Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

উপমহাদেশে সহিষ্ণুতার আন্দোলনের ক্ষতি হচ্ছে
হারাধন চৌধুরী

বাঙালি বেড়াতে ভালোবাসে। বেড়ানোর সুযোগটা পাশপোর্ট ভিসা নিয়ে বিদেশে হলে তো কথাই নেই। কিন্তু গন্তব্য যদি বাংলাদেশ, আর দাবি করা হয় বিদেশ-ভ্রমণের, তবে অনেকেই মুখ টিপে হাসবেন। কারণ, বাংলাদেশকে ‘বিদেশ’ ভাবার মানসিকতা আমাদের গড়ে ওঠেনি। তেমনি বাংলাদেশের মানুষজনও কলকাতায় আসাটাকে বিদেশে আসা বলে ভাবেন না। ভারত-বাংলাদেশ ক্রিকেট ম্যাচের সময় কলকাতার অনেক ক্রিকেট-প্রেমী বাঙালিকে দেখেছি বাংলাদেশ টিমের সমর্থক! অবাক হলেও সত্যি। তাঁদের যুক্তি, বাংলাদেশ টিম মানে এগারোজন বাঙালির দল। ভাবা যায়! আমি আগে বাঙালি, পরে ভারতীয়। বাঙালির আবেগ এখনও এতটাই উচ্চগ্রামের। সেখানে বর্ডার, কাঁটাতার অবচেতনে নস্যাৎ হয়ে যায়। অস্বীকার করার উপায় নেই। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলির বহু মানুষের কাছে তাঁদের রাজধানী শহর ঢাকার চেয়ে কলকাতা অনেক আপন। এই যে নৈকট্য তার বড় কারণ দূরত্ব। যেখানে মাত্র ৬০-৭০ কিমি এগোলেই কলকাতায় পৌঁছনো সম্ভব, সেখানে ঢাকায় যেতে পাড়ি দিতে হয় তিনশো কিমির বেশি পথ।
ওপার বাংলার বেশিরভাগ মানুষের বিশ্বাস, কলকাতার চিকিৎসা-পরিষেবা ঢাকার চেয়ে ভালো, আর সেটা ঐতিহাসিক কারণে। কলকাতার এই পরিষেবার উপর তাঁদেরও হক রয়েছে বলে তাঁরা মনে করেন। ইএম বাইপাস লাগোয়া কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে সারা বছরই রোগীর ভিড় থাকে। এই রোগীদের একটি বড় অংশই বাংলাদেশি। এখানকার পরিষেবায় তাঁরা এতটাই সন্তুষ্ট যে অনেকে প্রায়ই চিকিৎসা করাতে আসেন। সিএএ-এনআরসি নিয়ে কিছুদিন যাবৎ কলকাতাসহ গোটা পশ্চিমবঙ্গ এবং আরও একাধিক অঞ্চল উত্তাল। তারই মধ্যে একদিন আলাপ হয় মাঝবয়সি এক আইনজীবীর সঙ্গে। আব্দুল জলিল। বাংলাদেশের একটি জেলা কোর্টে প্র্যাকটিস করেন।
তাঁর কাছে প্রশ্ন ছিল, এই ব্যাপারে বাংলাদেশের মানুষের প্রতিক্রিয়া কী? তিনি হেসে জবাব দিলেন, বাংলাদেশে মৌলবাদের বাড়াবাড়ি নিয়ে এতদিন আপনারা (ভারতীয়রা) হেসেছেন, আর এখন আমরা হাসছি আপনাদের (ভারতীয়দের) দেখে!
জলিল সাহেব বলেন, আপনাদের কাছে বিস্ময়কর মনে হলেও নিখাদ সত্যিটা এই—বাংলাদেশের আজকের যুবসমাজ মনে-প্রাণে অনেক আধুনিক। তাদের বেশিরভাগের কাছে মৌলবাদের কোনও স্থান নেই। বয়স্কদেরও চোখ খুলে দিচ্ছেন বয়োকনিষ্ঠরা। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি থেকে ক্রমে দূরে সরে আসার প্রবণতাটি আজকের বাংলাদেশের বিরাট প্রাপ্তি। ধর্মের নামে জাতের নামে বজ্জাতি বেশি বেশি মানুষ মন থেকে পরিত্যাগ করছেন বলেই জামাত এবং বিএনপি শিবিরে ত্রাহি রব উঠেছে।
জলিল সাহেবের আন্তরিক আমন্ত্রণ, শুধু মুখের কথা নয়, আসুন—সামনে তো একুশের বইমেলা, তারপর বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। দেখে যান কেমন অসাম্প্রদায়িক আনন্দের পরিবেশ আমরা গড়ে তুলতে পেরেছি। এমনকী, দুর্গাপুজোতেও কী আনন্দ হয় নতুন এই বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র, আপনারা কল্পনাও করতে পারবেন না। দুর্গাপুজোর উৎসব যাতে পূর্ণ নিরাপত্তার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হতে পারে তার অভূতপূর্ব বন্দোবস্ত আমাদের সরকার করে থাকে। শিক্ষা এবং চাকরি ক্ষেত্রেও হিন্দুসহ সমস্ত সংখ্যালঘু শ্রেণী আগের চেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। বেশিরভাগ সরকারি উচ্চপদেও হিন্দুরা আর ব্র্যাত্য নয়।
জলিল সাহেবের সঙ্গে এই কথার মধ্যে যোগ দিলেন পাশে দাঁড়ানো এক বাংলাদেশি যুবক। অনির্বাণ ইসলাম। ঢাকায় সরকারি চাকুরে। অনির্বাণ বলেন, আজকের বাংলাদেশের স্বপ্ন—অচিরেই যথার্থ ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে বিকশিত হওয়া। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সাকার করে তোলাই আমাদের স্বপ্ন। তাঁকে হত্যার পরই ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফের বঙ্গবন্ধুর সংবিধান ফিরিয়ে আনাই মুক্তমনা বাংলাদেশিদের লক্ষ্য।
জলিল সাহেব বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সত্যিকার ধর্মনিরপেক্ষ নেতা। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য উত্তরসূরি। কিন্তু এমন উন্নত চেতনার যুবসমাজকে পাশে না-পেলে তিনি এই অসাধ্যসাধন করতে পারতেন না। বাংলাদেশ দীর্ঘদিন যে পিছিয়ে ছিল তার মূল কারণ জনসংখ্যার অর্ধেককে অকেজো করে রাখা হয়েছিল। আজ মেয়েরাও সামনের সারিতে উঠে আসছেন। বাংলাদেশে সফল হয়েছে জন্মনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি। শিক্ষার হার দ্রুত বাড়ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল খুব দুর্বল, আর ছিল তীব্র বিদ্যুৎসমস্যা। পূর্ববঙ্গ ব্রিটিশ ভারতে দুয়োরানির সন্তানের মতোই ব্যবহার পেয়েছে, শোষণ পাকিস্তান জমানায় আরও তীব্র হয়েছে। হাসিনার সরকার সেই অতল থেকে টেনে তুলেছে বাংলাদেশের যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাকে। আজকের বাংলাদেশ সামনে এগোনো ছাড়া আর কিছু নিয়ে ভাবছে না। প্রত্যেকে নিজ নিজ সৎ জীবিকাকেই পাখির চোখ করেছে। তাই ভারতে কী হচ্ছে, তা নিয়ে নষ্ট করার মতো সময় আমাদের নেই।
জলিল সাহেব যে-আক্ষেপসহ উপসংহার টানলেন তার ভিতরে একটি চেতাবনি লক্ষ করলাম—আমরা (বাংলাদেশিরা) একটা ‘আনসেটেলড’ (অমীমাংসিত) ইস্যুকে ‘সেটেলড’ (মীমাংসিত) করার জন্য আপ্রাণ লড়াই করছি আর ভারত সেই ‘সেটেলড’ ইস্যুটাকেই ‘আনসেটেলড’ করতে প্রয়াসী হয়েছে! তিনি অবশ্য এটাও মানলেন যে ভারতের গণতান্ত্রিক ভিত্তি অত্যন্ত মজবুত। বললেন, তাই আমরা ধরেই নিচ্ছি, এই সমস্যা ভারতের মানুষ দ্রুত সামলে নেবে। ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামো অক্ষুণ্ণই থাকবে।
এই দুই মুক্তমনা বাংলাদেশি নাগরিকের কথার সূত্র ধরে খোঁজ নিয়ে দেখছি—বিশ্ব সন্ত্রাসবাদ সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির ভিতরে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। সিডনির বিখ্যাত গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর ইকনোমিকস অ্যান্ড পিস-এর ২০১৯-এর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ২০১৮-র তুলনায় বাংলাদেশ ওই বছর ৬ ধাপ এগিয়েছে। ২০১৭-র তুলনায় ২০১৮-তে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদী হামলায় প্রাণহানি কমেছে ৭০ শতাংশ। গ্লোবাল টেররিজম ইনডেক্স অনুসারে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের প্রভাব এখন মাঝারি মাত্রার। পরিস্থিতি আগে অনেক খারাপ ছিল। এই সাফল্য অবশ্য হাওয়ায় আসেনি। ২০১৩-১৫ সালের ভিতর মুক্তমনা নাগরিকদের উপর একের পর এক মৌলবাদী আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। কয়েকজনের প্রাণও গিয়েছে তাতে। ২০১৩-তে উগ্র মৌলবাদীরা ধর্মনিরপেক্ষ মুক্তমনা নামী ব্যক্তিদের খতম করার হুমকিসহ একটি হিট লিস্ট প্রকাশ করে। তারপর একের পর এক ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছেন ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার, সাংবাদিক আরিফ মহিউদ্দিন, শাহবাগ আন্দোলনের শরিক সানিউর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সফিউল ইসলাম, ব্লগার অনন্ত বিজয় দাস, ব্লগার নিলয় চট্টোপাধ্যায় ওরফে নিলয় নীল, ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ইঞ্জিনিয়ার ও প্রতিভাবান ব্লগার অভিজিৎ রায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাজিমুদ্দিন সামাদ, নামী প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন ও আহমেদুর রশিদ চৌধুরী, লেখক রণদীপ বসু ও তারেক রহমান প্রমুখ। তার আগে ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় রক্তাক্ত হন প্রখ্যাত যুক্তিবাদী অধ্যাপক লেখক হুমায়ুন আজাদ। ‘পাক সার জমিন সাদ বাদ’, ‘নারী’ এবং ‘আমার অবিশ্বাস’ শিরোনামের বিতর্কিত ও সাড়া জাগানো বইগুলি তাঁরই কলম থেকে বেরিয়েছিল। ২০১৬ সালে ঢাকার গুলশান এলাকায় হোলি আর্টিজান বেকারিতে (জনপ্রিয় রেস্তরাঁ) ঘটে যায় এক ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনা। এরপরই হাসিনা সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে এগোয়। তাতে শুধু আইনশৃঙ্খলারই উন্নতি হয়নি, ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে সে-দেশের অর্থনীতিতে। বাংলাদেশের এই সাফল্য ধরা পড়েছে বিশ্ব ক্ষুধা সূচকেও। ২০১৯-এর অক্টোবরের মাঝামাঝি প্রকাশিত হয়েছে গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স। তাতে দেখা যাচ্ছে ভারতের পজিশন সাত ধাপ নেমে গিয়েছে: ৯৫ থেকে ১০২ নম্বরে। অন্যদিকে, এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ (৮৮)। ছোট এই পড়শি দেশটি ২০১৮-তেও ভারতের চেয়ে এগিয়ে ছিল, যে-দেশ একসময় ভারতের উপর বিশেষভাবে নির্ভরশীল ছিল খাদ্যসহ নানা প্রয়োজনে।
তবে মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদ বাংলাদেশ থেকে নির্মূল হয়ে গিয়েছে, এমন দাবি কেউ করেননি। রক্তবীজের ঝাড় যে সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে, তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে ২০১৮-র ৩ মার্চ। ওইদিন সিলেটে আততায়ীর হাতে আক্রান্ত হন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রখ্যাত অধ্যাপক, কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের নামী লেখক, বিশিষ্ট চিন্তাবিদ মহম্মদ জাফর ইকবাল। তাঁকে আক্রমণের ঘটনায় ধৃত এক মাদ্রাসা-ছাত্র পুলিসের জেরায় দাবি করেছিল, সে প্রফেসর জাফর ইকবালকে ‘ইসলামের শত্রু’ মনে করে।
সিএএ, এনআরসি প্রভৃতি ভারতের মানুষ গ্রহণ করবেন কি করবেন না, তা নিশ্চিত করে বলার সময় এখনও হয়নি। তবে, এটুকু বলা যেতে পারে—এই ইস্যুতে ব্যাহত হচ্ছে আমাদের উন্নয়ন কর্মসূচিগুলি। অর্থনৈতিকভাবে আমরা দ্রুত পিছিয়ে পড়ছি। পাশাপাশি এই অধ্যায় বহির্ভারতে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। আমাদের এমন কিছু করা উচিত হবে না যার দ্বারা অন্তত বাংলাদেশে মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইটা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং উদ্বাহু নৃত্য করে পাকিস্তানের মৌলবাদী শক্তি। এই উপমহাদেশে শান্তি-সুস্থিতি প্রতিষ্ঠার প্রধান শর্ত হল—ধর্মনিরপেক্ষতা ও সহিষ্ণুতা। যথার্থ ধর্মনিরপেক্ষ সহিষ্ণু ভারত ছাড়া আর কে তার প্রেরণা হতে পারে? ভারতের উচিত, এই চাহিদায় নিজেকে প্রশ্নাতীত প্রমাণ করা, সহিষ্ণুতার ঐতিহ্য জলাঞ্জলি দেওয়া নয়। কে বলতে পারে সেই পবিত্র আলো-হাওয়ায় পাকিস্তানও কোনও একদিন যুক্তিবাদের গুলবাগিচা হয়ে উঠবে না!  
16th  January, 2020
ক্ষমা করো সুভাষ
জয়ন্ত চৌধুরী

মুক্তিপথের অগ্রদূত তিনি। অখণ্ড ভারত সাধনার নিভৃত পথিক সুভাষচন্দ্রের বৈপ্লবিক অভিঘাত বাধ্য করেছিল দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তরের পটভূমি রচনা করতে। দেশি বিদেশি নিরপেক্ষ ঐতিহাসিকদের লেখনীতে আজাদ হিন্দের অসামান্য আত্মত্যাগ স্বীকৃত হয়েছে। সর্বাধিনায়কের হঠাৎ হারিয়ে যাবার বেদনা তাঁর জন্মদিনেই বড় বেশি স্পর্শ করে যায়।  
বিশদ

স্বামীজি, বিশ্বকবি ও নেতাজির খিচুড়ি-বিলাস
বিকাশ মুখোপাধ্যায়

মঙ্গলকাব্য থেকে কাহিনীটা এভাবে শুরু করা যেতে পারে।
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই মা দুর্গা নন্দিকে তলব করেছেন, যাও ডাব পেড়ে নিয়ে এসো।
নন্দির তখনও গতরাতের গাঁজার খোঁয়ার ভাঙেনি। কোনওরকমে জড়ানো স্বরে বলল, ‘এত্তো সকালে মা?’  বিশদ

‘যে আপনকে পর করে...’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মহাত্মা গান্ধী একটা কথা বলতেন, মনপ্রাণ দিয়ে দেশের সেবা যিনি করেন, তিনিই সত্যিকারের নাগরিক। নাগরিক কাহারে কয়? বা নাগরিক কয় প্রকার ও কী কী? এই জাতীয় প্রশ্ন এখন দেশে সবচেয়ে বেশি চর্চিত। সবাই নিজেকে প্রমাণে ব্যস্ত। ভালো নাগরিক হওয়ার চেষ্টাচরিত্র নয়, নাগরিক হতে পারলেই হল। তার জন্য কাগজ লাগবে। এক টুকরো কাগজ প্রমাণ করবে, আপনি আমি ভারতের বাসিন্দা।   বিশদ

21st  January, 2020
আইন ও বাস্তব
পি চিদম্বরম

আপনি যখন এই লেখা পড়ছেন তখন ইন্টারনেট, আন্দোলন, জনসমাবেশ, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, ভাষণ ও লেখালেখি এবং কাশ্মীর উপত্যকার পর্যটকদের উপর নিয়ন্ত্রণ জারি রয়েছে। কোনোরকম ‘চার্জ’ ছাড়াই রাজনৈতিক নেতাদের হেপাজতবাসও চলছে যথারীতি। সুতরাং প্রশ্ন উঠছে—আদালতের রায়ের পরেও বাস্তবে কিছু পরিবর্তন হয়েছে কি?
বিশদ

20th  January, 2020
নেতাজি—আঁধারপথে অনন্ত আলোর দীপ্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

স্বাধীনতার পর অতিক্রান্ত বাহাত্তর বছর। কিন্তু আজও যেন তার নাবালকত্ব ঘুচল না। আসলে দেশের যাঁরা হাল ধরেন, তাঁরাই যদি নাবালকের মতো আচরণ করেন, তাহলে দেশও নাবালকই থেকে যায়। এই নাবালকত্ব আসলে এক ধরনের অযোগ্যতা। সেই অযোগ্যতার পথ ধরেই দেশ ডুবে আছে অসংখ্য সঙ্কটে। দুর্নীতিই হল সেই সঙ্কটের মধ্যমণি।  
বিশদ

20th  January, 2020
মানুষকে সঙ্কটে ফেলা ছাড়া নোটবাতিলের
আর কোনও উদ্দেশ্যই সফল হয়নি 
হিমাংশু সিংহ

আর-একটা সাধারণ বাজেট পেশ হতে চলেছে দু’সপ্তাহের মধ্যে। নিঃসন্দেহে এবারের বাজেটের প্রধান লক্ষ্য, বেনজির আর্থিক মন্দার মোকাবিলা করা, নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা এবং একইসঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে চাঙ্গা করা। ছাপ্পান্ন ইঞ্চি ছাতির নরেন্দ্র মোদি যতই নিজের ঢাক পেটান না কেন, দেশের অর্থনীতি এই মুহূর্তে ভয়ঙ্কর সঙ্কটে জর্জরিত। 
বিশদ

19th  January, 2020
প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি (১১-১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা ভ্রমণকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত বিতর্কে হইচই চলছে সারা দেশে। কলকাতার এক বড় অংশের বামমনা বুদ্ধিজীবী মানুষ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে। 
বিশদ

18th  January, 2020
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ: পুতুলনাচের ইতিকথা
জিষ্ণু বসু

নাচায় পুতুল যথা দক্ষ বাজিকরে/ নাচাও তেমনি তুমি অর্বাচীন নরে। —কবি নবীনচন্দ্র সেনের এই বিখ্যাত পঙ্‌ক্তি আজ ভীষণ প্রাসঙ্গিক মনে হয়। গত মাসাধিক কাল সামান্য কিছু অতি বুদ্ধিমান আমাদের মতো অর্বাচীনদের পুতুলের মতো নাচাচ্ছেন। জাতীয় ও আঞ্চলিক প্রচার মাধ্যমও অতি যত্নসহকারে তা পরিবেশন করছে। 
বিশদ

18th  January, 2020
উপমহাদেশে সহিষ্ণুতার আন্দোলনের ক্ষতি হচ্ছে 
হারাধন চৌধুরী

বাঙালি বেড়াতে ভালোবাসে। বেড়ানোর সুযোগটা পাশপোর্ট ভিসা নিয়ে বিদেশে হলে তো কথাই নেই। কিন্তু গন্তব্য যদি বাংলাদেশ, আর দাবি করা হয় বিদেশ-ভ্রমণের, তবে অনেকেই মুখ টিপে হাসবেন। কারণ, বাংলাদেশকে ‘বিদেশ’ ভাবার মানসিকতা আমাদের গড়ে ওঠেনি। 
বিশদ

17th  January, 2020
হৃদয়জুড়ে মানবসেবা
মৃণালকান্তি দাস

সমকাল তাঁকে যথেষ্ট লজ্জা দিয়েছিল! নিজের দেশ ছেড়ে বিদেশ-বিভুঁইয়ে কপর্দকহীন এক সন্ন্যাসীকে নিগৃহীত করতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন ব্রাহ্মসমাজের প্রতিনিধি প্রতাপচন্দ্র মজুমদার।  স্বামীজির বিজয়কীর্তিকে ধূলিসাৎ করতে নিজের ‘ইউনিটি অ্যান্ড দি মিনিস্টার’ পত্রিকায় স্বামীজিকে ‘নবহিন্দু বাবু নরেন্দ্রনাথ দত্ত’ সম্বোধন করে বলা হয় যে, তিনি নাকি যুবাবয়সে ব্রাহ্মসমাজে আসেন  শুধুমাত্র  ‘নববৃন্দাবন’ থিয়েটারে অভিনয়ের জন্য।  
বিশদ

17th  January, 2020
প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি (১১-১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা ভ্রমণকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত বিতর্কে হইচই চলছে সারা দেশে। কলকাতার এক বড় অংশের বামমনা বুদ্ধিজীবী মানুষ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে।  
বিশদ

16th  January, 2020
রাজনীতির রঙের বাইরে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

যে পড়ুয়ারা আজ পথে নেমেছে, তারা তো শিক্ষিত! এঁটেল মাটির তালের মতো। যুক্তি দিয়ে বোঝালে তারা অবাধ্য হয় না। তা না করে নয়াদিল্লি বা উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে পাল্টা ধোলাই দেওয়ার রাস্তা নিয়েছিল পুলিস। আর বলা হয়েছে, মানতে না পারলে পাকিস্তানে চলে যাও। এটাই কি ভারতের মতো গণতন্ত্রের থেকে পাওনা? যুব সমাজ কিন্তু মানছে না। মানবেও না। দিন নেই, রাত নেই তারা কখনও ক্যাম্পাসে ধর্নায় বসছে, কখনও রাজপথে। তাদের লড়াই আজ নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন আগ্রাসী কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে।
বিশদ

14th  January, 2020
একনজরে
 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ইরান-আমেরিকার যুদ্ধ হলে ভারতে তার বিরাট প্রভাব পড়বে। আফগানিস্তান, ইরাকে আমেরিকার যুদ্ধের সময় যতটা হয়নি, তার চেয়ে অনেক বেশি হবে। ইরান ভারতের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ দেশ। ইরান থেকে ভারত তেল পায়। ভারতের চা সেখানে রপ্তানি হয়। ...

 অর্পণ সেনগুপ্ত, কলকাতা: টানা ওষুধ খেলে শরীরে জমে ‘বিষ’। এবার সহজেই সেই ‘বিষ’ সাফ হতে পারে। আশার আলো দেখাচ্ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের একটি গবেষণা। কিছু রোগ আছে, যেগুলির জন্য সারাজীবন ওষুধ খেয়ে যেতে হয়। তার একটি ক্ষতিকর দিকও থাকে। ...

 ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল। ...

সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ: গাঁদা ফুল চাষ করে আয়ের মুখ দেখছেন রায়গঞ্জ ব্লকের বিরঘই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চাষিরা। বর্তমানে অন্যান্য খাদ্যশস্য চাষ করার পাশাপাশি এই ফুল চাষেও ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৯৪- সাহিত্যিক জ্যোতির্ময়ীদেবীর জন্ম
১৮৯৭- মহাবিপ্লবী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম
১৯০৯ - কবি নবীনচন্দ্র সেনের মৃত্যু
১৯২৬- শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বাল থ্যাকারের জন্ম
১৯৩৪- সাংবাদিক তথা ‘বর্তমান’ এর প্রাণপুরুষ বরুণ সেনগুপ্তর জন্ম
১৯৭৬- গায়ক পল রোবসনের মৃত্যু
১৯৮৪ – নেদারল্যান্ডের ফুটবল খেলোয়াড় আর্ইয়েন রবেনের জন্ম
১৯৮৯ - স্পেনীয় চিত্রকর সালভাদর দালির মৃত্যু
২০০২ - পাকিস্তানের করাচীতে সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্ল অপহৃত হন এবং পরবর্তীকালে নিহত হন।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৩৫ টাকা ৭২.০৫ টাকা
পাউন্ড ৯১.২১ টাকা ৯৪.৪৯ টাকা
ইউরো ৭৭.৪২ টাকা ৮০.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪০,৫৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৮,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৯,০৮০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৮ মাঘ ১৪২৬, ২৩ জানুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার, চতুর্দশী ৪৯/৪৮ রাত্রি ২/১৮। পূর্বাষা‌ঢ়া ৪৭/২৫ রাত্রি ১/২১। সূ উ ৬/২২/৩১, অ ৫/১৪/৭, অমৃতযোগ রাত্রী ১/৭ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ২/৩১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪৮ গতে ১/২৭ মধ্যে। 
৮ মাঘ ১৪২৬, ২৩ জানুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার, চতুর্দশী ৪৯/১৬/২৩ রাত্রী ২/৮/২৩। পূর্বাষাঢ়া ৪৭/৫৬/৪৫ রাত্রি ১/৩৬/৩২। সূ উ ৬/২৫/৫০, অ ৫/১২/৩২, অমৃতযোগ দিবা ১/৭ গতে ৩/৪২ মধ্যে। কালবেলা ২/৩০/৫২ গতে ৩/৫১/৪২ মধ্যে, কালরাত্রি ১১/৪৯/১১ গতে ১/২৮/২১ মধ্যে। 
২৭ জমাদিয়ল আউয়ল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ:বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। বৃষ:প্রতিযোগিতায় সাফল্য আসবে। মিথুন: ব্যবসাস্থান ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৯৪- সাহিত্যিক জ্যোতির্ময়ীদেবীর জন্ম১৮৯৭- মহাবিপ্লবী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম১৯০৯ - ...বিশদ

07:03:20 PM

কলকাতার একটি হোটেল থেকে বাঘের চামড়াসহ গ্রেপ্তার ৩

06:28:27 PM

উত্তরপ্রদেশের সর্দারপুরে যান্ত্রিক গোলযোগের জন্য সড়কে ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং এয়ারক্র্যাফ্টের 

04:08:00 PM

২৭১ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স 

04:05:17 PM

আইলিগে মোহন বাগান ৩-০ গোলে হারাল নেরোকা এফসিকে 

04:04:09 PM