বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৬ডিসেম্বর থেকে জেলায় ভোটার তালিকায় নাম সংযোজন, বিয়োজনের জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। গত ১৫জানুয়ারি সেই প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই জেলায় সাড়ে তিন লক্ষ মানুষ আবেদন করেছেন। এক্ষেত্রে অলনাইনের মাধ্যমে আবেদনের সংখ্যা রয়েছে ৩লক্ষ ১২হাজার ৭০০টি। এছাড়া অলনাইনে আবেদনের জন্য ফর্ম জমা পড়েছে ৩৮হাজার ৭৬৪টি।
অফলাইনে জমা পড়া ফর্মের মধ্যে আবার ৮নম্বর ফর্ম পড়েছে ১লক্ষ ৯৯হাজার ১২১টি। ওই ফর্মের ভিত্তিতে ভোটার কার্ড সংশোধনের আবেদন জমা পড়েছে। ৮এ ‘ক’ অর্থাৎ বিধানসভা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আবেদন পড়েছে ১০হাজার ৩৭৯টি। ৭নম্বর ফর্ম অর্থাৎ মৃত বা কার্ড বাতিল করার আবেদন জানিয়ে ফর্ম জমা পড়েছে ১৭হাজার ৩৭৫টি। এছাড়া নতুন করে ভোটার তালিকায় নাম তোলার আবেদন পড়েছে ৮৫হাজার ৮২৫টি।
প্রশাসনের আধিকারিকদের দাবি, গতবারের তুলনায় এবার এই প্রক্রিয়ায় বেশি পরিমাণ ভোটারের সাড়া পাওয়া গিয়েছে। এক্ষেত্রে প্রশাসনের যুক্তি, জেলায় বহু নতুন ভোটার হয়েছেন। তাছাড়া যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারের তরফেও আবেদন করা হয়েছে। তবে, সংশোধনের জন্য প্রায় দু’লক্ষ আবেদন জমা পড়ায় তা নিয়ে জল্পনা বাড়িয়েছে।
ওয়কিবহাল মহলের ধারণা, বর্তমানে এনআরসি, সিএএ, এনপিআর নিয়ে দেশজুড়ে উত্তাল পরিস্থিতি চলছে। তার মধ্যে ভোটাররা নিজেদের কার্ড ত্রুটিমুক্ত রাখতেই আবেদনে সাড়া দিয়েছেন। প্রশাসনের আধিকারিকদের একাংশের মতে, মানুষ সচেতন হওয়ায় বেশি পরিমাণ আবেদন এসেছে। এক্ষেত্রে যেসব ভোটার বাইরে থাকতেন তাঁরাও নিজেদের কার্ড সংশোধন করিয়ে রেখেছেন।
প্রসঙ্গত, মাসখানেক আগে জেলায় ইভিপির কাজ হয়েছে। সেসময় ভোটাররা নিজেদের কার্ড যাচাই করিয়েছেন। সেসময় জেলায় প্রায় আট লক্ষ মানুষ এই প্রক্রিয়ায় আবেদন করেন বলে জেলা নির্বাচন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি এসএসআরইআরের জন্য প্রত্যেক শনি ও রবিবার বিশেষ প্রচার করা হয়েছে। তার ফলে আবেদনের সংখ্যা বেড়েছে বলে মত আধিকারিকদের।