বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
বনদপ্তরের বিষ্ণুপুর ডিভিশনের আধিকারিক নীলরতন পাণ্ডা বলেন, প্রতি ছ’মাস অন্তর রেল ও বনদপ্তরের সমন্বয় কমিটির বৈঠক হয়। এদিন সেই রকমই বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে হাতি পারাপারের এলাকায় হাইমাস্ট লাইটের ব্যবস্থা, ট্রেনের গতি কমানো ছাড়াও লাইনের দু’দিকের উঁচু পাড়ের জমি সমতল করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণপূর্ব রেলওয়ের আদ্রা ডিভিশনের এডিআরএম ধনেশ্বর মোহন্ত বলেন, রেল লাইনের পাড়ের জমি সমতল করা সহ হাইমাস্ট লাইট বসানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। এছাড়াও জঙ্গলে হাতি থাকলে রেলদপ্তরে বার্তা পাঠাতে বলা হয়েছে। তাহলে রেলের তরফে চালককে রাতে নির্দিষ্ট জায়গায় ট্রেনের গতি কমানোর নির্দেশ দেওয়া হবে।
বনদপ্তর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আদ্রা ডিভিশনের পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা, চন্দ্রকোণা এবং বাঁকুড়ার পিয়ারডোবা ও বিষ্ণুপুর এলাকায় রেললাইনের দুই পাড় বেশ উঁচু। ওই এলাকায় জঙ্গল থাকায় বুনো হাতি পারাপার করে। কিন্তু, লাইনের উপর হাতি এসে পড়লে তারা সহজে পারাপার করতে পারে না। অনেকটা পথ রেলের লাইনের উপর দিয়ে হেঁটে গিয়ে যেখানে সমতল পায় সেখানে পারাপার করে। ওই সময় ট্রেন চলে আসায় দুর্ঘটনায় পড়ছে বুনো হাতির দল। গত কয়েক বছরে এভাবে পারাপার করতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় অন্তত ৮টি বুনো হাতির মৃত্যু হয়েছে। তাই স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি মেনে বনাধিকারিকরা এদিনের বৈঠকে রেললাইনের উঁচু পাড় সমতল করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।