বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
জানা গিয়েছে, মারনই পঞ্চায়েতের জলাশয়ে মিশে থাকা আদিবাসী পরিবারের জলাশয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে স্থানীয় একটি পরিবার। অভিযোগ, তাকে বঞ্চিত করে সম্প্রতি মারনাই গ্রাম পঞ্চায়েত অন্য এক বাসিন্দাকে ওই জলাশয় লিজ দেয়। তার প্রতিবাদে ও আদিবাসী পরিবারের চাষ করা মাছ তুলে নেওয়ার প্রতিবাদে বুধবার আদিবাসীরা জাতীয় সড়ক দীর্ঘক্ষণ আটকে রেখে বিক্ষোভ আন্দোলনে শামিল হয়।
ইটাহারের বিডিও আবুল আলম মাবুদ আনসার জানিয়েছেন, পঞ্চায়েতের একটি পুকুরের ইজারা দেওয়া নিয়ে আদিবাসীরা এদিন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করায় সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আলোচনা করে শীঘ্রই সমস্যা মেটানো হবে।
আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান নামে আদিবাসীদের একটি সংগঠনের উদ্যোগে এদিন দুপুর থেকে প্রায় চারঘণ্টা জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। সংগঠনের জেলা সভাপতি দুর্গা মুর্মুর নেতৃত্বে কয়েকশ’ সশস্ত্র আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ জলাজমির অধিকারের আন্দোলনে শামিল হন। তিনি বলেন, আগামী ২৪ জানুয়ারি জেলা প্রশাসনিক ভবনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য আমাদের ডাকা হয়েছে। সুবিচার না পেলে আদিবাসীরা অস্তিত্বরক্ষার লড়াইয়ে চরম আন্দোলনের পথে হাঁটতে বাধ্য হবে।
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সফিলুদ্দিন সরকার বলেন, প্রায় এক একর চার শতক জলাশয় রয়েছে। আদিবাসী পরিবারের সামান্য অংশ জলাশয়ে রয়েছে। পঞ্চায়েতের ওই জলা নিয়ম মেনে লিজ দেওয়া হয়েছে। আদিবাসী ওই পরিবার আগে জলাশয়ে মাছ চাষ করলেও সেই মেয়াদ আগেই ফুরিয়ে গিয়েছিল। নতুন করে লিজ নিতে ওই পরিবার আগ্রহ দেখায়নি। তবে জলাশয়ে থাকা মাছ তুলে নেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। এদিন অবরোধের জেরে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ ব্যাস্থা কার্যত ভেঙে পড়ে। চারঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আটকে থাকায় জাতীয় সড়কে বাসের যাত্রীদের ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়।