বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ বাঁশখানা-নন্দীগ্রাম ফেরিঘাট নন্দীগ্রামের মনুচকের ভোলানাথ দাস নামে এক ব্যক্তিকে এক বছরের জন্য লিজে দিয়েছে। অন্যদিকে, হলদিয়া ব্লকের ঈশ্বরদহ জালপাই গ্রাম পঞ্চায়েত বাঁশখানা ফেরিঘাট আবার স্থানীয় ব্যবসায়ী রঞ্জিত ভৌমিককে এক বছরের জন্য লিজে দেয়। ঘাটে যাত্রীদের ওঠানামায় অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দেওয়ার জন্য ওই লিজ দেওয়া হয়। ১৫জানুয়ারি পৌষ সংক্রান্তির দিন ভবানীপুর থানার পুলিস বাঁশখানা ঘাট থেকে ভুটভুটি নৌকোয় যাত্রী পারাপারে বাধা দেয় বলে ঘাট মালিকের অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের বচসা হয় এবং ঘাট বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়ায় ক্ষোভ তৈরি হয়। তারপরই বাঁশখানা ঘাটের অস্থায়ী বাঁশের ব্রিজ সরিয়ে নেওয়া হয় এবং ক্ষোভে ফেরি বন্ধ রাখা হয়।
ঘাটের লিজ মালিক রঞ্জিত ভৌমিক বলেন, পৌষ সংক্রান্তির দিন পুলিস পরিবহণ দপ্তরের একটি নোটিস দেখিয়ে আমাদের ঘাট বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয়। এই ঘাটে সেদিন কয়েক হাজার পুণ্যার্থী উপস্থিত হয়েছিলেন নন্দীগ্রামে বাসুলী মেলায় যাওয়ার জন্য। পরিবহণ দপ্তর বাসে করে পুণ্যার্থীদের মেলায় নিয়ে যায়। তিনি বলেন, আমি গ্রাম পঞ্চায়েতকে ৬৫হাজার টাকা দিয়ে লিজ নিয়েছিলাম। আর ফেরি মালিক ৭০হাজার টাকা দিয়ে জেলা পরিষদ থেকে লিজ নিয়েছিলেন। প্রতি বছর লিজের খরচ তোলার জন্য বাসুলীমেলার দিকে ফেরি ও ঘাট মালিক তাকিয়ে থাকেন। ওই দিন নৌকা চালু করার জন্য পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও প্রধান উদ্যোগ নেন। কিন্তু পুলিস নৌকা চালাতে দেয়নি।
বাড়উত্তরহিংলি অঞ্চলের প্রধান ওয়াহাব আলি বলেন, ফেরি নিয়ে পুলিস ও ঘাট মালিক এবং নৌকো মালিকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। ঘাট মালিক রঞ্জিতবাবু লিজ ছেড়ে দিচ্ছেন। তাঁকে লিজের অর্ধেক ২৫হাজার টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। বাকি ছ’মাসের জন্য নতুন করে ফেরি মালিককে ঘাটের লিজ দিচ্ছে পঞ্চায়েত। বুধবার দুপুরে ভবানীপুর থানার সঙ্গে পঞ্চায়েতের কথা হয়েছে। ঘাটের সরিয়ে নেওয়া সাঁকো মেরামত করে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। ভবানীপুর থানার অফিসার ইন চার্জ রাজা মণ্ডল বলেন, পৌষ সংক্রান্তির দিন পুলিস পরিবহণ দপ্তরের নির্দেশমতো কাজ করেছে। পুলিস কখনও বাঁশখানার ঘাট বন্ধ করা নির্দেশ দেয়নি।