কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বোলপুর-শ্রীনেকিতেন পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে অবস্থিত বল্লভপুর মৌজার জেএল ৬৩ নম্বর দাগে বর্তমান ওই রিসর্টটি। কিন্তু ওই জায়গাটি জেলা কালেক্টর অর্থাৎ জেলাশাসকের অধীনস্ত। সেখানে বীরভূম জেলা পরিষদ সিদ্ধান্ত নেয় বিল্ডিং তৈরির। আটটি ঘর বিশিষ্ট বৃদ্ধাশ্রম বানানো হয়। যেখানে ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে মানুষজন থাকবেন বলে ঠিক হয়। এরপর ২০১৭ সালে জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতির বৈঠকে নানুরের বাসাপাড়ার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে জেলা পরিষদ এক বছরের জন্য লিজ দেয়। সেইসময় স্থায়ী কমিটিতে সিদ্ধান্ত হয়, জমি ও জেলা পরিষদের তৈরি ওই বিল্ডিংয়ের উপর ওই সংস্থার কোনও অধিকার নেই। যদিও ওই সংস্থা ২০১৯ সালে বৃদ্ধাশ্রমটি চালাতে চায় না বলে ছেড়ে দেয়। সেই সময় স্থানীয় একটি সংস্থা ১ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা বার্ষিক ভাড়া ও এককালীন ৮ লক্ষ টাকা দেওয়ার শর্তে সর্বোচ্চ ৩৩ বছরের জন্য লিজ নেয়। কিন্তু একটি বৃদ্ধাশ্রম চালানোর জন্য কেন এত টাকা দিয়ে সংস্থাটি লিজ নিয়েছিল, তা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেন। পরে ওই সংস্থার আবেদনের ভিত্তিতে ২০২২ সালে বৃদ্ধাশ্রমের উপর বিল্ডিং ও রেস্টুরেন্ট তৈরির অনুমতি দেয় তৎকালীন জেলা পরিষদের বোর্ড। এখন সেই বৃদ্ধাশ্রমে না আছে কোনও বৃদ্ধবৃদ্ধা, নেই প্রশাসনের নজরদারিও। তার বদলে রমরমিয়ে চলছে সুইমিং পুলযুক্ত বিশাল এক রিসর্ট। সম্প্রতি জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতির বৈঠকে এনিয়ে আলোচনা হতেই শোরগোল পড়ে। এবছর লিজ বাবদ ওই সংস্থা থেকে ভাড়া নেয়নি জেলা পরিষদ। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, সরকারের এত দামি সম্পত্তি, কীভাবে বিলাসবহুল রিসর্টে পরিণত হল। বিষয়টি সামনে আসতেই খতিয়ে দেখা শুরু করেছে জেলা পরিষদ।
এনিয়ে অবশ্য পূর্বতন বোর্ডের দিকে আঙুল তুলেছেন বর্তমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। তিনি বলেন, আমাদের নজরে আসতেই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছি। সরকারি জায়গায় বৃদ্ধাশ্রম হলে ঠিক আছে। কিন্তু অন্য কেউ রিসর্ট বানিয়ে ব্যবসা করবে, এটা মানব না। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, যদি এরমধ্যে জল মেশানো থাকে, তাহলে ব্যবস্থা নিতে। এবছর কোনও ভাড়াও নেওয়া হয়নি। খুব শীঘ্রই পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।
এনিয়ে ওই সংস্থার সভাপতি রবীন্দ্রনাথ রায়ের বক্তব্য জানতে ফোন করা হলে তিনি হুমকি দেন। এমনকী ছবি তুলতে গেলে দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।