কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল ভারত। সেটাই ছিল টিম ইন্ডিয়ার শেষ কোনও আইসিসি ট্রফি জয়। গত বছর ঘরের মাঠে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার এখনও অনেকেই ভুলতে পারেননি। ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা তো ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার পর রীতিমতো আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন। চোখের জল আটকাতে পারেননি তিনি। পারবেনই বা কী করে! ক্যাপ্টেন হিসেবে একবার বিশ্বকাপ ছোঁয়াই যে তাঁর লক্ষ্য। তা পূরণে বদ্ধপরিকর হিটম্যান। তাঁর ব্যাটিং তাণ্ডবে উড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমি-ফাইনালেও ঝলসে ওঠে হিটম্যানের ব্যাট। সেই সঙ্গে ২০২২ সালে টি-২০ বিশ্বকাপে বাটলারদের কাছে হারের বদলা নেওয়ার কাজও সম্পূর্ণ। এবার ‘চোকার্স’দের হারিয়ে খরা কাটানোর পালা। সেই লড়াইয়ে ভারত তাকিয়ে রোহিতের ব্যাটে। কারণ, বিরাট কোহলি একেবারে ফর্মে নেই। তবু তাঁকে ওপেন করিয়ে যাওয়া নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কিন্তু ভারত অধিনায়ক জানিয়ে দিয়েছেন, ভিকে’র সঙ্গেই তিনি ফাইনালে ওপেন করতে নামবেন। এতেই প্রমাণিত অধিনায়ক শুধু মাঠে নেমে বুক চিতিয়ে লড়ছেন না, দুঃসময়ে সহ-খেলোয়াড়দেরও আগলাচ্ছেন।
কোহলি ফর্মে ফিরলে কপালে দুঃখ রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের। রাবাডার সঙ্গে তাঁর ডুয়েল দেখার অপেক্ষায় ক্রিকেট দুনিয়া। তারকা প্রোটিয়া পেসার এখনও পর্যন্ত নিয়েছেন ১২টি উইকেট। তুলনায় টুর্নামেন্টের পরিসংখ্যানে অনেকটাই পিছিয়ে বিরাট। ৭ ম্যাচে করেছেন মাত্র ৭৫ রান। তবু মোক্ষম সময়ে তাঁর জ্বলে ওঠার প্রত্যাশাতেই প্রহর গুনছেন ভক্তরা। কোহলির ব্যর্থতা ঢাকা পড়ে গিয়েছে ঋষভ পন্থ, সূর্যকুমারদের সাফল্যে। কঠিন সময়ে তাঁরা দলকে নির্ভরতা জুগিয়েছেন। সেই সঙ্গে হার্দিক পান্ডিয়ার অলরাউন্ড পারফরম্যান্সও প্রশংসিত হচ্ছে।
তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মিশেলে দারুণ শক্তিশালী টিম ইন্ডিয়ার বোলিং। নতুন বলে অর্শদীপ সিং উইকেট নিচ্ছেন। বুমরাহর গতি ও ইয়র্কারে নতজানু বিপক্ষ ব্যাটসম্যানরা। পাশাপাশি ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের স্পিন সহায়ক উইকেটের ফায়দা তুলছেন কুলদীপ যাদব। উল্টোদিক থেকে অক্ষর প্যাটেল হয়ে উঠছেন তাঁর যোগ্য পার্টনার। এই যুলবন্দিই ধস নামিয়েছিল ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ে। তবে ফাইনালের আগে ভারতীয় শিবিরকে চিন্তায় রাখছে বিশ্রামের অভাব। বৃষ্টিবিঘ্নিত সেমি-ফাইনালে দীর্ঘক্ষণ মাঠে থাকতে হয়েছে রোহিতদের। তারপর তড়িঘড়ি গায়ানা থেকে বার্বাডোজ পৌঁছনোর ধকল। এই পরিস্থিতিতে খেতাব খরা কাটানোর অদম্য তাগিদই উজ্জীবিত করতে পারে ভারতীয় ক্রিকেটারদের।
সব ফরম্যাট মিলিয়ে ভারত তিনবারের বিশ্বজয়ী। কিন্তু প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা আগে কখনও বিশ্বকাপের ফাইনালেই ওঠেনি। এবার সেই স্বাদ পেতে মরিয়া মার্করামরা। চূড়ান্ত পর্বে বারবার মুখ থুবড়ে পড়ার রোগ তাঁদের নামের পাশে সেঁটে দিয়েছে ‘চোকার্স’ তকমা। তবে এই প্রোটিয়া বাহিনী অন্য ধাতুতে তৈরি। ব্যাটিয়ে তাদের বড় ভরসা কুইন্টন ডি’কক, মার্করাম, ক্লাসেন, মিলার ও স্টাবস। বোলিংও যথেষ্ট শক্তিশালী। মার্কো জানসেন নতুন বলে সফল। রাবাডা, নর্তজেরা অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাচ্ছেন। স্পিন বিভাগে কেশব মহারাজের সঙ্গে রয়েছেন তাবরেজ সামি।
স্টার স্পোর্টসে সরাসরি সম্প্রচার।