বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
এদিকে, বুধবার সৌমির শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে ওই কলেজ ছাত্রী এখনও আতঙ্কে আছেন। বুধবার সকাল থেকে কেবল পরিবারের সদস্যদের খোঁজাখুঁজি করেন। চিকিৎসকরা তার কথা বলা বন্ধ করে রেখেছেন। ওই ছাত্রীকে দেখভালের জন্যে পরিবারের কয়েকজনের সঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরাও আছেন। ধনেখালি থানার পুলিস জানিয়েছে, ধৃতকে হেপাজতে নেওয়া হয়েছে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
ওই ছাত্রীর দিদি সঞ্চিতা পাল বলেন, বোন এখনও আতঙ্কে আছে। ওর শরীর আগের থেকে কিছুটা ভালো। পুলিস আসগরকে গ্রেপ্তার করেছে শুনে আমরা স্বস্তি পেয়েছি। আমি যতদূর জানি বোনের সঙ্গে ওই যুবকের ভালো বন্ধুত্ব ছিল। সেটাকেই সে জবরদস্তির জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল। ধনেখালি ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি সৌমেন বসু বলেন, কার্যকারণ যাই হোক কাউকে খুন করে ফেলতে চাওয়া অপরাধ। সেই অপরাধের তদন্তে পুলিস দ্রুত ও কার্যকরী পদক্ষেপ করেছে। এই মুহূর্তে সৌমির সুস্থতাই আমাদের কাছে বেশি কাম্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কলেজে পড়ার সময়েই আসগরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয় সৌমির। যদিও আসগর কলেজে পড়ত না। আসগরের এক বন্ধুর সঙ্গে সৌমির ঘনিষ্ঠতা ছিল। সেই সুবাদে কলেজে যাতায়াত ছিল আসগরের। দু’জনের ঘনিষ্ঠতার পরিণতিতে বছরখানেক আগে একটি টিকটক ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে সৌমির কিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্ত ছিল। এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার কারণেই দু’জনের ঘনিষ্ঠতায় ছেদ পড়ে। এই অবসরে আসগরের বন্ধু সৌমির বেশি কাছাকাছি চলে এসেছিল। তা নিয়েও ক্ষোভ ছিল আসগরের। সৌমির ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, এরই মধ্যে কাজের সুবাদে আসগর বাইরে গিয়েছিল। কিন্তু, ফিরে এসেই ফের সৌমির সঙ্গে পুরনো সম্পর্ক ফিরে পাওয়ার দাবি জানিয়ে কার্যত অত্যাচার শুরু করে। তাঁর পরিবারের লোকজনদের বিব্রত করার পাশাপাশি সৌমিকেও হুমকি দিচ্ছিল। এর জেরে ফোন নম্বর বদলে ফেলার সঙ্গে মাসির বাড়িতে চলেও যেতে হয় ওই ছাত্রীকে। কিন্তু, কোনওভাবেই বাগে আনতে না পেরে রাতে সৌমিকে ছল করে ডেকে পাঠিয়ে গলায় ছুরি চালিয়ে দেয় আসগর। সৌমির ঘনিষ্ঠদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বরাবরই ওই যুবক কর্তৃত্ব করার চেষ্টা করত। সেটিও তাদের সম্পর্কে তিক্ততা এনেছিল। কিন্তু শেষ শেষপর্যন্ত ‘আমি না পেলে কাউকে পেতে দেব না’ এই জেদটাই যে সে বাস্তবে করার চেষ্টা করবে কেউ ভাবেনি।