কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, শেখ আনোয়ার বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র চালাতেও পারদর্শী। তার নেতৃত্বেই এরাজ্যে প্রশিক্ষণ শিবির চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু কাঁকসায় হাবিবুল্লা গ্রেপ্তার হওয়ার পরই তাদের সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ার একটি গ্রুপ থেকে গোয়েন্দারা তার নাম জানতে পারে। এরপরই তাকে পাকড়াও করার জন্য গোয়েন্দাদের একটি দল চেন্নাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেয়। হাবিবুল্লা গ্রেপ্তার হওয়ার পর সেও ধরার পড়ার আশঙ্কা করতে থাকে। স্ত্রীর মোবাইলে কয়েক দিন আগেই সে মেসেজে লিখেছিল,‘আর ভালো লাগছে না। তোমরা ভালো থেকো।’ ধৃতের স্ত্রী রেজিনা খাতুন বলেন, খাগড়াগড় কাণ্ডের সময়ও গোয়েন্দারা স্বামীকে চেন্নাইয়ে আটক করেছিল। সেবার তারা কিছু পায়নি, ছেড়ে দিয়েছিল। সেই ঘটনার পর ও বাড়ি ফিরে আসে। গ্রামে দিনমজুরি করত। কিন্তু তাতে সংসার চলছিল না। সেকারণে আবার চেন্নাই ফিরে যায়। ওখানে রাজমিস্ত্রির জোগানদার ও লন্ড্রিতে কাজ করত। ও কোনওদিনই খারাপ কাজের সঙ্গে যুক্ত নয়।
ধৃত জঙ্গি গ্রামে ভালো ছেলে হিসেবেই পরিচিত। তার চার নাবালিকা কন্যা রয়েছে। মা মারা গিয়েছেন। বাবা কেরলে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। তারা তিন ভাই। কিন্তু সবাই আলাদা থাকে। প্রতি মাসেই সে অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাত বলে পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন। এলাকায় ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত হলেও খাগড়াগড় কাণ্ডের পর অনেকেই তাকে সন্দেহের চোখে দেখতে থাকে। গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, ও ধর্ম নিয়ে বেশি সময় কাটাত। বিভিন্ন ধরনের ধর্মের বই পড়ত। গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, শাহাদত জঙ্গি সংগঠনের মাথা সালাউদ্দিনের নজর পূর্ব বর্ধমানের দিকে রয়েছে। সে পুরনো সঙ্গীদের নিয়েই নতুন সংগঠন গড়ে তুলেছিল। এই সংগঠনে ছাত্রদের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা মূলত সদস্য সংগ্রহের কাজ করে। কিন্তু ধৃত জঙ্গির কাজ ছিল বিভিন্ন ধরনের বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া।