ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
বিষ্ণুপুরের এসডিপিও প্রিয়ব্রত বক্সি বলেন, জুজুড় গ্রামে লরির ধাক্কায় এক যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গ্রামে পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়পুরের জুজুড় গ্রামের বাসিন্দা মিঠুন রাজমিস্ত্রি ছিলেন। এদিন দ্বারকেশ্বর নদের খাদান এলাকায় তিনি হেঁটে যাচ্ছিলেন। সেই সময় খাদান থেকে বালিবোঝাই একটি লরি জুজুড় হয়ে জয়পুরের দিকে আসছিল। স্থানীয় একটি ইটভাটার কাছে লরিটি মিঠুনকে ধাক্কা মারে। লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। সেই সময় চালক লরি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু, এক প্রত্যক্ষদর্শী দুর্ঘটনার খবর গ্রামে পৌঁছে দিলে বাসিন্দারা রাস্তাতেই লরিটি আটক করেন। উত্তেজিত জনতা চালক ও খালাসিকে লরি থেকে টেনে বের করে প্রচণ্ড মারধর করে। এমনকী, ঘাতক লরি সহ একই রাস্তায় আসা অপর একটি লরিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এরপর তারা খাদানে চড়াও হয়। খাদানে দাঁড়িয়ে থাকা একের পর এক লরিতে তারা ভাঙচুর চালায়। পরে খাদানের কর্মীদের মারধর ও অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিস ও দমকল বাহিনী আসে। মৃতদেহ তুলতে গেলে গ্রামবাসীরা বাধা দেন। তাঁরা মৃতদেহ আটকে রেখে ক্ষতিপূরণ সহ বালি গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণের দাবিতে পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। পরে বিষ্ণুপুর থেকে এসডিপিওর নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী গ্রামে আসে। তিনি গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
জনতার মারে জখম ঘাতক লরির চালক ও খালাসিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে জয়পুর ব্লক হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাদের বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
মৃতের ভাই বাদল বাউরি বলেন, দ্বারকেশ্বরের খাদান থেকে রোজ শয়ে শয়ে বালিবোঝাই লরি চলাচল করছে। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় আমরা রাস্তায় ভয়ে ভয়ে যাতায়াত করি। সেই আশঙ্কা সত্যি হয়ে গেল। দাদাকে বালিবোঝাই লরি মেরে ফেলল।