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রায় ২১ কুইন্টাল অ্যালোভেরা কিনে স্যানিটাইজার তৈরির বরাত দিয়েছে জেলা প্রশাসন। বীরভূমের জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বলেন, রাজনগরের অ্যালোভেরা চাষ চলতি মরশুমে কাজে লেগেছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা সেই অ্যালোভেরা থেকে স্যানিটাইজার তৈরি করছেন। ওই স্যানিটাইজার বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হচ্ছে।
করোনা রুখতে মাস্কের সঙ্গেই স্যানিটাইজার ব্যবহারও জরুরি। তাই স্যানিটাইজার দিয়ে বার বার হাত ধোয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। গত ২৩ মার্চ থেকে রাজ্যজুড়ে লকডাউন ঘোষণা হয়েছিল। কিন্তু, মাস্ক বা স্যানিটাইজারের জোগান নিয়ে চিন্তা ছিল। সেই সময়ই জেলা প্রশাসন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে অ্যালোভেরাকে কাজে লাগিয়ে স্যানিটাইজার তৈরির পরিকল্পনা নেয়। তখন থেকে এখনও সমানে চলছে স্যানিটাইজার তৈরি।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, স্যানিটাইজার তৈরিতে অ্যালোভেরা জরুরি নয়। হু-এর গাইড লাইনে তা বলা নেই। কিন্তু, অ্যালোভেরার একাধিক গুণ রয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন প্রয়োজনেই অ্যালোভেরা ব্যবহার করা হয়। তার সঙ্গে সুগন্ধি। তাই বছর চারেক আগে তৈরি হওয়া অ্যালোভেরা বাগানই এখন ‘সঞ্জীবনী’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজনগরের হরিপুরে রুখা-শুখা জমিতে আয়ূষ উদ্যান তৈরি হয়। ২০১৬ সাল নাগাদ প্রায় ১০৪ বিঘা জমিতে সেই উদ্যান তৈরি হয়। তার মধ্যে প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে তৈরি হয়েছে অ্যালোভেরা বাগান। ১০০দিনের কাজের মাধ্যমে এলাকারই মহিলাদের কাজে লাগিয়ে ওই বাগান তৈরি হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজার চারা সেই বাগানে রয়েছে। অ্যালোভেরা বাগানের নাম ছড়াতেই কলকাতা থেকে এসে নিয়মিত একটি সংস্থা কিনে নিয়ে যেত। কিন্তু, লকডাউনের আগে থেকে তা কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই এবার জেলা প্রশাসনই অ্যালোভেরা কিনে স্যানিটাইজার তৈরির বরাত দিয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই বাগান চন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা সেই বাগানের পরিচর্যা করছেন। তা বিক্রি করে যেমন আয় হচ্ছে, তেমনি অন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা স্যানিটাইজার তৈরি করে উপার্জন করছেন। এমনকী, প্রস্তুত হওয়া স্যানিটাইজার বিভিন্ন সরকারি অফিস, বাজারে বিক্রি করেও মহিলারা আয়ের দিশা দেখছেন। পঞ্চায়েতের এক কর্তা বলেন, প্রতিদিন হরিপুরের ওই বাগান থেকে অ্যালোভেরা বিক্রি হয়। প্রতি কেজি অ্যালোভেরার দাম ২২টাকা। ইতিমধ্যে প্রায় ২১ কুইন্টাল বিক্রি করা হয়েছে। অ্যালোভেরা বিক্রি করে আগে প্রায় ৪০ হাজার টাকা পাওয়া গিয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এক সদস্যা রিঙ্কু কোনাই বলেন, অ্যালোভেরা চাষ করে লাভ হওয়ায় তা আরও বড় আকারে করা হচ্ছে।
করোনা রুখতে মাস্কের সঙ্গেই স্যানিটাইজার ব্যবহারও জরুরি। তাই স্যানিটাইজার দিয়ে বার বার হাত ধোয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। গত ২৩ মার্চ থেকে রাজ্যজুড়ে লকডাউন ঘোষণা হয়েছিল। কিন্তু, মাস্ক বা স্যানিটাইজারের জোগান নিয়ে চিন্তা ছিল। সেই সময়ই জেলা প্রশাসন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে অ্যালোভেরাকে কাজে লাগিয়ে স্যানিটাইজার তৈরির পরিকল্পনা নেয়। তখন থেকে এখনও সমানে চলছে স্যানিটাইজার তৈরি।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, স্যানিটাইজার তৈরিতে অ্যালোভেরা জরুরি নয়। হু-এর গাইড লাইনে তা বলা নেই। কিন্তু, অ্যালোভেরার একাধিক গুণ রয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন প্রয়োজনেই অ্যালোভেরা ব্যবহার করা হয়। তার সঙ্গে সুগন্ধি। তাই বছর চারেক আগে তৈরি হওয়া অ্যালোভেরা বাগানই এখন ‘সঞ্জীবনী’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজনগরের হরিপুরে রুখা-শুখা জমিতে আয়ূষ উদ্যান তৈরি হয়। ২০১৬ সাল নাগাদ প্রায় ১০৪ বিঘা জমিতে সেই উদ্যান তৈরি হয়। তার মধ্যে প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে তৈরি হয়েছে অ্যালোভেরা বাগান। ১০০দিনের কাজের মাধ্যমে এলাকারই মহিলাদের কাজে লাগিয়ে ওই বাগান তৈরি হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজার চারা সেই বাগানে রয়েছে। অ্যালোভেরা বাগানের নাম ছড়াতেই কলকাতা থেকে এসে নিয়মিত একটি সংস্থা কিনে নিয়ে যেত। কিন্তু, লকডাউনের আগে থেকে তা কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই এবার জেলা প্রশাসনই অ্যালোভেরা কিনে স্যানিটাইজার তৈরির বরাত দিয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই বাগান চন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা সেই বাগানের পরিচর্যা করছেন। তা বিক্রি করে যেমন আয় হচ্ছে, তেমনি অন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা স্যানিটাইজার তৈরি করে উপার্জন করছেন। এমনকী, প্রস্তুত হওয়া স্যানিটাইজার বিভিন্ন সরকারি অফিস, বাজারে বিক্রি করেও মহিলারা আয়ের দিশা দেখছেন। পঞ্চায়েতের এক কর্তা বলেন, প্রতিদিন হরিপুরের ওই বাগান থেকে অ্যালোভেরা বিক্রি হয়। প্রতি কেজি অ্যালোভেরার দাম ২২টাকা। ইতিমধ্যে প্রায় ২১ কুইন্টাল বিক্রি করা হয়েছে। অ্যালোভেরা বিক্রি করে আগে প্রায় ৪০ হাজার টাকা পাওয়া গিয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এক সদস্যা রিঙ্কু কোনাই বলেন, অ্যালোভেরা চাষ করে লাভ হওয়ায় তা আরও বড় আকারে করা হচ্ছে।
