কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি মেনে সম্প্রতি বর্ষার আগেই সেচদপ্তর গঙ্গাভাঙন রোধের কাজ শুরু করে। ভাঙন কবলিত সামশেরগঞ্জের দেবীদাসপুর, সিকদারপুর, লোহরপুর ও চাচন্ডে গঙ্গার পাড় বাঁধানোর কাজ শুরু হয়। বর্ষার আগেই ভাঙন রোধের কাজ শুরু হওয়ায় উচ্ছ্বসিত হন এলাকাবাসী। মোট ১০০০ মিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন রোধের কাজ শুরু করে সেচদপ্তর। এরজন্য মোট ১৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে সেচদপ্তর। শনিবার সকালে বস্তায় সঠিকভাবে বালি না থাকায় ক্ষোভ জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। বস্তায় প্রায় ৩৫ কিলো বালি থাকার কথা থাকলেও অর্ধেকের কম ছিল বলে অভিযোগ। অনেক ক্ষেত্রে বালির পরিবর্তে মাটির বস্তা ফেলা হচ্ছে বলেও এলাকাবাসী দাবি করেছেন। বিষয়টি কাজের বরাত পাওয়া কনট্রাক্টরদের নজরে আনেন এলাকাবাসী। কনট্রাক্টররা উত্তর দিতে না পেরে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। বালি বোঝাই চারটি নৌকা আটকে দেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয় বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম ও সাদ্দাম হোসেনরা বলেন, বস্তায় বালির পরিমাণ কম থাকছে। ১৫ থেকে ২০ কিলোর বালির বস্তা নদীতে ফেলা হচ্ছে। সরকার টাকা দিচ্ছে অথচ সঠিকভাবে কাজ হচ্ছে না। সামনেই বর্ষা, ফের ভাঙন হলে আমাদের যেটুকু সম্বল রয়েছে, তাও চলে যাবে। কনট্রাক্টর সঠিকভাবে কাজ না করলে আমরা কাজ করতে দেব না। বছর তিনেক আগে বর্ষায় সামশেরগঞ্জ ব্লকের প্রতাপগঞ্জ ও চাচন্ড পঞ্চায়েত এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙনের ফলে বহু পাকা বাড়ি ও জমি-বাগান তলিয়ে যায়। এলাকাবাসী ভাঙন রোধের স্থায়ী সমাধান দাবি করেন। এসই দাবিতে একাধিকবার পথেও নামেন তাঁরা। মানুষের দাবি মেনে প্রশাসনিক সভায় সামশেরগঞ্জের ভাঙন রোধে জন্য ১১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেন মুখ্যমন্ত্রী।