কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
এবার ইউরোর আয়োজক জার্মানি। ২০০৬ বিশ্বকাপের পর ফ্রানৎস বেকেনবাওয়ারদের দেশে কোনও মেগা আসর বসেছে। স্বাভাবিকভাবেই টনি ক্রুজদের ঘিরে দেশবাসীর প্রত্যাশার পারদ ক্রমশ চড়ছে। গ্রুপ পর্বে নাগেলসম্যান-ব্রিগেডের ঝলমলে পারফরম্যান্স তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এটাকে অবশ্য চাপ হিসেবে দেখতে নারাজ ম্যানুয়েল নুয়েররা। নক-আউটেও দাপুটে ফুটবল উপহার দিয়ে অনুরাগীদের মুখে হাসি ফোটাতে চান তাঁরা। তবে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে নামার আগে রক্ষণ নিয়ে চিন্তায় চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের কোচ। কারণ, চোট সমস্যায় এই ম্যাচে অনিশ্চিত আন্তোনিও রুডিগার। কার্ড সমস্যায় খেলতে পারবেন না জোনাথান তা’ও। তাঁদের পরিবর্তে খেলোনা হতে পারে ওয়াডেমার ও নিকো শ্লটারব্যাককে। মাঝমাঠে অবশ্য ক্রুজ, অ্যান্ডরিচ, গুন্দোগানরা ছন্দে রয়েছেন। নিয়মিত গোল পাচ্ছেন জামাল মুসিয়ালা, কাই হাভার্টজ ও রিটজ। তাছাড়া পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৭ সালের পর জার্মানিকে হারাতে পারেনি ডেনমার্ক। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর নাগেলস্যান-ব্রিগেড। ম্যাচের আগে ডিফেন্ডার শ্লটারব্যাক বলছিলেন, ‘ডর্টমুন্ড স্টেডিয়ামে প্রায় ৮০ হাজার সমর্থকের সামনে সেরাটা উজাড় করে দিতে তৈরি। ডেনমার্কের বিরুদ্ধে জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।’
পক্ষান্তরে, চলতি ইউরোতে এখনও জয়ের মুখ দেখেনি ডেনমার্ক। গ্রুপ পর্বে তিনটি ম্যাচ ড্র করে নক-আউটে পৌঁছছে তারা। তাই দলের ভেদশক্তির অভাব নিয়ে চিন্তায় কোচ কাসপার হুলমান্ড। তাই জার্মানির বিরুদ্ধে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে স্ট্রাইকার রাসমুস হয়ল্যান্ডকে। মাঝমাঠে অবশ্য ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন দুরন্ত ছন্দে। গ্রুপ পর্বে স্লোভেনিয়ার বিরুদ্ধে জালও কাঁপিয়েছিলেন তিনি। আর রক্ষণে ভরসা জোগাতে তৈরি আন্দ্রেস ক্রিস্টেনসেন, জোয়াকিম অ্যান্ডরসন ও জানিক ভেস্টারগার্ড। জার্মানির বিরুদ্ধে নামার আগে কোচ কাসপার বলেন, ‘জার্মানির মাটিতে নাগেলসম্যানের দলের বিরুদ্ধে খেলতে তর সইছে না। বড় টিমের বিরুদ্ধে বারবরই আমরা উজ্জীবিত পারফরম্যান্স মেলে ধরি। শনিবারও তার অন্যথা হবে না।’