Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘যে আপনকে পর করে...’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মহাত্মা গান্ধী একটা কথা বলতেন, মনপ্রাণ দিয়ে দেশের সেবা যিনি করেন, তিনিই সত্যিকারের নাগরিক।
নাগরিক কাহারে কয়? বা নাগরিক কয় প্রকার ও কী কী? এই জাতীয় প্রশ্ন এখন দেশে সবচেয়ে বেশি চর্চিত। সবাই নিজেকে প্রমাণে ব্যস্ত। ভালো নাগরিক হওয়ার চেষ্টাচরিত্র নয়, নাগরিক হতে পারলেই হল। তার জন্য কাগজ লাগবে। এক টুকরো কাগজ প্রমাণ করবে, আপনি আমি ভারতের বাসিন্দা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অসমে এনআরসি প্রক্রিয়ার আগে অন্তত একটা ধর্মভিত্তিক আশ্বাস-আশঙ্কা ছিল। ওই পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর সবই গুবলেট হয়ে গিয়েছে। কাগজ জোগাড়ের আশায় ছুটছেন সবাই। এই প্রেক্ষাপটে গান্ধীজির ‘নাগরিক-সংজ্ঞা’ ফিরে দেখার লোভ সামাল দেওয়া গেল না। কারণ, গান্ধীজির কাছে ধর্ম কখনও নাগরিকত্বের পরিচায়ক ছিল না। স্বামী বিবেকানন্দের কাছেও না। যা আজ হতে চলেছে। সৌজন্যে, নরেন্দ্র মোদি সরকারের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। যাকে হাতিয়ার করে নাগরিকত্ব ‘দেওয়ার’ ভিত শক্ত করেছে কেন্দ্র। এবং এনপিআর বা জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জি। ইউপিএ আমলে শুরু হয়েছিল এই প্রক্রিয়া। উদ্দেশ্য ছিল হাউসলিস্টিং। অর্থাৎ একটি বাড়িতে পরিবারের কে কে থাকেন, সেখানে বাইরের রাজ্য থেকে এসে কেউ থাকছেন কি না, তার হিসেব নেওয়া। এবং এই হিসেবটা করা হয় গত ছ’মাস কেউ এক ঠিকানায় আছেন কি না, বা পরবর্তী ছ’মাস ওই ঠিকানায় থাকার ব্যাপারে নিশ্চিত কি না, তার উপর ভিত্তি করে। আসলে নাগরিকত্ব আইন, ১৯৫৫ এবং নাগরিকত্ব বিধি, ২০০৩-কে সামনে খাড়া করে ভারতের একজন নাগরিকের যাবতীয় তথ্য জোগাড় করার নামই হল এনপিআর। সোজা কথায় ডেটাবেস তৈরি করা। এর জন্য বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা হবে ঠিকই, কিন্তু সরকার নিযুক্ত কর্মীরা কোনও নাগরিকের বায়োমেট্রিক বা পরিচয়ের প্রমাণপত্র চাইতে পারবেন না। এটাই জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জি। এই সামান্য ব্যাপার নিয়ে তাহলে এত হইচই কেন? তার দু’টো কারণ। প্রথমত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ... তিনি বলে ফেলেছিলেন, এনপিআর হল এনআরসির প্রথম ধাপ। সঙ্গে তাঁর মন্ত্রকের ওয়েবসাইট। যেখানে এই কথাটাই লেখা আছে ২০১৮-১৯ সালের বার্ষিক রিপোর্টের ২৬২ নম্বর পৃষ্ঠায়। দ্বিতীয়ত, শোনা যাচ্ছে এনপিআরে নতুন কিছু প্রশ্ন যোগ হয়েছে... যেমন বাবা মায়ের জন্মস্থান, আধার নম্বর, ধর্ম ইত্যাদি। যদি বাসস্থান সংক্রান্ত তথ্যই নেওয়ার থাকে, তাহলে এই অতিরিক্ত প্রশ্নের খোঁচার প্রয়োজন কী? এনআরসি ভারতীয় জনমানসে একেই আতঙ্ক ভরে দিয়েছে, তার উপর এই বাড়তি ইন্ধন। গোটা দেশে অসন্তোষের আগুন ছড়িয়ে পড়াটা অস্বাভাবিক কি? আর সেটাই হয়েছে। দিকে দিকে বিক্ষোভ, আন্দোলন, একটা শাহিনবাগ, একটা পার্ক সার্কাস শাসক দলকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, রাজনীতি নয়, ধর্ম নয়, আমরা নাগরিক। ভারতের। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন, ‘কোনো বিশেষ ধর্মমত ও কোনো বিশেষ আচার কোনো জাতির নিত্য লক্ষণ হইতেই পারে না। হাঁসের পক্ষে জলে সাঁতার যেমন, মানুষের পক্ষে বিশেষ ধর্মমত কখনোই সেরূপ নহে। ধর্মমত জড় পদার্থ নহে—মানুষের বিদ্যাবুদ্ধি অবস্থার সঙ্গে সঙ্গেই তাহার বিকাশ আছে—এই জন্য ধর্ম কোনো জাতির অবিচলিত নিত্য পরিচয় হইতেই পারে না।’
এটাই চিরন্তন সত্য। অথচ, ধর্মের মেরুকরণ চলছে। খুল্লামখুল্লা। গোটা দেশে এনআরসি বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তারই একটা শাখা মাত্র। প্রবল চাপের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যতই বলুন না কেন, গোটা দেশে এনআরসির এখনই কোনও পরিকল্পনা কেন্দ্রের নেই। বা এই সংক্রান্ত কোনও বৈঠক হয়নি। তা সত্ত্বেও আতঙ্ক কাটছে না। কারণ, এনপিআর জুজু। সেটাই আপাতত সামনে খাড়া করে এগচ্ছে কেন্দ্র। বিজেপি ঢাক পেটাচ্ছে এতে কোনও গণ্ডগোল নেই। তথ্য দিলে অসুবিধা কী? বিরোধীরা মানছে না। মানুষও না। তাদের এক মত, আগে যে তথ্য নেওয়া হতো, তা দিতে তো অসুবিধা নেই! নতুন প্রশ্ন কেন? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে এনপিআর হবে না। তাঁর সুরে সুর মিলিয়েছে কংগ্রেস, বামফ্রন্ট সহ অন্য বিরোধীরাও। কিন্তু সেই তাল খানিক কেটেও গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, দিল্লির ডাকা এনপিআর বৈঠকে রাজ্যের কোনও প্রতিনিধি যাবে না। প্রাথমিকভাবে একই গর্জন শোনা গিয়েছিল কংগ্রেস এবং বামেদের তরফ থেকেও। আদপে যা হয়নি। শেষমেশ দেখা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া বাকি সব রাজ্যের প্রতিনিধিই বৈঠকে উপস্থিত। এমনকী কেরলও। পরে অবশ্য সিপিএমের তরফ থেকে সাফাই দেওয়া হয়, ‘আমরা যে এনপিআর করছি না, সেটা জানানোর জন্যই তো বৈঠকে গিয়েছিলাম!’ তার জন্য কি এই হাঁকডাক করে দিল্লি যাওয়ার দরকার ছিল? মমতা সরকার কিন্তু বিজ্ঞপ্তি জারি করে এনপিআর সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। সেটাই যথেষ্ট নয় কি? বিজেপি উল্লসিত, বিরোধীরা ক্ষমতায় এমন সব রাজ্য সরকার(পশ্চিমবঙ্গ বাদে) বৈঠকে এসেছে মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একলা হয়ে গিয়েছেন। আর আক্রমণের ঝাঁঝ থাকবে না। বিজেপি এখানেই ভুল করছে। কোনও একটি ইস্যুতে যদি বিরোধিতাকে সপ্তমে নিয়ে যেতে হয়, তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাই যথেষ্ট। তাঁর কোনও সাঙ্গোপাঙ্গো লাগে না। এর প্রমাণ তিনি আগেও দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট সরকারের ৩৪ বছরের শাসনকালে কোথায় ছিল বিরোধী? একা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে তৃণমূল গঠন করেছেন... তারপরও তিনিই হয়েছেন প্রধান বিরোধী মুখ। নির্বাচনে তিনি জিতেছেন, তৃণমূলের বাকি কেউ নয়... এমন দিনও দেখেছে বাংলা। তারপরও ফিরে এসেছেন মমতা। বিরোধিতার সেই ঝাঁঝকেই সম্বল করে। তা সে সিঙ্গুর হোক, নন্দীগ্রাম বা নেতাই। আক্রমণের সেই তীব্রতা আজ কিন্তু আরও একবার ফিরে এসেছে। নাগরিকত্বের প্রশ্নে। মানুষের পরিচিতি, তাঁর রাষ্ট্র, অধিকার কেড়ে নেওয়ার উদ্দেশ্য বানচাল করতে। যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেনেন, তাঁরা জানেন, একা হলেও তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। সত্যের জন্য। রবি ঠাকুরকে ধার করেই বলা যায়, ‘সত্য ওজনদরে বা গজের মাপে বিক্রয় হয় না—তাহা ছোটো হইলেও তাহা বড়ো। পর্বতপরিমাণ খড়বিচালি স্ফুলিঙ্গপরিমাণ আগুনের চেয়ে দেখিতেই বড়ো কিন্তু আসলে বড়ো নহে। সমস্ত শেজের মধ্যে যেখানে সলিতার সূচ্যগ্র পরিমাণ মুখটিতে আলো জ্বলিতেছে সেইখানেই সমস্ত শেজটার সার্থকতা। তেলের নিম্নভাগে অনেকখানি জল আছে তাহার পরিমাণ যতই হউক সেইটেকে আসল জিনিস বলিবার কোনো হেতু নাই। সকল সমাজেই সমস্ত সমাজপ্রদীপের আলোটুকু যাঁহারা জ্বালাইয়া আছেন তাঁহারা সংখ্যাহিসাবে নহে সত্যহিসাবে সে সমাজে অগ্রগণ্য। তাঁহারা দগ্ধ হইতেছেন, আপনাকে তাঁহারা নিমেষে নিমেষে ত্যাগই করিতেছেন তবু তাঁহাদের শিখা সমাজে সকলের চেয়ে উচ্চে—সমাজে তাঁহারাই সজীব, তাঁহারাই দীপ্যমান।’
আর একটা অগ্নিস্ফুলিঙ্গ, একটি শিখা কিন্তু গোটা লঙ্কাপুরীকে ছারখার করে দিতে পারে। কাজেই সতর্ক হওয়া সবার আগে দরকার। যাঁরা নাগরিকের অধিকার ছিনিয়ে নিতে চাইছেন। নিজের দেশ থাকা সত্ত্বেও তাঁদের পরবাসী করতে চাইছেন, তাঁরা এখনই সতর্ক না হলে রাবণের লঙ্কার দশা হবেই। আজ না হয় কাল। ধর্ম মানুষকে একজোট করে। বিভাজিত নয়।
আর বিভাজনের ফল একটাই... বিশ্বাসভঙ্গের অভিশাপ। নরেন্দ্র মোদিকে মানুষ মাথায় তুলে শিখরে বসিয়েছে। পরপর দু’বার। তাঁর প্রতি বিস্ময়,
ক্ষোভ যদি অবিশ্বাসে বদলে যায়? দেশবাসীকে রাষ্ট্রহীন করতে গিয়ে তিনিই না তখন পর হয়ে যান। বিশ্বকবি কিন্তু বলে গিয়েছিলেন, ‘যে আপনাকে পর করে সে পরকে আপনার করে না, যে আপন ঘরকে অস্বীকার করে কখনোই বিশ্ব তাহার ঘরে আতিথ্য গ্রহণ করিতে আসে না।’ 
21st  January, 2020
ক্ষমা করো সুভাষ
জয়ন্ত চৌধুরী

মুক্তিপথের অগ্রদূত তিনি। অখণ্ড ভারত সাধনার নিভৃত পথিক সুভাষচন্দ্রের বৈপ্লবিক অভিঘাত বাধ্য করেছিল দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তরের পটভূমি রচনা করতে। দেশি বিদেশি নিরপেক্ষ ঐতিহাসিকদের লেখনীতে আজাদ হিন্দের অসামান্য আত্মত্যাগ স্বীকৃত হয়েছে। সর্বাধিনায়কের হঠাৎ হারিয়ে যাবার বেদনা তাঁর জন্মদিনেই বড় বেশি স্পর্শ করে যায়।  
বিশদ

স্বামীজি, বিশ্বকবি ও নেতাজির খিচুড়ি-বিলাস
বিকাশ মুখোপাধ্যায়

মঙ্গলকাব্য থেকে কাহিনীটা এভাবে শুরু করা যেতে পারে।
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই মা দুর্গা নন্দিকে তলব করেছেন, যাও ডাব পেড়ে নিয়ে এসো।
নন্দির তখনও গতরাতের গাঁজার খোঁয়ার ভাঙেনি। কোনওরকমে জড়ানো স্বরে বলল, ‘এত্তো সকালে মা?’  বিশদ

আইন ও বাস্তব
পি চিদম্বরম

আপনি যখন এই লেখা পড়ছেন তখন ইন্টারনেট, আন্দোলন, জনসমাবেশ, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, ভাষণ ও লেখালেখি এবং কাশ্মীর উপত্যকার পর্যটকদের উপর নিয়ন্ত্রণ জারি রয়েছে। কোনোরকম ‘চার্জ’ ছাড়াই রাজনৈতিক নেতাদের হেপাজতবাসও চলছে যথারীতি। সুতরাং প্রশ্ন উঠছে—আদালতের রায়ের পরেও বাস্তবে কিছু পরিবর্তন হয়েছে কি?
বিশদ

20th  January, 2020
নেতাজি—আঁধারপথে অনন্ত আলোর দীপ্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

স্বাধীনতার পর অতিক্রান্ত বাহাত্তর বছর। কিন্তু আজও যেন তার নাবালকত্ব ঘুচল না। আসলে দেশের যাঁরা হাল ধরেন, তাঁরাই যদি নাবালকের মতো আচরণ করেন, তাহলে দেশও নাবালকই থেকে যায়। এই নাবালকত্ব আসলে এক ধরনের অযোগ্যতা। সেই অযোগ্যতার পথ ধরেই দেশ ডুবে আছে অসংখ্য সঙ্কটে। দুর্নীতিই হল সেই সঙ্কটের মধ্যমণি।  
বিশদ

20th  January, 2020
মানুষকে সঙ্কটে ফেলা ছাড়া নোটবাতিলের
আর কোনও উদ্দেশ্যই সফল হয়নি 
হিমাংশু সিংহ

আর-একটা সাধারণ বাজেট পেশ হতে চলেছে দু’সপ্তাহের মধ্যে। নিঃসন্দেহে এবারের বাজেটের প্রধান লক্ষ্য, বেনজির আর্থিক মন্দার মোকাবিলা করা, নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা এবং একইসঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে চাঙ্গা করা। ছাপ্পান্ন ইঞ্চি ছাতির নরেন্দ্র মোদি যতই নিজের ঢাক পেটান না কেন, দেশের অর্থনীতি এই মুহূর্তে ভয়ঙ্কর সঙ্কটে জর্জরিত। 
বিশদ

19th  January, 2020
প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি (১১-১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা ভ্রমণকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত বিতর্কে হইচই চলছে সারা দেশে। কলকাতার এক বড় অংশের বামমনা বুদ্ধিজীবী মানুষ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে। 
বিশদ

18th  January, 2020
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ: পুতুলনাচের ইতিকথা
জিষ্ণু বসু

নাচায় পুতুল যথা দক্ষ বাজিকরে/ নাচাও তেমনি তুমি অর্বাচীন নরে। —কবি নবীনচন্দ্র সেনের এই বিখ্যাত পঙ্‌ক্তি আজ ভীষণ প্রাসঙ্গিক মনে হয়। গত মাসাধিক কাল সামান্য কিছু অতি বুদ্ধিমান আমাদের মতো অর্বাচীনদের পুতুলের মতো নাচাচ্ছেন। জাতীয় ও আঞ্চলিক প্রচার মাধ্যমও অতি যত্নসহকারে তা পরিবেশন করছে। 
বিশদ

18th  January, 2020
উপমহাদেশে সহিষ্ণুতার আন্দোলনের ক্ষতি হচ্ছে 
হারাধন চৌধুরী

বাঙালি বেড়াতে ভালোবাসে। বেড়ানোর সুযোগটা পাশপোর্ট ভিসা নিয়ে বিদেশে হলে তো কথাই নেই। কিন্তু গন্তব্য যদি বাংলাদেশ, আর দাবি করা হয় বিদেশ-ভ্রমণের, তবে অনেকেই মুখ টিপে হাসবেন। কারণ, বাংলাদেশকে ‘বিদেশ’ ভাবার মানসিকতা আমাদের গড়ে ওঠেনি। 
বিশদ

17th  January, 2020
হৃদয়জুড়ে মানবসেবা
মৃণালকান্তি দাস

সমকাল তাঁকে যথেষ্ট লজ্জা দিয়েছিল! নিজের দেশ ছেড়ে বিদেশ-বিভুঁইয়ে কপর্দকহীন এক সন্ন্যাসীকে নিগৃহীত করতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন ব্রাহ্মসমাজের প্রতিনিধি প্রতাপচন্দ্র মজুমদার।  স্বামীজির বিজয়কীর্তিকে ধূলিসাৎ করতে নিজের ‘ইউনিটি অ্যান্ড দি মিনিস্টার’ পত্রিকায় স্বামীজিকে ‘নবহিন্দু বাবু নরেন্দ্রনাথ দত্ত’ সম্বোধন করে বলা হয় যে, তিনি নাকি যুবাবয়সে ব্রাহ্মসমাজে আসেন  শুধুমাত্র  ‘নববৃন্দাবন’ থিয়েটারে অভিনয়ের জন্য।  
বিশদ

17th  January, 2020
প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি (১১-১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা ভ্রমণকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত বিতর্কে হইচই চলছে সারা দেশে। কলকাতার এক বড় অংশের বামমনা বুদ্ধিজীবী মানুষ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে।  
বিশদ

16th  January, 2020
উপমহাদেশে সহিষ্ণুতার আন্দোলনের ক্ষতি হচ্ছে
হারাধন চৌধুরী

সিএএ, এনআরসি প্রভৃতি ভারতের মানুষ গ্রহণ করবেন কি করবেন না, তা নিশ্চিত করে বলার সময় এখনও হয়নি। তবে, এটুকু বলা যেতে পারে—এই ইস্যুতে ব্যাহত হচ্ছে আমাদের উন্নয়ন কর্মসূচিগুলি। অর্থনৈতিকভাবে আমরা দ্রুত পিছিয়ে পড়ছি। পাশাপাশি এই অধ্যায় বহির্ভারতে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। আমাদের এমন কিছু করা উচিত হবে না যার দ্বারা অন্তত বাংলাদেশে মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইটা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং উদ্বাহু নৃত্য করে পাকিস্তানের মৌলবাদী শক্তি। 
বিশদ

16th  January, 2020
রাজনীতির রঙের বাইরে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

যে পড়ুয়ারা আজ পথে নেমেছে, তারা তো শিক্ষিত! এঁটেল মাটির তালের মতো। যুক্তি দিয়ে বোঝালে তারা অবাধ্য হয় না। তা না করে নয়াদিল্লি বা উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে পাল্টা ধোলাই দেওয়ার রাস্তা নিয়েছিল পুলিস। আর বলা হয়েছে, মানতে না পারলে পাকিস্তানে চলে যাও। এটাই কি ভারতের মতো গণতন্ত্রের থেকে পাওনা? যুব সমাজ কিন্তু মানছে না। মানবেও না। দিন নেই, রাত নেই তারা কখনও ক্যাম্পাসে ধর্নায় বসছে, কখনও রাজপথে। তাদের লড়াই আজ নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন আগ্রাসী কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে।
বিশদ

14th  January, 2020
একনজরে
 বিএনএ, বারাসত: রসিদ দিয়ে ‘গুন্ডা ট্যাক্স’ আদায়ের সংবাদ প্রকাশ্যে আসায় এবার রসিদ ছাড়াই তোলাবাজি শুরু হয়েছে ঘোজাডাঙা সীমান্তে। আগের তুলনায় আরও সতর্কভাবে ও সুচতুরভাবে তোলাবাজি শুরু করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ট্রাক চালক ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিসি মদতে এই তোলাবাজি চলায় ...

 ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল। ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ইরান-আমেরিকার যুদ্ধ হলে ভারতে তার বিরাট প্রভাব পড়বে। আফগানিস্তান, ইরাকে আমেরিকার যুদ্ধের সময় যতটা হয়নি, তার চেয়ে অনেক বেশি হবে। ইরান ভারতের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ দেশ। ইরান থেকে ভারত তেল পায়। ভারতের চা সেখানে রপ্তানি হয়। ...

 রাঁচি, ২২ জানুয়ারি (পিটিআই): ঝাড়খণ্ডে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠল পাথালগড়ি আন্দোলন। মঙ্গলবার রাতে পাথালগড়ি সমর্থকদের হাতে খুন হলেন সাতজন গ্রামবাসী। তাঁদের মধ্যে একজন পঞ্চায়েতের সদস্যও রয়েছেন। পশ্চিম সিংভূম জেলার বুরুগুলিকেরা গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৯৪- সাহিত্যিক জ্যোতির্ময়ীদেবীর জন্ম
১৮৯৭- মহাবিপ্লবী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম
১৯০৯ - কবি নবীনচন্দ্র সেনের মৃত্যু
১৯২৬- শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বাল থ্যাকারের জন্ম
১৯৩৪- সাংবাদিক তথা ‘বর্তমান’ এর প্রাণপুরুষ বরুণ সেনগুপ্তর জন্ম
১৯৭৬- গায়ক পল রোবসনের মৃত্যু
১৯৮৪ – নেদারল্যান্ডের ফুটবল খেলোয়াড় আর্ইয়েন রবেনের জন্ম
১৯৮৯ - স্পেনীয় চিত্রকর সালভাদর দালির মৃত্যু
২০০২ - পাকিস্তানের করাচীতে সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্ল অপহৃত হন এবং পরবর্তীকালে নিহত হন।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৩৫ টাকা ৭২.০৫ টাকা
পাউন্ড ৯১.২১ টাকা ৯৪.৪৯ টাকা
ইউরো ৭৭.৪২ টাকা ৮০.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪০,৫৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৮,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৯,০৮০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৮ মাঘ ১৪২৬, ২৩ জানুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার, চতুর্দশী ৪৯/৪৮ রাত্রি ২/১৮। পূর্বাষা‌ঢ়া ৪৭/২৫ রাত্রি ১/২১। সূ উ ৬/২২/৩১, অ ৫/১৪/৭, অমৃতযোগ রাত্রী ১/৭ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ২/৩১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪৮ গতে ১/২৭ মধ্যে। 
৮ মাঘ ১৪২৬, ২৩ জানুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার, চতুর্দশী ৪৯/১৬/২৩ রাত্রী ২/৮/২৩। পূর্বাষাঢ়া ৪৭/৫৬/৪৫ রাত্রি ১/৩৬/৩২। সূ উ ৬/২৫/৫০, অ ৫/১২/৩২, অমৃতযোগ দিবা ১/৭ গতে ৩/৪২ মধ্যে। কালবেলা ২/৩০/৫২ গতে ৩/৫১/৪২ মধ্যে, কালরাত্রি ১১/৪৯/১১ গতে ১/২৮/২১ মধ্যে। 
২৭ জমাদিয়ল আউয়ল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ:বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। বৃষ:প্রতিযোগিতায় সাফল্য আসবে। মিথুন: ব্যবসাস্থান ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৯৪- সাহিত্যিক জ্যোতির্ময়ীদেবীর জন্ম১৮৯৭- মহাবিপ্লবী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম১৯০৯ - ...বিশদ

07:03:20 PM

কলকাতার একটি হোটেল থেকে বাঘের চামড়াসহ গ্রেপ্তার ৩

06:28:27 PM

উত্তরপ্রদেশের সর্দারপুরে যান্ত্রিক গোলযোগের জন্য সড়কে ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং এয়ারক্র্যাফ্টের 

04:08:00 PM

২৭১ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স 

04:05:17 PM

আইলিগে মোহন বাগান ৩-০ গোলে হারাল নেরোকা এফসিকে 

04:04:09 PM