কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্বস্থলী-২ ব্লকের মাজিদা অঞ্চলের লক্ষ্মীপুর সিংহাড়ি গ্রামের বাসিন্দা নজরুল গুজরাতে মশারির ব্যবসা করত। তার আড়ালেই সে যে বড়সড় প্রতারণা চক্র চালাত তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি পূর্বস্থলীর বাসিন্দারা। গত ১৭মে মুম্বই রেল পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান মার্চেন্ট নেভিকর্মী পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুর জেলার নাথুলার বাসিন্দা দীপক ঠাকুর। তিনি পুলিসকে জানিয়েছেন, ১৬মে মুম্বই সেন্ট্রাল রেলওয়ে টার্মিনাসে কয়েকজন অপরিচিত যুবকের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। তিনি ওইদিন মিশরের কায়রো থেকে মুম্বই বিমানবন্দরে নামেন। তাঁর ব্যাগে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার বিদেশি মুদ্রা ছিল। তিনি বিমানবন্দর থেকে পাঞ্জাবের ট্রেন ধরার জন্য মুম্বই সেন্ট্রাল রেলওয়ে টার্মিনাসে আসেন। ওইদিন বিকেলে কয়েকজন অচেনা যুবক এসে তাঁর সঙ্গে আলাপ করে। তারা বিদেশি মুদ্রা ভাঙিয়ে দেওয়ার নাটক করে। দীপকবাবু তাদের উপরে বিশ্বাস করেন।
অভিযোগ, অপরিচিত তিন যুবক তাঁকে একটি ব্যাগ দিয়ে এক লক্ষ টাকা আছে বলে জানায়। বাকি টাকা ভাঙিয়ে এনে দেওয়া হবে বলা হয়। দীপকবাবু ওই তিন যুবককে বিদেশি মুদ্রাগুলি দেন। কিছুক্ষণ পরই ওই ব্যাগ খুলে দীপকবাবু কোনও টাকা দেখতে পাননি। ওই তিন যুবকও চম্পট দেয়। এরপরই প্রতারিত ব্যক্তি মুম্বই রেল পুলিসের দ্বারস্থ হন। ঘটনার তদন্তে নেমে মুম্বই রেল পুলিস মহারাষ্ট্র থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই পূর্বস্থলীর নজরুলের খোঁজ পায়। শুক্রবার রাতে পূর্বস্থলী থানার পুলিসকে নিয়ে অপারেশন চালিয়ে নজরুলকে জালে তোলে মুম্বই রেল পুলিস। যদিও ধৃতের পরিবারের দাবি, তাদের ছেলেকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজস্থান, গুজরাত, মুম্বই সহ বিভিন্ন জায়গায় স্টেশনগুলিতে এজেন্ট থাকত ধৃত নজরুলের। তাদের মাধ্যমেই সুকৌশলে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট কেটে দেওয়ার নামে প্রতারণা চক্র চালাত। মুম্বই রেল পুলিসের অফিসাররা পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।