বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
জেলা কংগ্রেস সভাপতি সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, দলের জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে আমরা পুরসভা নিয়ে বৈঠক করেছি। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপিকে রুখতে সম্মানজনক যে কোনও সমঝোতায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বামেদের সঙ্গে জোট করার বিষয়ে রাজ্যস্তরের একটি নির্দেশিকা আছে। কোনও জোটে গেলেও আমরা আসন নিয়ে অকারণ জেদাজেদি করব না। কারণ আসন সংখ্যা আমাদের লক্ষ্য নয়, লক্ষ্য পুরসভা থেকে তৃণমূলকে সরানো এবং বিজেপিকে রুখে দেওয়া। সেই মর্মেই পুরসভার নেতৃত্বদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, কংগ্রেসের মতো বিশ্বাসঘাতক দল দেশের ইতিহাসে একটাও তৈরি হয়েছে কি না সন্দেহ। তবে বাম-কংগ্রেস তো নতুন নয়। বাংলার মানুষ গত লোকসভাতেই তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। যে সিপিএমের হাতে হুগলির কংগ্রেস কর্মীরা পড়ে পড়ে মার খেয়েছে, তাদের সঙ্গে যদি তারা একসঙ্গে চলতে পারে আমাদের কি সমস্যা আছে! জোট নয়, উন্নয়নের নিরিখে লড়াই হবে।
কংগ্রেসের অন্দরমহল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য নেতৃত্ব আগেই সিপিএমের সঙ্গে জোট করে পুরসভার লড়ার বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছিল। এরপর গত সপ্তাহে কংগ্রেস জেলা কমিটির বৈঠক ডেকে পুরসভাভিত্তিক সিপিএমের সঙ্গে আলোচনা এবং তাতে কী নীতি নিয়ে চলা হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। সেখানেই ঠিক করা হয়েছে, কিছু পুরসভায় কংগ্রেস বাড়তি আসনের দাবি জানাবে। কিন্তু, তা কোনওভাবে জোর জবরদস্তির পর্যায়ে যাবে না। দলের অভ্যন্তরীণ হিসাব, বৈদ্যবাটি, চাঁপদানি, শ্রীরামপুর, কোন্নগর, রিষড়া, বাঁশবেড়িয়ার মতো পুরসভাগুলিতে দলের ভালো ফলের সম্ভাবনা আছে।
অন্যদিকে, চন্দননগর, চুঁচুড়া, ভদ্রেশ্বরের মতো পুরসভাগুলিতে বাম আধিপত্য অনেকটাই বেশি। ফলত, পছন্দের পুরসভায় অন্তত এক চতুর্থাংশ আসনের দাবি রাখা হবে। তবে যদিও কোনও কারণে এতে জোটের ক্ষেত্রে সমস্যা হয় তবে নেতৃত্ব দাবিতে অনড় থাকবে না। পারস্পরিক সমঝোতায় বন্ধন মজবুত করতে কার্যত আগেভাগেই জোট শরিকদের অগ্রাধিকারের বার্তা দিয়ে বৈঠক করার নির্দেশ জেলা নেতৃত্ব দিয়ে রেখেছে। যদিও জোটশরিক হিসাবে অসম্মানজনক কোনও শর্তে কংগ্রেস রাজি হবে না বলেও স্থানীয় নেতৃত্বকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে যদি জোটে জট দেখা দেয়, তবে রাজ্য নেতৃত্ব দেখবে, এমনই সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের ঘরোয়া বৈঠকে নেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কংগ্রেস নেতা বলেন, জোট না হওয়ার দায় কংগ্রেস নেবে না। সেভাবেই পুরভোটের নীতি চূড়ান্ত করা হয়েছে।