Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ক্ষমা করো সুভাষ
জয়ন্ত চৌধুরী

মুক্তিপথের অগ্রদূত তিনি। অখণ্ড ভারত সাধনার নিভৃত পথিক সুভাষচন্দ্রের বৈপ্লবিক অভিঘাত বাধ্য করেছিল দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তরের পটভূমি রচনা করতে। দেশি বিদেশি নিরপেক্ষ ঐতিহাসিকদের লেখনীতে আজাদ হিন্দের অসামান্য আত্মত্যাগ স্বীকৃত হয়েছে। সর্বাধিনায়কের হঠাৎ হারিয়ে যাবার বেদনা তাঁর জন্মদিনেই বড় বেশি স্পর্শ করে যায়। ভারতবাসী প্রতিদানে তাঁকে কতটুকু দিতে পেরেছে আজ পর্যন্ত? সে প্রশ্ন থাক। কী খুঁজে পাওয়া গেছে তাঁর মধ্যে যার জন্য এ প্রজন্মের এক বিরাট অংশ একই সঙ্গে আগ্রহ ও ব্যথা অনুভব করে!
শিবাজির মতো যোদ্ধা ছিলেন তিনি। বুদ্ধদেবের জ্ঞান, শংকরাচার্যের ত্যাগ, মহাপ্রভু চৈতন্যদেবের মানবপ্রেম, প্রভু যিশুর হৃদয় আর স্বামী বিবেকানন্দের কর্মযোগ, দেশপ্রেম ও সেবাব্রতের জীবন্ত ভাষ্য তিনি। তুলনা থাক। মানবজীবনে তুলনার প্রয়োজনীয়তা অনিবার্য, তবু তাঁর প্রকাশ্য জীবন গাথা আজও অতুলনীয়। অনির্বাণ নেতাজির অনন্যতা খুঁজে পাওয়া যাবে ইম্ফল কোহিমার সবুজবনানীর পার্বত্য প্রান্তরে, কাবুল কান্দাহারের রুক্ষ দুর্গম পথে, ইউরোপ থেকে এশিয়া বিস্তৃত মহাসাগরের অতলে, মুক্তিতীর্থ আন্দামানের নীল সমুদ্রের তরঙ্গে। বাকিটা মহাকালের হাতে। আগামী ইতিহাস মুখরিত হোক বা না হোক মানব সভ্যতার ইতিহাসে বঙ্গজননীর বড় আপন সন্তান সুভাষ যেন সকলের থেকেই আলাদা, অভিমানীও বটে। নিরুদ্দেশের পথিক হবার পূর্বে জননী প্রভাবতীদেবীকে শেষ প্রণাম করতে পারেননি। সিনেমায় চৈতন্য মহাপ্রভুকে দেখে বেদনার্ত সুভাষ জননী বলে উঠেছিলেন, শচীমাতা জেনেছিলেন তাঁর নিমাই কোথায় যাচ্ছে, কিন্তু আমার সুভাষ কোথায় গেল আমি জানতে পারলাম না।
অসুস্থ জননী শীতের রাতে নাকি দরজা বন্ধ করতে বারণ করেছিলেন। যদি সুভাষ ফিরে আসে বন্ধ দুয়ার দেখে অভিমানী ছেলে আবার ফিরে যেতে পারে। অবশেষে ১৯৪৩-এর ডিসেম্বরের শেষে না ফেরার দেশে চলে যান প্রভাবতীদেবী। সদ্য মাতৃবিয়োগের তীব্র যন্ত্রণা বুকে নিয়েই সেদিন কালো চশমা পরে কুখ্যাত কালাপানির সেলুলার জেলের যন্ত্রণা, আর্তনাদ আর আত্মত্যাগের শহিদ তীর্থ পরিদর্শন করেন। একান্ত ব্যক্তিগত মর্মব্যথার মূল্যায়ন করেনি আজকের ইতিহাস। সুভাষচন্দ্রের প্রিয় বঙ্গজননী, ভারতজননীর কথা তাঁর লেখনী, ভাষ্যে বারংবার এলেও একপেশে ইতিহাসের রুদ্ধ দুয়ারে নেতাজির প্রবেশ বড় সীমায়িত, কোথাও-বা সীমাহীন অজ্ঞতার অন্ধকারে উপেক্ষার কৌশলী প্রহসন।
নেতাজির মধ্যে যে মেধাবী, সাহসী, রাজনৈতিক প্রাজ্ঞতা, খাঁটি দেশপ্রেম ছিল তা মুগ্ধ করেছিল কবিগুরুকে। এই দেশনায়কের পাশে থাকার জন্য দেশবাসীর কাছে আহ্বান করেছিলেন সেদিন। গান্ধীজিও শেষে বলতে বাধ্য হয়েছিলেন ‘দেশপ্রেমিকদের রাজপুত্র’, একদা তাঁর ‘বখাটে ছেলে’ সুভাষকে।
একলা চলা পথের পথিক সুভাষচন্দ্র বীরত্ব আর দেশপ্রেমের ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন যার মূল্যায়ন গত শতাব্দীর মতো এ শতাব্দীতেও সম্ভব কি না অজানা। অর্ধগোলকময় কর্মকাণ্ড বৈজ্ঞানিকভাবে সুসংবদ্ধ করা না হলেও তাঁর বৈপ্লবিক আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার নেলসন ম্যান্ডেলা, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান। কলকাতায় জনসমক্ষে স্বীকার করে তাঁরা শ্রদ্ধা জানিয়ে গেছেন।
আইসিএস-এর চাকরি প্রত্যাখান করে তিনি দেশবন্ধুকে লিখেছিলেন, দেশসেবার জন্য তিনি আত্মনিবেদন করতে চান। দেশবন্ধুর কাগজের সাব এডিটর কিংবা শিক্ষকতার সামান্য বেতন পেলেই তাঁর জীবন চলে যাবে। তিনি সাংসারিক হবেন না এবং তার জন্য বাড়ির আর্থিক সাহায্য নিতে চাননি। সংবাদপত্র সম্পাদনা ও পরিচালনার কাজ তিনি পেয়েছিলেন। এছাড়াও দেশের বন্ধু সুভাষের ভিতর খুঁজে পাওয়া যায় প্রশাসক সুভাষচন্দ্রকে, সফল ও মানব দরদি এক মেয়রকে। প্রথম কারাবাস ঘটেছিল রাজনৈতিক গুরু দেশবন্ধুর সঙ্গেই। নানা রাজনৈতিক সংঘর্ষ লড়াই-এর মাঝে দু’জনে মিলে দক্ষিণ কলকাতা সেবক সমিতি ও দক্ষিণ কলকাতা সেবাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যা সেবাব্রতী সুভাষচন্দ্রের মনন সন্ধানের অন্যতম অনুদ্ঘাটিত পর্ব। রাষ্ট্রীয় উপেক্ষায় নীরবে অতিক্রান্ত হল দেশের অনন্য সুহৃদ ও সুভাষচন্দ্রের অতিপ্রিয় দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দা঩শের জন্মের সার্ধশতবর্ষ। নেতাজির হাতে গড়া আজাদ হিন্দ সরকারের পঁচাত্তর বর্ষও বাংলায় প্রায় নীরবে শেষ হয়েছে। নেতাজি ফাইলে প্রকাশিত নানা অকথিত গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য নিয়েও তেমন চর্চা হয়নি বৌদ্ধিক মহলে। জাতির ঐতিহ্য, সংগ্রামের শিকড় ক্রমশ আলগা হয়ে পড়ে স্রেফ বিস্মরণের ধারাবাহিকতায়।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রণাঙ্গন থেকে এক বাংলা বেতার ভাষণে নেতাজি জানিয়েছিলেন, চতুর ইংরেজ এগারোবার তাঁকে কারারুদ্ধ করেও কিছু করতে পারেনি এবং তাঁর প্রত্যাবর্তনে কোনও পার্থিবশক্তি বাধা দিতে পারবে না। রুশ, আয়ারল্যান্ড-এর নেতা ডি ভেলেরা সহ বিশ্বের মোট এগারোটি রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রপ্রধান সুভাষচন্দ্রের আজাদ হিন্দ সরকারকে আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। আশ্চর্যের বিষয় তিনিই একমাত্র ব্যক্তি আজ পর্যন্ত তাঁর ১৮ বার নানারকমের ‘নিশ্চিত মৃত্যু’র গল্প শোনা গেছে। রহস্যের নায়ক নেতাজিকে নিয়ে জনমানসে জিজ্ঞাসা স্বাভাবিক, কিন্তু প্রকাশ্যে পঞ্চাশ অনূর্ধ্ব যে সুভাষচন্দ্রকে পেয়েছি তাঁর অগ্নিময় দেশপ্রেমদীপ্ত জীবন-এর অনুধ্যান রহস্য উপেক্ষার অন্তরালে হারিয়ে যেতে চলেছে। নানা মনগড়া মিথ, অযাচিত বীরত্ব আর ইচ্ছাপূরণের মোড়কে সিনেমা সিরিয়াল আসল নেতাজিকে হারিয়ে দিচ্ছে বারংবার। বিশ্বভারতী কিংবা রামকৃষ্ণ মিশন যে বিশুদ্ধতা কবিগুরু, বীর সন্ন্যাসীর ক্ষেত্রে বহাল রাখতে পেরেছে তা অবশ্যই দৃষ্টান্তস্বরূপ। কিন্তু নেতাজির ক্ষেত্রে অগভীর গবেষণা নেতাজির আদর্শ ও জীবনী চর্চার পরিসরকে সীমাবদ্ধ করে তুলেছে।
কিশোর সুভাষ একদা তাঁর মাকে লেখা চিঠিতে লিখেছিলেন, ভারতবর্ষ ভগবানের বড় আদরের দেশ, যুগে তিনি দুর্গতদের উদ্ধার করতে অবতার রূপে আবির্ভূত হন। বাস্তবক্ষেত্রে, আধুনিকতম অবতার পুরুষরূপে সুভাষচন্দ্রকে চিহ্নিত করা যায়। ছাত্রসমাজের কাছে তাঁর আহ্বান ছিল, পরিপূর্ণ ও সর্বাঙ্গীণ মুক্তিলাভ। স্বাধীন দেশে, স্বাধীন আবহাওয়ার মধ্যে আমাদের জাতি জন্মিতে চায়, বর্ধিত হতে চায় এবং মরিতে চায়। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘পুরুষ অবরুদ্ধ আপন দেশে, নারী অবরুদ্ধ নিজ নিবাসে’—এ অবস্থা আর কতদিন চলবে? তিনি আহ্বান করেছেন, ‘যে স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন আমরা দেখি—সে রাজ্যে সকলে মুক্ত, ব্যক্তি মুক্ত, সমাজও মুক্ত, সেখানে মানুষ রাষ্ট্রীয় বন্ধন হইতে মুক্ত, সামাজিক বন্ধন হইতে মুক্ত এবং অর্থের বন্ধন হইতে মুক্ত। রাষ্ট্র, সমাজ ও অর্থনীতি—এই ত্রিতাপ হইতে আমরা মানবজাতিকে-দেশবাসীকে, মুক্ত করিতে চাই।’ তিনি যেন ভবিষ্যৎ দ্রষ্টার মতোই বলেছিলেন, ‘....যাও চীনা ছাত্রদের মত—রুশ তরুণদের মত—চাষীর পর্ণকুটীরে ও মজুরদের আবর্জনাপূর্ণ ভগ্নগৃহে। তাহাদের জাগাও। আর যাও মাতৃজাতির সমীপে। যাঁরা শক্তিরূপিণী অথচ সমাজের চাপে আজ যাঁরা হইয়াছেন—‘অবলা’— তাঁহাদের জাগাও—বল—
‘‘আপনার মান রাখিতে জননী
আপনি কৃপাণ ধর।’’
অনেক রাজনৈতিক অবতার পুরুষ আজও কোনও কোনও দল বা গোষ্ঠীর কাছে পূজ্য। নতুন প্রজন্মের কিছু শিষ্য-শিষ্যা যাঁরা বিদেশের অবতারবাদে অনুপ্রাণিত হয়ে শিক্ষাপ্রাঙ্গণে এদেশের অন্যতম আধুনিক অবতার নেতাজি সম্পর্কে যখন অনীহা ও উদাসীনতা প্রকাশ করে থাকেন তখন সমাজের অস্থিরতা আর দুর্ভোগ ভবিতব্য হয়ে দাঁড়ায়। নেতাজির প্রাসঙ্গিকতা এখানেই। নেতাজির জীবন ও বাণী সুলভে সমাজের সর্বস্তরে পৌঁছে দেবার রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ সেভাবে হয়নি। সর্বভারতীয় জাতীয় ছুটি কিংবা উৎসবের মাধ্যমে সচেতন করার জন্য কোনও বাস্তবমুখী পদক্ষেপও নেওয়া হয়নি। যে সুভাষকে সাধারণ মানুষ আপন করে যে কোনও জাতীয় দিবসে পতাকার তলায় মালা পরিয়ে বেদিতে বসায় তাঁকেই ভুলিয়ে রাখার, ভুলিয়ে দেবার নানা চক্রান্ত হয়েছে দিনের পর দিন। অনুমান করা যায় তিনি তীব্র ঘৃণা ও অভিমানে পরবর্তীতে প্রকট হতে চাননি। তাঁর জন্য শুধুমাত্র জন্মদিন আছে। তাই সাধারণ মানুষ যুগে যুগে এই শব্দবন্ধ দিয়েই তাঁকে প্রণাম জানাবেন— ক্ষমা করো সুভাষ।
লেখক নেতাজি গবেষক 
স্বামীজি, বিশ্বকবি ও নেতাজির খিচুড়ি-বিলাস
বিকাশ মুখোপাধ্যায়

মঙ্গলকাব্য থেকে কাহিনীটা এভাবে শুরু করা যেতে পারে।
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই মা দুর্গা নন্দিকে তলব করেছেন, যাও ডাব পেড়ে নিয়ে এসো।
নন্দির তখনও গতরাতের গাঁজার খোঁয়ার ভাঙেনি। কোনওরকমে জড়ানো স্বরে বলল, ‘এত্তো সকালে মা?’  বিশদ

‘যে আপনকে পর করে...’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মহাত্মা গান্ধী একটা কথা বলতেন, মনপ্রাণ দিয়ে দেশের সেবা যিনি করেন, তিনিই সত্যিকারের নাগরিক। নাগরিক কাহারে কয়? বা নাগরিক কয় প্রকার ও কী কী? এই জাতীয় প্রশ্ন এখন দেশে সবচেয়ে বেশি চর্চিত। সবাই নিজেকে প্রমাণে ব্যস্ত। ভালো নাগরিক হওয়ার চেষ্টাচরিত্র নয়, নাগরিক হতে পারলেই হল। তার জন্য কাগজ লাগবে। এক টুকরো কাগজ প্রমাণ করবে, আপনি আমি ভারতের বাসিন্দা।   বিশদ

21st  January, 2020
আইন ও বাস্তব
পি চিদম্বরম

আপনি যখন এই লেখা পড়ছেন তখন ইন্টারনেট, আন্দোলন, জনসমাবেশ, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, ভাষণ ও লেখালেখি এবং কাশ্মীর উপত্যকার পর্যটকদের উপর নিয়ন্ত্রণ জারি রয়েছে। কোনোরকম ‘চার্জ’ ছাড়াই রাজনৈতিক নেতাদের হেপাজতবাসও চলছে যথারীতি। সুতরাং প্রশ্ন উঠছে—আদালতের রায়ের পরেও বাস্তবে কিছু পরিবর্তন হয়েছে কি?
বিশদ

20th  January, 2020
নেতাজি—আঁধারপথে অনন্ত আলোর দীপ্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

স্বাধীনতার পর অতিক্রান্ত বাহাত্তর বছর। কিন্তু আজও যেন তার নাবালকত্ব ঘুচল না। আসলে দেশের যাঁরা হাল ধরেন, তাঁরাই যদি নাবালকের মতো আচরণ করেন, তাহলে দেশও নাবালকই থেকে যায়। এই নাবালকত্ব আসলে এক ধরনের অযোগ্যতা। সেই অযোগ্যতার পথ ধরেই দেশ ডুবে আছে অসংখ্য সঙ্কটে। দুর্নীতিই হল সেই সঙ্কটের মধ্যমণি।  
বিশদ

20th  January, 2020
মানুষকে সঙ্কটে ফেলা ছাড়া নোটবাতিলের
আর কোনও উদ্দেশ্যই সফল হয়নি 
হিমাংশু সিংহ

আর-একটা সাধারণ বাজেট পেশ হতে চলেছে দু’সপ্তাহের মধ্যে। নিঃসন্দেহে এবারের বাজেটের প্রধান লক্ষ্য, বেনজির আর্থিক মন্দার মোকাবিলা করা, নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা এবং একইসঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে চাঙ্গা করা। ছাপ্পান্ন ইঞ্চি ছাতির নরেন্দ্র মোদি যতই নিজের ঢাক পেটান না কেন, দেশের অর্থনীতি এই মুহূর্তে ভয়ঙ্কর সঙ্কটে জর্জরিত। 
বিশদ

19th  January, 2020
প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি (১১-১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা ভ্রমণকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত বিতর্কে হইচই চলছে সারা দেশে। কলকাতার এক বড় অংশের বামমনা বুদ্ধিজীবী মানুষ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে। 
বিশদ

18th  January, 2020
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ: পুতুলনাচের ইতিকথা
জিষ্ণু বসু

নাচায় পুতুল যথা দক্ষ বাজিকরে/ নাচাও তেমনি তুমি অর্বাচীন নরে। —কবি নবীনচন্দ্র সেনের এই বিখ্যাত পঙ্‌ক্তি আজ ভীষণ প্রাসঙ্গিক মনে হয়। গত মাসাধিক কাল সামান্য কিছু অতি বুদ্ধিমান আমাদের মতো অর্বাচীনদের পুতুলের মতো নাচাচ্ছেন। জাতীয় ও আঞ্চলিক প্রচার মাধ্যমও অতি যত্নসহকারে তা পরিবেশন করছে। 
বিশদ

18th  January, 2020
উপমহাদেশে সহিষ্ণুতার আন্দোলনের ক্ষতি হচ্ছে 
হারাধন চৌধুরী

বাঙালি বেড়াতে ভালোবাসে। বেড়ানোর সুযোগটা পাশপোর্ট ভিসা নিয়ে বিদেশে হলে তো কথাই নেই। কিন্তু গন্তব্য যদি বাংলাদেশ, আর দাবি করা হয় বিদেশ-ভ্রমণের, তবে অনেকেই মুখ টিপে হাসবেন। কারণ, বাংলাদেশকে ‘বিদেশ’ ভাবার মানসিকতা আমাদের গড়ে ওঠেনি। 
বিশদ

17th  January, 2020
হৃদয়জুড়ে মানবসেবা
মৃণালকান্তি দাস

সমকাল তাঁকে যথেষ্ট লজ্জা দিয়েছিল! নিজের দেশ ছেড়ে বিদেশ-বিভুঁইয়ে কপর্দকহীন এক সন্ন্যাসীকে নিগৃহীত করতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন ব্রাহ্মসমাজের প্রতিনিধি প্রতাপচন্দ্র মজুমদার।  স্বামীজির বিজয়কীর্তিকে ধূলিসাৎ করতে নিজের ‘ইউনিটি অ্যান্ড দি মিনিস্টার’ পত্রিকায় স্বামীজিকে ‘নবহিন্দু বাবু নরেন্দ্রনাথ দত্ত’ সম্বোধন করে বলা হয় যে, তিনি নাকি যুবাবয়সে ব্রাহ্মসমাজে আসেন  শুধুমাত্র  ‘নববৃন্দাবন’ থিয়েটারে অভিনয়ের জন্য।  
বিশদ

17th  January, 2020
প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি (১১-১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা ভ্রমণকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত বিতর্কে হইচই চলছে সারা দেশে। কলকাতার এক বড় অংশের বামমনা বুদ্ধিজীবী মানুষ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে।  
বিশদ

16th  January, 2020
উপমহাদেশে সহিষ্ণুতার আন্দোলনের ক্ষতি হচ্ছে
হারাধন চৌধুরী

সিএএ, এনআরসি প্রভৃতি ভারতের মানুষ গ্রহণ করবেন কি করবেন না, তা নিশ্চিত করে বলার সময় এখনও হয়নি। তবে, এটুকু বলা যেতে পারে—এই ইস্যুতে ব্যাহত হচ্ছে আমাদের উন্নয়ন কর্মসূচিগুলি। অর্থনৈতিকভাবে আমরা দ্রুত পিছিয়ে পড়ছি। পাশাপাশি এই অধ্যায় বহির্ভারতে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। আমাদের এমন কিছু করা উচিত হবে না যার দ্বারা অন্তত বাংলাদেশে মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইটা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং উদ্বাহু নৃত্য করে পাকিস্তানের মৌলবাদী শক্তি। 
বিশদ

16th  January, 2020
রাজনীতির রঙের বাইরে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

যে পড়ুয়ারা আজ পথে নেমেছে, তারা তো শিক্ষিত! এঁটেল মাটির তালের মতো। যুক্তি দিয়ে বোঝালে তারা অবাধ্য হয় না। তা না করে নয়াদিল্লি বা উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে পাল্টা ধোলাই দেওয়ার রাস্তা নিয়েছিল পুলিস। আর বলা হয়েছে, মানতে না পারলে পাকিস্তানে চলে যাও। এটাই কি ভারতের মতো গণতন্ত্রের থেকে পাওনা? যুব সমাজ কিন্তু মানছে না। মানবেও না। দিন নেই, রাত নেই তারা কখনও ক্যাম্পাসে ধর্নায় বসছে, কখনও রাজপথে। তাদের লড়াই আজ নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন আগ্রাসী কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে।
বিশদ

14th  January, 2020
একনজরে
 অর্পণ সেনগুপ্ত, কলকাতা: টানা ওষুধ খেলে শরীরে জমে ‘বিষ’। এবার সহজেই সেই ‘বিষ’ সাফ হতে পারে। আশার আলো দেখাচ্ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের একটি গবেষণা। কিছু রোগ আছে, যেগুলির জন্য সারাজীবন ওষুধ খেয়ে যেতে হয়। তার একটি ক্ষতিকর দিকও থাকে। ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ইরান-আমেরিকার যুদ্ধ হলে ভারতে তার বিরাট প্রভাব পড়বে। আফগানিস্তান, ইরাকে আমেরিকার যুদ্ধের সময় যতটা হয়নি, তার চেয়ে অনেক বেশি হবে। ইরান ভারতের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ দেশ। ইরান থেকে ভারত তেল পায়। ভারতের চা সেখানে রপ্তানি হয়। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ডার্বি জয়ের পর অতীতে একাধিকবার মুখ থুবড়ে পড়েছে মোহন বাগান। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, আত্মতুষ্টিই নাকি এর অন্যতম কারণ। দীর্ঘ কোচিং কেরিয়ারের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ...

 বিএনএ, বারাসত: রসিদ দিয়ে ‘গুন্ডা ট্যাক্স’ আদায়ের সংবাদ প্রকাশ্যে আসায় এবার রসিদ ছাড়াই তোলাবাজি শুরু হয়েছে ঘোজাডাঙা সীমান্তে। আগের তুলনায় আরও সতর্কভাবে ও সুচতুরভাবে তোলাবাজি শুরু করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ট্রাক চালক ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিসি মদতে এই তোলাবাজি চলায় ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৯৪- সাহিত্যিক জ্যোতির্ময়ীদেবীর জন্ম
১৮৯৭- মহাবিপ্লবী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম
১৯০৯ - কবি নবীনচন্দ্র সেনের মৃত্যু
১৯২৬- শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বাল থ্যাকারের জন্ম
১৯৩৪- সাংবাদিক তথা ‘বর্তমান’ এর প্রাণপুরুষ বরুণ সেনগুপ্তর জন্ম
১৯৭৬- গায়ক পল রোবসনের মৃত্যু
১৯৮৪ – নেদারল্যান্ডের ফুটবল খেলোয়াড় আর্ইয়েন রবেনের জন্ম
১৯৮৯ - স্পেনীয় চিত্রকর সালভাদর দালির মৃত্যু
২০০২ - পাকিস্তানের করাচীতে সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্ল অপহৃত হন এবং পরবর্তীকালে নিহত হন।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৩৫ টাকা ৭২.০৫ টাকা
পাউন্ড ৯১.২১ টাকা ৯৪.৪৯ টাকা
ইউরো ৭৭.৪২ টাকা ৮০.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪০,৫৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৮,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৯,০৮০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৮ মাঘ ১৪২৬, ২৩ জানুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার, চতুর্দশী ৪৯/৪৮ রাত্রি ২/১৮। পূর্বাষা‌ঢ়া ৪৭/২৫ রাত্রি ১/২১। সূ উ ৬/২২/৩১, অ ৫/১৪/৭, অমৃতযোগ রাত্রী ১/৭ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ২/৩১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪৮ গতে ১/২৭ মধ্যে। 
৮ মাঘ ১৪২৬, ২৩ জানুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার, চতুর্দশী ৪৯/১৬/২৩ রাত্রী ২/৮/২৩। পূর্বাষাঢ়া ৪৭/৫৬/৪৫ রাত্রি ১/৩৬/৩২। সূ উ ৬/২৫/৫০, অ ৫/১২/৩২, অমৃতযোগ দিবা ১/৭ গতে ৩/৪২ মধ্যে। কালবেলা ২/৩০/৫২ গতে ৩/৫১/৪২ মধ্যে, কালরাত্রি ১১/৪৯/১১ গতে ১/২৮/২১ মধ্যে। 
২৭ জমাদিয়ল আউয়ল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ:বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। বৃষ:প্রতিযোগিতায় সাফল্য আসবে। মিথুন: ব্যবসাস্থান ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৯৪- সাহিত্যিক জ্যোতির্ময়ীদেবীর জন্ম১৮৯৭- মহাবিপ্লবী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম১৯০৯ - ...বিশদ

07:03:20 PM

কলকাতার একটি হোটেল থেকে বাঘের চামড়াসহ গ্রেপ্তার ৩

06:28:27 PM

উত্তরপ্রদেশের সর্দারপুরে যান্ত্রিক গোলযোগের জন্য সড়কে ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং এয়ারক্র্যাফ্টের 

04:08:00 PM

২৭১ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স 

04:05:17 PM

আইলিগে মোহন বাগান ৩-০ গোলে হারাল নেরোকা এফসিকে 

04:04:09 PM